দেশেও সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চলছে -প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার
মতো বাংলাদেশেও জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর চেষ্টা চলছে মন্তব্য করে
দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল
সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে
বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ
সতর্ক বার্তা দেন। ভিডিও কনফারেন্সের অপরপ্রান্তে রাজশাহীতে রেলমন্ত্রী
নুরুল ইসলাম সুজন, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বক্তব্য
রাখেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গত রোববার ইস্টার সানডের দিনে
শ্রীলঙ্কার রাজধানীর কয়েকটি গীর্জা ও হোটেলে একযোগে বোমা হামলার প্রসঙ্গ
তোলেন। ওই হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিনশ’ ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের
মধ্যে শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আট বছর বয়সী নাতি
জায়ান চৌধুরীও রয়েছে। আহত হয়েছেন জায়ানের বাবা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশে না, বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। মাত্র কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনা ঘটেছে সেখানেও আমরা বাংলাদেশের কয়েকজনকে হারিয়েছি।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্য অনেকগুলো শিশু সেখানে মারা যায়। সেখানে বাংলাদেশের শিশু জায়ানকে আমাদের হারাতে হয়েছে এই জঙ্গি সন্ত্রাসের কারণে, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে। বাংলাদেশেও এই ঘটনা ঘটানোর অনেক চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, এই ধরনের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত থাকবে, কে কোথায় এই ধরনের সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে সঙ্গে লিপ্ত সেটা শুধু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা না, দেশবাসীকেও সতর্ক থাকতে হবে, খুঁজে বের করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে জানাতে হবে।’
বনলতা উদ্বোধনের কারণ উল্লেখ করে রসিকতার ছলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পবিত্র ঈদ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে রাজশাহীর আমকে মাথায় রেখে বনলতা ট্রেনের উদ্বোধন করলাম।
ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মসজিদে মসজিদে জুমার খুতবায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রসবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানান। এছাড়াও অভিভাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সব ধর্মের শিক্ষা গুরুদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
রেলের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে রেল নেটওয়ার্ক চালু করতে চাই। রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগটা আরও উন্নত করে দিতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটের বনলতা ট্রেনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
রেলের পশ্চিমাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খোন্দকার শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, আগামী ২৭শে এপ্রিল থেকে বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকা-রাজশাহী রুটে নিয়মিত চলাচল করবে। বনলতা এক্সপ্রেসের বগি নতুন হলেও ইঞ্জিন পুরাতন। ২০১৩ সালে ভারত থেকে আমদানি করা ইঞ্জিন দিয়ে চলাচল করবে ট্রেনটি। ঘণ্টায় ট্রেনটির সর্ব্বোচ্চ গতি থাকবে ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার।
পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বনলতা এক্সপ্রেসে থাকছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ১২টি নতুন বগি। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের বগি ৭টি, যার আসন সংখ্যা ৬৬৪। এসি বগি ২টি, যার আসন সংখ্যা ১৬০। ১৬ আসনের একটি পাওয়ার কার। দুটি গার্ড বেরাকের আসন সংখ্যা ১০৮। সবমিলিয়ে আসন সংখ্যা ৯৪৮। তবে যাত্রীদের জন্য আসন সংখ্যা ৯২৮টি।
এছাড়া একটি খাবারের বগিও থাকছে। ট্রেনটিতে রয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট। থাকছে রিক্লেনার চেয়ার, ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি বগিতে রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে, যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শন করা হবে।
রাজশাহী থেকে ঢাকায় পৌঁছতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। সপ্তাহের শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টায় ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। আবার দুপুর দেড়টায় ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বনলতা এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ইনস্টিটিউট ও স্থাপনার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরপ্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, পুলিশ কমিশনার হুমায়ন কবির, জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম খোন্দকার শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশে না, বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। মাত্র কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনা ঘটেছে সেখানেও আমরা বাংলাদেশের কয়েকজনকে হারিয়েছি।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্য অনেকগুলো শিশু সেখানে মারা যায়। সেখানে বাংলাদেশের শিশু জায়ানকে আমাদের হারাতে হয়েছে এই জঙ্গি সন্ত্রাসের কারণে, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে। বাংলাদেশেও এই ঘটনা ঘটানোর অনেক চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, এই ধরনের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত থাকবে, কে কোথায় এই ধরনের সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে সঙ্গে লিপ্ত সেটা শুধু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা না, দেশবাসীকেও সতর্ক থাকতে হবে, খুঁজে বের করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে জানাতে হবে।’
বনলতা উদ্বোধনের কারণ উল্লেখ করে রসিকতার ছলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পবিত্র ঈদ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে রাজশাহীর আমকে মাথায় রেখে বনলতা ট্রেনের উদ্বোধন করলাম।
ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মসজিদে মসজিদে জুমার খুতবায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রসবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানান। এছাড়াও অভিভাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সব ধর্মের শিক্ষা গুরুদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
রেলের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে রেল নেটওয়ার্ক চালু করতে চাই। রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগটা আরও উন্নত করে দিতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটের বনলতা ট্রেনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
রেলের পশ্চিমাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খোন্দকার শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, আগামী ২৭শে এপ্রিল থেকে বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকা-রাজশাহী রুটে নিয়মিত চলাচল করবে। বনলতা এক্সপ্রেসের বগি নতুন হলেও ইঞ্জিন পুরাতন। ২০১৩ সালে ভারত থেকে আমদানি করা ইঞ্জিন দিয়ে চলাচল করবে ট্রেনটি। ঘণ্টায় ট্রেনটির সর্ব্বোচ্চ গতি থাকবে ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার।
পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বনলতা এক্সপ্রেসে থাকছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ১২টি নতুন বগি। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের বগি ৭টি, যার আসন সংখ্যা ৬৬৪। এসি বগি ২টি, যার আসন সংখ্যা ১৬০। ১৬ আসনের একটি পাওয়ার কার। দুটি গার্ড বেরাকের আসন সংখ্যা ১০৮। সবমিলিয়ে আসন সংখ্যা ৯৪৮। তবে যাত্রীদের জন্য আসন সংখ্যা ৯২৮টি।
এছাড়া একটি খাবারের বগিও থাকছে। ট্রেনটিতে রয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট। থাকছে রিক্লেনার চেয়ার, ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি বগিতে রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে, যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শন করা হবে।
রাজশাহী থেকে ঢাকায় পৌঁছতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। সপ্তাহের শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টায় ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। আবার দুপুর দেড়টায় ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বনলতা এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ইনস্টিটিউট ও স্থাপনার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরপ্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, পুলিশ কমিশনার হুমায়ন কবির, জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম খোন্দকার শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
No comments