‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’র ঘোষণা দেবেন সাবেক শিবির সভাপতি মন্জু
‘জন
আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের ঘোষণা দেবেন
জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মুজিবর রহমান
মন্জু। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর একটি হোটেলে তিনি
গণমাধ্যমের সামনে একটি ঘোষণাপত্র তুলে ধরবেন।
মজিবুর রহমান মন্জু বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তার এই উদ্যোগ ধর্মভিত্তিক নয়, এমনকি সুনির্দিষ্ট তত্ত্বের আদলে আদর্শভিত্তিকও নয়।
সম্ভাব্য ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ হচ্ছে একদল আশাবাদী মানুষের উদ্যোগ, ভাবনা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরার উদ্যোগ। যারা এই কাফেলায় শরিক হতে চান, তাদের সংগঠিত করার কাজ আজ (শনিবার, ২৭ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।’
তবে জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামে উদ্যোগ শুরু হলেও রাজনৈতিক দলের নাম, লোগো-পরিচয় আরও পরে নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে সময়ের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক উদ্যোগের কথা জানান দেবেন মন্জু। নতুন এই উদ্যোগের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
রাজনৈতিক উদ্যোগের বিষয়ে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘কোনও নির্দিষ্ট তত্ত্বের আদলে আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চিন্তা, মত ও পথের আমরা অনুসারী নই। ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এগুলো অন্তর্গতভাবে সমালোচনা, ভিন্নমত ও বিরুদ্ধ চিন্তার প্রতি অসহিষ্ণু থাকে। প্রবণতার দিক থেকে তা সব সময় নিরঙ্কুশ, কর্তৃত্ববাদী এবং ভীতিকর একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হয়। আমাদের রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য হবে সমষ্টির জন্য কল্যাণকর বিষয় নির্ধারণ।’
নতুন উদ্যোগ ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ধর্মভিত্তিক হচ্ছে না, এমনটি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, কিন্তু আমরা কোনও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করবো না।’
জামায়াতে ইসলামীতে বিভক্তির অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার করা হয় মজিবুর রহমান মন্জুকে। ওই দিনই লন্ডনে অবস্থানরত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক স্বেচ্ছায় জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মন্জু দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা, মহানগর মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বে তার অনুপস্থিতি থাকলেও জামায়াতের তাত্ত্বিক পর্যায়ে মন্জুর অবস্থান ছিল।
বহিষ্কারের দুইদিন আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত আমিরের কাছে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন মন্জু।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ওই চিঠির একটি অংশে মন্জু দলের আমির মকবুল আহমাদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনি জানেন ইতোপূর্বেও লিখিত ও মৌখিকভাবে আমি আপনাকে জামায়াতের অভ্যন্তরীণ অনেক অনিয়ম প্রসঙ্গে অবহিত করেছি। বিশ্ব পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের মতামতের আলোকে মৌলিক আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে কর্মকৌশলগত দিকে জামায়াতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আবেদন জানিয়েছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রসঙ্গে জামায়াতের দ্বিমুখী নীতি ও অপরিচ্ছন্ন-ধোঁয়াশাপূর্ণ অবস্থানের অবসান ঘটানোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি। শুধু তা-ই নয়, জামায়াতের সিনিয়র নেতা শহীদ কামারুজ্জামান, শহীদ মীর কাসেম আলী এবং ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে বহু আগেই কৌশলগত ও রাজনৈতিক সংস্কারের লিখিত দাবি জানিয়েছিলেন। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ফোরামে তারা নিয়মানুযায়ী একাধিকবার প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই যুক্তিকে শুধু অগ্রাহ্যই করা হয়নি; বরং তাদের সংগঠনে বিতর্কিত ও কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল আলম খান মিলন, আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, জসিম উদ্দিন সরকার, চট্টগ্রামের শাহজাহান চৌধুরী ও অধ্যাপক মফিজুর রহমানের মতো বহু সিনিয়র ও সম্ভাবনাময়, প্রাজ্ঞ দায়িত্বশীল এখানে বঞ্চনার শিকার। তাদের সমস্যাগুলো হলো, তারা কেউ হয়তো স্পষ্টবাদী, সংস্কারবাদী অথবা জনপ্রিয়। আমার কাছ থেকে এরকম তির্যক ও স্পর্শকাতর সমালোচনা শুনে আপনি বিরক্ত হয়েছিলেন। আমি তখন বিনয়ের সঙ্গে বলেছিলাম- আপনি এই কাফেলার জিম্মাদার, অতএব আপনার কাছে নির্ভয়ে, নিঃশঙ্কচিত্তে মন খুলে কথা বলা আমার দায়িত্ব। আপনি তখন সন্তুষ্ট হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু সংগঠনের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ অসাম্য এবং ভেদ-নীতি দূরীকরণে কোনও পদক্ষেপ নেননি। আমি পরিষ্কারভাবে বিশ্বাস করি, সংগঠনের বেশিরভাগ জনশক্তি নীতি ও কৌশলগত পরিবর্তন চায়। ৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ থেকে তারা মুক্তি চায়। কিন্তু অধিকাংশ জনশক্তির চাওয়া এখানে উপেক্ষিত। আপনি যদি আমার এ মতামতকে যাচাই করতে চান তাহলে নিরপেক্ষভাবে কর্মীদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ আবদুল কাদেরকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই কমিটির সেক্রেটারি ফরীদ আহমদ রেজাকেও সরে যেতে হয়েছিল। আহমদ আবদুল কাদের এখন ২০ দলীয় জোটভুক্ত খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও ফরীদ আহমদ রেজা লন্ডনে বসবাস করছেন।
মজিবুর রহমান মন্জু বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তার এই উদ্যোগ ধর্মভিত্তিক নয়, এমনকি সুনির্দিষ্ট তত্ত্বের আদলে আদর্শভিত্তিকও নয়।
সম্ভাব্য ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ হচ্ছে একদল আশাবাদী মানুষের উদ্যোগ, ভাবনা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরার উদ্যোগ। যারা এই কাফেলায় শরিক হতে চান, তাদের সংগঠিত করার কাজ আজ (শনিবার, ২৭ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।’
তবে জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামে উদ্যোগ শুরু হলেও রাজনৈতিক দলের নাম, লোগো-পরিচয় আরও পরে নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে সময়ের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক উদ্যোগের কথা জানান দেবেন মন্জু। নতুন এই উদ্যোগের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
রাজনৈতিক উদ্যোগের বিষয়ে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘কোনও নির্দিষ্ট তত্ত্বের আদলে আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চিন্তা, মত ও পথের আমরা অনুসারী নই। ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এগুলো অন্তর্গতভাবে সমালোচনা, ভিন্নমত ও বিরুদ্ধ চিন্তার প্রতি অসহিষ্ণু থাকে। প্রবণতার দিক থেকে তা সব সময় নিরঙ্কুশ, কর্তৃত্ববাদী এবং ভীতিকর একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হয়। আমাদের রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য হবে সমষ্টির জন্য কল্যাণকর বিষয় নির্ধারণ।’
নতুন উদ্যোগ ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ধর্মভিত্তিক হচ্ছে না, এমনটি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, কিন্তু আমরা কোনও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করবো না।’
জামায়াতে ইসলামীতে বিভক্তির অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কার করা হয় মজিবুর রহমান মন্জুকে। ওই দিনই লন্ডনে অবস্থানরত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক স্বেচ্ছায় জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মন্জু দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা, মহানগর মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বে তার অনুপস্থিতি থাকলেও জামায়াতের তাত্ত্বিক পর্যায়ে মন্জুর অবস্থান ছিল।
বহিষ্কারের দুইদিন আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত আমিরের কাছে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক সংস্কার চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন মন্জু।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ওই চিঠির একটি অংশে মন্জু দলের আমির মকবুল আহমাদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনি জানেন ইতোপূর্বেও লিখিত ও মৌখিকভাবে আমি আপনাকে জামায়াতের অভ্যন্তরীণ অনেক অনিয়ম প্রসঙ্গে অবহিত করেছি। বিশ্ব পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের মতামতের আলোকে মৌলিক আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে কর্মকৌশলগত দিকে জামায়াতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আবেদন জানিয়েছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রসঙ্গে জামায়াতের দ্বিমুখী নীতি ও অপরিচ্ছন্ন-ধোঁয়াশাপূর্ণ অবস্থানের অবসান ঘটানোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি। শুধু তা-ই নয়, জামায়াতের সিনিয়র নেতা শহীদ কামারুজ্জামান, শহীদ মীর কাসেম আলী এবং ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে বহু আগেই কৌশলগত ও রাজনৈতিক সংস্কারের লিখিত দাবি জানিয়েছিলেন। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ফোরামে তারা নিয়মানুযায়ী একাধিকবার প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই যুক্তিকে শুধু অগ্রাহ্যই করা হয়নি; বরং তাদের সংগঠনে বিতর্কিত ও কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল আলম খান মিলন, আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, জসিম উদ্দিন সরকার, চট্টগ্রামের শাহজাহান চৌধুরী ও অধ্যাপক মফিজুর রহমানের মতো বহু সিনিয়র ও সম্ভাবনাময়, প্রাজ্ঞ দায়িত্বশীল এখানে বঞ্চনার শিকার। তাদের সমস্যাগুলো হলো, তারা কেউ হয়তো স্পষ্টবাদী, সংস্কারবাদী অথবা জনপ্রিয়। আমার কাছ থেকে এরকম তির্যক ও স্পর্শকাতর সমালোচনা শুনে আপনি বিরক্ত হয়েছিলেন। আমি তখন বিনয়ের সঙ্গে বলেছিলাম- আপনি এই কাফেলার জিম্মাদার, অতএব আপনার কাছে নির্ভয়ে, নিঃশঙ্কচিত্তে মন খুলে কথা বলা আমার দায়িত্ব। আপনি তখন সন্তুষ্ট হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু সংগঠনের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ অসাম্য এবং ভেদ-নীতি দূরীকরণে কোনও পদক্ষেপ নেননি। আমি পরিষ্কারভাবে বিশ্বাস করি, সংগঠনের বেশিরভাগ জনশক্তি নীতি ও কৌশলগত পরিবর্তন চায়। ৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ থেকে তারা মুক্তি চায়। কিন্তু অধিকাংশ জনশক্তির চাওয়া এখানে উপেক্ষিত। আপনি যদি আমার এ মতামতকে যাচাই করতে চান তাহলে নিরপেক্ষভাবে কর্মীদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ আবদুল কাদেরকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই কমিটির সেক্রেটারি ফরীদ আহমদ রেজাকেও সরে যেতে হয়েছিল। আহমদ আবদুল কাদের এখন ২০ দলীয় জোটভুক্ত খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও ফরীদ আহমদ রেজা লন্ডনে বসবাস করছেন।
No comments