চকবাজার ট্র্যাজেডি: এখনো বাবার পথ চেয়ে থাকে মোহাম্মদ
‘বাবা
তুমি কই? তুমি আসবা না? আমার বাবা কবে আসবে? তোমরা আমার বাবাকে এনে দাও’।
এভাবেই সারাদিন বাবাকে খোঁজে শিশু মোহাম্মদ। সে তো জানে না, বাবা যে হারিয়ে
গেছে না ফেরার দেশে। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজারের
চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যান বাবা মাসুদ রানা। ঘটনার এক
মাস পার হয়ে গেলেও প্রত্যেক দিন ঘুম থেকে উঠেই বাবার পথ চেয়ে বসে থাকে
মোহাম্মদ। ঘুমাতে গেলেও বাবার বালিশ নিয়ে ঘুমায়। পরিবারের অন্য সদস্যদের
সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জন্মের পর থেকেই বাবার সঙ্গেই বেশি সময় কেটেছে
মোহাম্মদের। বাবা যতক্ষণ দোকান থেকে না ফিরতেন ততোক্ষণ ঘুমাতো না সে।
বাবা আসলে তার সঙ্গে খেয়ে ঘুমোতে যেত।
ওই দিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুদ রানার মেজ ভাই মাহবুবুর রহমান রাজুও। মৃত্যুর আগে তার বিয়ের বয়স ছিল মাত্র একমাস। স্ত্রী আফরোজা সুলতানা স্মৃতি গতকাল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। রানা-রাজু দুজনই ছিল বাবা মোহাম্মদ শাহেবুল্লাহর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম লোক। বয়োবৃদ্ধ বাবাকে একরকম জোর করেই ব্যবসা থেকে সরিয়ে এনেছিলেন মাসুদ রানা ও মাহবুবুর রহমান রাজু। বাবা শাহেবুল্লাহও নিশ্চিন্তে মনোনিবেশ করেছিলেন ধর্মচিন্তায়। স্বাবলম্বী হতে মাসুদ রানা চুড়িহাট্টায় মোবাইল এক্সেসরিজের ব্যবসা শুরু করলে পরে তাতে যোগ দেন তার মেজ ভাই রাজু। দুই ভাই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন পরিবারের সবটুকু ভার। চাঁদের মতো দুই ছেলেকে হারিয়ে বাবা সাহেবুল্লাহ এখন অনেকটাই দিশাহারা। একদিকে ছেলে হারানোর শোক। অন্যদিকে পরিবার বাঁচানোর চিন্তা। শাহেবুল্লাহ’র তৃতীয় ছেলে খলিলুর রহমান মেরাজ সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছেন। সে এখন চাকরি খুঁজছেন।
রানা-রাজুর বাবা শাহেবুল্লাহ মানবজমিনকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই ছিল কপালে! আমার সোনার টুকরা দুইটা ছেলে এভাবে চোখের সামনে চলে গেল। এটা আমি এখনো চিন্তা করতে পারি না যে, আমার ছেলেরা বেঁচে নেই। আল্লাহ ওদের পরিবর্তে আমাকে নিয়ে গেল না কেন? একদিকে সন্তান হারানোর শোক। আরেকদিকে পরিবার। আমি কি করবো? আমি এখন কিছুই করি না। ছোট ছেলেটা মাত্র পড়াশোনা শেষ করেছে। পরিবার কীভাবে চালাবো বুঝতে পারছি না। আমার কাছে যা টাকা ছিল এগুলো দিয়ে ছেলেদের ব্যবসা করতে দিয়েছি। সব তো শেষ হয়ে গেল। ছোট ছেলেটার যদি কোনো একটা গতি হতো তাহলে আমার পরিবার কিছুটা বাঁচার অবলম্বন পেতো।
রানা-রাজুর চাচা এমএ রহিমও ওই ওয়াহেদ ম্যানশনে ব্যবসা করতেন। অগ্নিকাণ্ডে তার দোকানও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল এমএ রহিম মানবজমিনকে বলেন, আমার কোনো ছেলে নেই। নিজের ছেলের মতো ওদের ভালোবাসি। কত স্মৃতি ওদের সঙ্গে। পরিশ্রমী ছেলে দুটা এভাবে মারা যাবে ভাবতে পারছি না। আমার বড় ভাইও ব্যবসা করতো। এখন তার বয়স হয়েছে। রানা-রাজুই ছিল উপার্জনক্ষম। ছেলে দুটা মরে যাওয়ায় পরিবারটির বেঁচে থাকার মেরুদণ্ডই ভেঙে গেল।
বাবা আসলে তার সঙ্গে খেয়ে ঘুমোতে যেত।
ওই দিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুদ রানার মেজ ভাই মাহবুবুর রহমান রাজুও। মৃত্যুর আগে তার বিয়ের বয়স ছিল মাত্র একমাস। স্ত্রী আফরোজা সুলতানা স্মৃতি গতকাল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। রানা-রাজু দুজনই ছিল বাবা মোহাম্মদ শাহেবুল্লাহর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম লোক। বয়োবৃদ্ধ বাবাকে একরকম জোর করেই ব্যবসা থেকে সরিয়ে এনেছিলেন মাসুদ রানা ও মাহবুবুর রহমান রাজু। বাবা শাহেবুল্লাহও নিশ্চিন্তে মনোনিবেশ করেছিলেন ধর্মচিন্তায়। স্বাবলম্বী হতে মাসুদ রানা চুড়িহাট্টায় মোবাইল এক্সেসরিজের ব্যবসা শুরু করলে পরে তাতে যোগ দেন তার মেজ ভাই রাজু। দুই ভাই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন পরিবারের সবটুকু ভার। চাঁদের মতো দুই ছেলেকে হারিয়ে বাবা সাহেবুল্লাহ এখন অনেকটাই দিশাহারা। একদিকে ছেলে হারানোর শোক। অন্যদিকে পরিবার বাঁচানোর চিন্তা। শাহেবুল্লাহ’র তৃতীয় ছেলে খলিলুর রহমান মেরাজ সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছেন। সে এখন চাকরি খুঁজছেন।
রানা-রাজুর বাবা শাহেবুল্লাহ মানবজমিনকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই ছিল কপালে! আমার সোনার টুকরা দুইটা ছেলে এভাবে চোখের সামনে চলে গেল। এটা আমি এখনো চিন্তা করতে পারি না যে, আমার ছেলেরা বেঁচে নেই। আল্লাহ ওদের পরিবর্তে আমাকে নিয়ে গেল না কেন? একদিকে সন্তান হারানোর শোক। আরেকদিকে পরিবার। আমি কি করবো? আমি এখন কিছুই করি না। ছোট ছেলেটা মাত্র পড়াশোনা শেষ করেছে। পরিবার কীভাবে চালাবো বুঝতে পারছি না। আমার কাছে যা টাকা ছিল এগুলো দিয়ে ছেলেদের ব্যবসা করতে দিয়েছি। সব তো শেষ হয়ে গেল। ছোট ছেলেটার যদি কোনো একটা গতি হতো তাহলে আমার পরিবার কিছুটা বাঁচার অবলম্বন পেতো।
রানা-রাজুর চাচা এমএ রহিমও ওই ওয়াহেদ ম্যানশনে ব্যবসা করতেন। অগ্নিকাণ্ডে তার দোকানও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল এমএ রহিম মানবজমিনকে বলেন, আমার কোনো ছেলে নেই। নিজের ছেলের মতো ওদের ভালোবাসি। কত স্মৃতি ওদের সঙ্গে। পরিশ্রমী ছেলে দুটা এভাবে মারা যাবে ভাবতে পারছি না। আমার বড় ভাইও ব্যবসা করতো। এখন তার বয়স হয়েছে। রানা-রাজুই ছিল উপার্জনক্ষম। ছেলে দুটা মরে যাওয়ায় পরিবারটির বেঁচে থাকার মেরুদণ্ডই ভেঙে গেল।
No comments