ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধী নেতা করবিনের দ্বারস্থ হবেন তেরেসা মে
ব্রেক্সিট
নিয়ে পার্লামেন্টে অচলাবস্থা। কঠিন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী
তেরেসা মে। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। কিন্তু তিনি ব্রেক্সিটের কোনো
কূলকিনারা করতে পারেন নি। ব্রেক্সিটের বিকল্প হিসেবে যেসব প্রস্তাব এসেছিল
পার্লামেন্টে তাও দুই দফা ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
বলছেন, তেরেসা মে’র ক্ষমতা দুলছে। যেকোনো সময় তার ছন্দপতন হতে পারে। এমন এক
অস্থির সময়ে সব ভেদাভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বিরোধী লেবার দলের
দিকে হাত বাড়িয়েছেন।
পার্লামেন্টের এই অচলাবস্থা কাটাতে, ব্রেক্সিট সম্পাদনে তিনি সহায়তা আহ্বান করবেন লেবার দলনেতা জেরেমি করবিনের। তার সঙ্গে সাক্ষাত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তেরেসা মে।
সেই সাক্ষাতে আলোচনা করতে চেয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের ভবিষ্যত সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে। দু’নেতা একমত হয়ে এগুতে চাইছেন দেশের জন্য। তেরেসা মের এমন আহ্বানকে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, এমন আহ্বান পেয়ে আমি খুবই খুশি। আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি কাস্টমস ইউনিয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ওয়ার্কারদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার বিষয়গুলো থাকবে আলোচনার টেবিলে। করবিন আরো বলেছেন, টেলিভিশনের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে পেরেছেন এবং এমন আলোচনায় যুক্ত হওয়ার দায়বদ্ধতা তার রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে তেরেসা মের এ উদ্যোগে তার দল কনজার্ভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থিরা, বিশেষ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সহ অনেকেই ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, চূড়ান্ত দফায় ব্রেক্সিট তুলে দেয়া হচ্ছে লেবার দলের হাতে! এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে তার ব্রেক্সিট চুক্তি এরই মধ্যে তিনবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভোটে দিয়েছেন। প্রথমবার ঐতিহাসিকভাবে ভয়াবহ পরাজয়ের মুখে পড়েছেন তিনি। তারপরের দু’বারও পরাজিত হয়েছেন বড় ব্যবধানে। এরপরেই সরকার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এমপিরা বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে সামনে আসেন। তার ভিতর থেকে বাছাই করা প্রস্তাবগুলো স্পিকার জন বারকাউ ভোটে দেন। দু’দফার ভোটে তাও পরাজিত হয়। এখন ব্রেক্সিট তাহলে কোনপথে যাবে! তেরেসা মে-ই বা কি করবেন! তিনি কি আগাম নির্বাচন দেবেন! সেখানেও বিপত্তি। মন্ত্রীপরিষদের কমপক্ষে অর্ধ ডজন সদস্য হুমকি দিয়েছেন, আগাম নির্বাচন ডাকা হলে তারা বিপক্ষে ভোট দেবেন। অনেকে পদত্যাগ করারও হুমকি দিয়েছেন। তাহলে কি চতুর্থ দফা ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে ভোটে দেবেন তেরেসা মে! এতেও তিনি হেরে যাওয়ার বড় ভয় আছে। এ অবস্থায় তিনি বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবিনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তার সঙ্গে যদি কাস্টমস ইউনিয়নের বিষয়ে ঐকমত্য হয় তাহলে তাতে বেঁকে বসতে পারেন বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, কাস্টমস ইউনিয়নে থাকার পক্ষে তিনি কখনো রাজি হবেন না।
এ অবস্থায় বিবিসির সাংবাদিক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, প্রধামনমন্ত্রী সম্ভবত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছেন একটি সফট ব্রেক্সিটের মাধ্যমে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদনও করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে বৃটেনের সামনে সময় আছে ১২ই এপ্রিল। এ সময়ের মধ্যে বৃটেন যে প্রস্তাব দেবে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মানতে হবে। আর যদি তারা না মানে তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেনকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পার্লামেন্টে যেহেতু ‘জ্যাম’ লেগে আছে তাই তেরেসা মে সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানাবেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাছে।
এর আগে গত ২৯ শে মার্চ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার কথা ছিল বৃটেনের। কিন্তু সে সময়ের মধ্যে তেরেসা মে সব কিছু গুছিয়ে উঠতে পারেন নি। ফলে অল্প সময়ের জন্য ওই সময়সীমা বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত সময় পান তিনি। কিন্তু তাতেও যেন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাই ডাউনিং স্ট্রিট থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি এই সময়সীমা আবার বর্ধিত করতে চান। তা হতে পারে ২২ শে মে পর্যন্ত, যাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে অংশ নিতে না হয় বৃটেনকে। এ জন্য তিনি হাত বাড়িয়েছেন জেরেমি করবিনের দিকে। তার সঙ্গে একটি নতুন পরিকল্পনা করে এগুতে চাইছেন এবং সেই পরিকল্পনা ১০ই এপ্রিলের আগে হাউস অব কমন্সে ভোটে দিতে চাইছেন। ওই সময়ে ব্রেক্সিট নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। কিন্তু জেরেমি করবিনের সঙ্গে যদি তেরেসা মে একটি একক প্রচেষ্টায় সম্মত হতে না পারেন তাহলে এমপিদের কাছে বেশ কিছু বিকল্প পন্থা ছুড়ে দিতে পারেন তিনি, যেন তারা নির্ধারণ করতে পারে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া কি হবে। তবে এখনও সময়সীমা বর্ধিত করার বিষয়ে সম্মত হতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।
পার্লামেন্টের এই অচলাবস্থা কাটাতে, ব্রেক্সিট সম্পাদনে তিনি সহায়তা আহ্বান করবেন লেবার দলনেতা জেরেমি করবিনের। তার সঙ্গে সাক্ষাত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তেরেসা মে।
সেই সাক্ষাতে আলোচনা করতে চেয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের ভবিষ্যত সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে। দু’নেতা একমত হয়ে এগুতে চাইছেন দেশের জন্য। তেরেসা মের এমন আহ্বানকে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, এমন আহ্বান পেয়ে আমি খুবই খুশি। আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি কাস্টমস ইউনিয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ওয়ার্কারদের অধিকার সুরক্ষিত রাখার বিষয়গুলো থাকবে আলোচনার টেবিলে। করবিন আরো বলেছেন, টেলিভিশনের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে পেরেছেন এবং এমন আলোচনায় যুক্ত হওয়ার দায়বদ্ধতা তার রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে তেরেসা মের এ উদ্যোগে তার দল কনজার্ভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থিরা, বিশেষ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সহ অনেকেই ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, চূড়ান্ত দফায় ব্রেক্সিট তুলে দেয়া হচ্ছে লেবার দলের হাতে! এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে তার ব্রেক্সিট চুক্তি এরই মধ্যে তিনবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভোটে দিয়েছেন। প্রথমবার ঐতিহাসিকভাবে ভয়াবহ পরাজয়ের মুখে পড়েছেন তিনি। তারপরের দু’বারও পরাজিত হয়েছেন বড় ব্যবধানে। এরপরেই সরকার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এমপিরা বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে সামনে আসেন। তার ভিতর থেকে বাছাই করা প্রস্তাবগুলো স্পিকার জন বারকাউ ভোটে দেন। দু’দফার ভোটে তাও পরাজিত হয়। এখন ব্রেক্সিট তাহলে কোনপথে যাবে! তেরেসা মে-ই বা কি করবেন! তিনি কি আগাম নির্বাচন দেবেন! সেখানেও বিপত্তি। মন্ত্রীপরিষদের কমপক্ষে অর্ধ ডজন সদস্য হুমকি দিয়েছেন, আগাম নির্বাচন ডাকা হলে তারা বিপক্ষে ভোট দেবেন। অনেকে পদত্যাগ করারও হুমকি দিয়েছেন। তাহলে কি চতুর্থ দফা ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে ভোটে দেবেন তেরেসা মে! এতেও তিনি হেরে যাওয়ার বড় ভয় আছে। এ অবস্থায় তিনি বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবিনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তার সঙ্গে যদি কাস্টমস ইউনিয়নের বিষয়ে ঐকমত্য হয় তাহলে তাতে বেঁকে বসতে পারেন বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, কাস্টমস ইউনিয়নে থাকার পক্ষে তিনি কখনো রাজি হবেন না।
এ অবস্থায় বিবিসির সাংবাদিক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, প্রধামনমন্ত্রী সম্ভবত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছেন একটি সফট ব্রেক্সিটের মাধ্যমে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদনও করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে বৃটেনের সামনে সময় আছে ১২ই এপ্রিল। এ সময়ের মধ্যে বৃটেন যে প্রস্তাব দেবে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মানতে হবে। আর যদি তারা না মানে তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেনকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পার্লামেন্টে যেহেতু ‘জ্যাম’ লেগে আছে তাই তেরেসা মে সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানাবেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাছে।
এর আগে গত ২৯ শে মার্চ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার কথা ছিল বৃটেনের। কিন্তু সে সময়ের মধ্যে তেরেসা মে সব কিছু গুছিয়ে উঠতে পারেন নি। ফলে অল্প সময়ের জন্য ওই সময়সীমা বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত সময় পান তিনি। কিন্তু তাতেও যেন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাই ডাউনিং স্ট্রিট থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি এই সময়সীমা আবার বর্ধিত করতে চান। তা হতে পারে ২২ শে মে পর্যন্ত, যাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে অংশ নিতে না হয় বৃটেনকে। এ জন্য তিনি হাত বাড়িয়েছেন জেরেমি করবিনের দিকে। তার সঙ্গে একটি নতুন পরিকল্পনা করে এগুতে চাইছেন এবং সেই পরিকল্পনা ১০ই এপ্রিলের আগে হাউস অব কমন্সে ভোটে দিতে চাইছেন। ওই সময়ে ব্রেক্সিট নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। কিন্তু জেরেমি করবিনের সঙ্গে যদি তেরেসা মে একটি একক প্রচেষ্টায় সম্মত হতে না পারেন তাহলে এমপিদের কাছে বেশ কিছু বিকল্প পন্থা ছুড়ে দিতে পারেন তিনি, যেন তারা নির্ধারণ করতে পারে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া কি হবে। তবে এখনও সময়সীমা বর্ধিত করার বিষয়ে সম্মত হতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।
No comments