কথিত বাংলাদেশী অভিবাসী ইস্যুতে উত্তপ্ত ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ
আসামে
বাংলাদেশী কথিত অভিবাসী ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে আদালত বলেছে, লোকসভা নির্বাচনে অবৈধ অভিবাসীরা ওই
রাজ্যে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদেরকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তাদের নাম ভোটার লিস্টে আছে এবং তারা নির্বাচনী রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছেন
বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আসামের মুখ্যসচিবের ওপর
প্রচন্ড ক্ষোভ ঝারেন আদালত। তিনি ওই পদের যোগ্য নন বলেও মন্তব্য করা হয়। এ
খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বাংলাদেশী অভিবাসীদের নাম উল্লেখ না করেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ আসাম রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন।
এ জন্যই সমালোচনা যে, রাজ্য সরকার ‘বিদেশী’দের মুক্তি দিয়ে তাদের পক্ষে কাজ করছে। বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক বিদেশীদের রাজ্য সরকার মুক্তির জন্য আদালতের অনুমোদন চাইছে বলেও বেঞ্চ এর সমালোচনা করেছে। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের হিসাবে আসামে অবস্থান করছেন এক লক্ষাধিক বাংলাদেশী অভিবাসী। তার মধ্যে মাত্র ৯০০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, রাজ্যের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্তে এসেছে যে, যেসব বিদেশী বন্দিশিবিরগুলোতে কমপক্ষে ৫ বছর সময় পাড় করেছেন তাদেরকে বন্ডের বিনিময়ে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। এসব বিদেশী মুক্তি পাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে পুলিশে রিপোর্ট করবে।
এ যুক্তি শুনে ক্ষিপ্ত হন আদালত। তারপর বলেন, আপনি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনি সংবিধান অনুসরণ করছেন না। যেসব মানুষ এ দেশের নয় এবং তারা চাইছেন এখানে বসবাস করতে, আপনি সরকারের হয়ে চাইছেন আদালত তা অনুমোদন দিয়ে একটি অবৈধ নির্দেশ পাস করুক। প্রথমত, বন্দিশিবিরগুলোতে ওইসব মানুষের থাকাই উচিত নয়। উচিত তাদেরকে ফেরত পাঠানো। বিদেশী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে এক লাখ। আর আপনারা তাদের মাত্র ৯০০ জনকে সনাক্ত করতে পেরেছেন। এসব মানুষ এখন স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে গেছেন। তাদের বেশির ভাগের নাম আছে ভোটার তালিকায়। দেশের রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশ নিচ্ছেন তারা। নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। আপনাদের সরকার কি এভাবেই কার্যকর রয়েছে?
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্য সচিব। তিনিও বেঞ্চের ক্ষোভের মুখে পড়েন। ফরেন ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না করার বিষয়ে এবং এর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের মেনে না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেঞ্চ।
বেঞ্চ থেকে মুখ্য সচিবের উদ্দেশে বলা হয়, এই লোকটা জানেন না তিনি কি বলছেন। তিনি কি মুখ্য সচিব হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? আমরা তাকে নোটিশ দিতে যাচ্ছি আইনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়ার জন্য এবং আদালতকে ভুলপথে নেয়ার জন্য। আপনার ওই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই।
ফরেন ট্রাইবুনালের মতামতের বিষয়ে রাজ্য সরকার তার এফিডেভিটে বলেছে, ফরেন ট্রাইবুনালের মতামত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতেও পারে নাও পারে। এমন পদক্ষেপ নতুন করে নেয়া যেতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নতুন নোটিশ জারি করতে পারে তারা। রাজ্য সরকারের এমন এফিডেভিটের কড়া বিরোধিতা করেন আদালতের বিচারকরা। এ সময় মুখ্যসচিব আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বলেন, নতুন একটি এফিডেভিট জমা দেয়া হবে।
শুনানির শেষের দিকে বেঞ্চ মুখ্যসচিবের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করেন। আইনজীবীদের কাছে প্রস্তাব করেন তাকে বসার জন্য একটি আসন দিতে। এর আগে রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, গত চার বছরে তারা ৪৬০০০ হাজার বিদেশী নাগরিককে সনাক্ত করেছে। এর আগে গত ৩০ বছরে সনাক্ত করা হয়েছিল ৬৫০০০।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বাংলাদেশী অভিবাসীদের নাম উল্লেখ না করেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ আসাম রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন।
এ জন্যই সমালোচনা যে, রাজ্য সরকার ‘বিদেশী’দের মুক্তি দিয়ে তাদের পক্ষে কাজ করছে। বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক বিদেশীদের রাজ্য সরকার মুক্তির জন্য আদালতের অনুমোদন চাইছে বলেও বেঞ্চ এর সমালোচনা করেছে। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের হিসাবে আসামে অবস্থান করছেন এক লক্ষাধিক বাংলাদেশী অভিবাসী। তার মধ্যে মাত্র ৯০০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, রাজ্যের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্তে এসেছে যে, যেসব বিদেশী বন্দিশিবিরগুলোতে কমপক্ষে ৫ বছর সময় পাড় করেছেন তাদেরকে বন্ডের বিনিময়ে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। এসব বিদেশী মুক্তি পাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে পুলিশে রিপোর্ট করবে।
এ যুক্তি শুনে ক্ষিপ্ত হন আদালত। তারপর বলেন, আপনি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনি সংবিধান অনুসরণ করছেন না। যেসব মানুষ এ দেশের নয় এবং তারা চাইছেন এখানে বসবাস করতে, আপনি সরকারের হয়ে চাইছেন আদালত তা অনুমোদন দিয়ে একটি অবৈধ নির্দেশ পাস করুক। প্রথমত, বন্দিশিবিরগুলোতে ওইসব মানুষের থাকাই উচিত নয়। উচিত তাদেরকে ফেরত পাঠানো। বিদেশী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে এক লাখ। আর আপনারা তাদের মাত্র ৯০০ জনকে সনাক্ত করতে পেরেছেন। এসব মানুষ এখন স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে গেছেন। তাদের বেশির ভাগের নাম আছে ভোটার তালিকায়। দেশের রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশ নিচ্ছেন তারা। নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। আপনাদের সরকার কি এভাবেই কার্যকর রয়েছে?
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামের মুখ্য সচিব। তিনিও বেঞ্চের ক্ষোভের মুখে পড়েন। ফরেন ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না করার বিষয়ে এবং এর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের মেনে না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেঞ্চ।
বেঞ্চ থেকে মুখ্য সচিবের উদ্দেশে বলা হয়, এই লোকটা জানেন না তিনি কি বলছেন। তিনি কি মুখ্য সচিব হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? আমরা তাকে নোটিশ দিতে যাচ্ছি আইনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়ার জন্য এবং আদালতকে ভুলপথে নেয়ার জন্য। আপনার ওই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই।
ফরেন ট্রাইবুনালের মতামতের বিষয়ে রাজ্য সরকার তার এফিডেভিটে বলেছে, ফরেন ট্রাইবুনালের মতামত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতেও পারে নাও পারে। এমন পদক্ষেপ নতুন করে নেয়া যেতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নতুন নোটিশ জারি করতে পারে তারা। রাজ্য সরকারের এমন এফিডেভিটের কড়া বিরোধিতা করেন আদালতের বিচারকরা। এ সময় মুখ্যসচিব আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বলেন, নতুন একটি এফিডেভিট জমা দেয়া হবে।
শুনানির শেষের দিকে বেঞ্চ মুখ্যসচিবের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করেন। আইনজীবীদের কাছে প্রস্তাব করেন তাকে বসার জন্য একটি আসন দিতে। এর আগে রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, গত চার বছরে তারা ৪৬০০০ হাজার বিদেশী নাগরিককে সনাক্ত করেছে। এর আগে গত ৩০ বছরে সনাক্ত করা হয়েছিল ৬৫০০০।
No comments