হলগুলোতে বিন্দুমাত্র সহাবস্থান নেই by ওমর ফারুক
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ১১ই মার্চ।
ছাত্রলীগ চাচ্ছে এই নির্বাচন হলগুলোর ভেতরে ভোট কেন্দ্র হোক। ইতিমধ্যে হলে
ভোট কেন্দ্র রেখে নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ১৩টি
ছাত্র সংগঠনের দাবি হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে যেন ভোট কেন্দ্র হয়। আর এ
দাবি যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে ছাত্র সংগঠনগুলো
এক হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘সাধারণ
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর। ঢাকসু
নির্বাচন নিয়ে আলোচনাকালে মানবজমিনকে তিনি এ হুঁশিয়ারির কথা বলেন।
আন্দোলনের মাধ্যমে সম্ভব কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য এ ডাকসু নির্বাচন। শিক্ষার্থীরা জোরালো দাবি করলে তারা মানতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচন দেখেছি। নিজের ভোট অন্য জন দিয়ে দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে এমন কারচুপি হলে, ডাকসু তো কোনো ব্যাপারই না। বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষমতাসীনদের দখলে। যার কারণে প্রার্থীদের মধ্যেই এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। এই জন্যই আমরা বলছি, প্রশাসন যদি আমাদের বলেন, হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র করবো এবং ডাকসুকে কার্যকর করো, তাহলে সবার মাঝে একধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকতো। কিন্তু সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা ভোটার বা প্রার্থীদের মধ্যে নেই। যার কারণে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে আগ্রহের জায়গাটা অনেক কম।
তফসিল নিয়ে কোটা আন্দোলনের এ ছাত্রনেতা বলেন, তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমরা বাকি ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি নির্বাচনটা হওয়ার দরকার। প্রশাসনের অনেক দুর্বলতার সত্ত্বেও তফসিলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আমরা চাচ্ছি সকল ছাত্রসংগঠন যেন ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করার নিশ্চয়তা গ্রহণ করে প্রশাসন। অবাদে প্রচার-প্রচারণাও যেন চালাতে পারে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন আসছে, প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে তেমন খুশি হওয়ার কারণ নেই। বিষয়টা অনেকটা লোক দেখানো। দুই দিন দেখে সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে বলার কোনো কারণ নাই। দেখতে হবে এই অবস্থানটা কত দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এর বিপরীত হলগুলোতে বিন্দুমাত্রও সহাবস্থান আছে বলে আমার মনে হয় না। বিজয়-৭১ হল ছাড়া সবগুলো হলেই ছাত্রলীগের দখলে।
হলে ভোটকেন্দ্র না চাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দশ বছর ধরে ক্ষমতা থাকার সুবাধে হলগুলোতে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য ও দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে। ফলে অনেকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে চাইবেও না, কারণ ভোট দিতে গেলে ঝামেলা হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা যে হলেই থাকুক না কেন তারা একাডেমিক ভবনে আসবেই। সেই জন্য আমরা বলেছি, ভোট কেন্দ্র যেন একাডেমিক ভবনে করা হয়। তাছাড়া হলগুলোতে এখনো অনেক বহিরাগত থাকে। অছাত্র আছে। তারা নির্বাচনের সময় পরিবেশটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করবে। কিছুদিন আগে অছাত্রদের বের করতে গিয়ে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়েছে প্রশাসন। সুতরাং এখনই এই অবস্থা, যদি হলে ভোট কেন্দ্র হয় তাহলে তো তারা টেবিল ছেড়ে দৌড়াবে।
এসব বিষয় নিয়ে নূরু বলেন, আমরা লিখিত দাবি জানিয়েছিলাম, দুঃখজনক হলেও সত্য এর কোনো সাড়া পাইনি। কিন্তু প্রশাসন যদি ছাত্রদের দাবি-দাওয়া একেবারই উড়িয়ে দেয়, তাহলে তো ছাত্রসংগঠনগুলো পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরা বলেছিলাম দল নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য কিছু শিক্ষকদের সমন্বয়ে প্রত্যেকটি টিমকে অত্যন্ত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হোক। সেটাও তারা এখন পর্যন্ত করেনি।
প্রচারণা নিয়ে তিনি জানান, বর্তমান গঠনতন্ত্রে বলা আছে ক্লাসে কোনো ধরনের প্রচারণা করা যাবে না। কিন্তু হল তো ছাত্রলীগের দখলে আছে, সেখানে আমরা কীভাবে গিয়ে প্রচারণা করবো। যার কারণে ক্লাসে না যাওয়া ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা খুব মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। সেটি নিয়েও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হক নূর জানান, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যদি সন্তোষজনক না হয়, পাতানো নির্বাচনে ছাত্রসংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করবে না। ডাকসু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটি প্ল্যাটফর্ম, সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃফূর্তভাবে যদি নিজেরা অংশগ্রহণ না করতে পারে। তাহলে তো এ নির্বাচনের কোনো দরকার নেই।
আন্দোলনের মাধ্যমে সম্ভব কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য এ ডাকসু নির্বাচন। শিক্ষার্থীরা জোরালো দাবি করলে তারা মানতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচন দেখেছি। নিজের ভোট অন্য জন দিয়ে দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে এমন কারচুপি হলে, ডাকসু তো কোনো ব্যাপারই না। বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষমতাসীনদের দখলে। যার কারণে প্রার্থীদের মধ্যেই এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। এই জন্যই আমরা বলছি, প্রশাসন যদি আমাদের বলেন, হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র করবো এবং ডাকসুকে কার্যকর করো, তাহলে সবার মাঝে একধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকতো। কিন্তু সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা ভোটার বা প্রার্থীদের মধ্যে নেই। যার কারণে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে আগ্রহের জায়গাটা অনেক কম।
তফসিল নিয়ে কোটা আন্দোলনের এ ছাত্রনেতা বলেন, তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমরা বাকি ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি নির্বাচনটা হওয়ার দরকার। প্রশাসনের অনেক দুর্বলতার সত্ত্বেও তফসিলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। আমরা চাচ্ছি সকল ছাত্রসংগঠন যেন ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করার নিশ্চয়তা গ্রহণ করে প্রশাসন। অবাদে প্রচার-প্রচারণাও যেন চালাতে পারে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন আসছে, প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে তেমন খুশি হওয়ার কারণ নেই। বিষয়টা অনেকটা লোক দেখানো। দুই দিন দেখে সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে বলার কোনো কারণ নাই। দেখতে হবে এই অবস্থানটা কত দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এর বিপরীত হলগুলোতে বিন্দুমাত্রও সহাবস্থান আছে বলে আমার মনে হয় না। বিজয়-৭১ হল ছাড়া সবগুলো হলেই ছাত্রলীগের দখলে।
হলে ভোটকেন্দ্র না চাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দশ বছর ধরে ক্ষমতা থাকার সুবাধে হলগুলোতে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য ও দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে। ফলে অনেকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে চাইবেও না, কারণ ভোট দিতে গেলে ঝামেলা হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা যে হলেই থাকুক না কেন তারা একাডেমিক ভবনে আসবেই। সেই জন্য আমরা বলেছি, ভোট কেন্দ্র যেন একাডেমিক ভবনে করা হয়। তাছাড়া হলগুলোতে এখনো অনেক বহিরাগত থাকে। অছাত্র আছে। তারা নির্বাচনের সময় পরিবেশটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করবে। কিছুদিন আগে অছাত্রদের বের করতে গিয়ে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়েছে প্রশাসন। সুতরাং এখনই এই অবস্থা, যদি হলে ভোট কেন্দ্র হয় তাহলে তো তারা টেবিল ছেড়ে দৌড়াবে।
এসব বিষয় নিয়ে নূরু বলেন, আমরা লিখিত দাবি জানিয়েছিলাম, দুঃখজনক হলেও সত্য এর কোনো সাড়া পাইনি। কিন্তু প্রশাসন যদি ছাত্রদের দাবি-দাওয়া একেবারই উড়িয়ে দেয়, তাহলে তো ছাত্রসংগঠনগুলো পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরা বলেছিলাম দল নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য কিছু শিক্ষকদের সমন্বয়ে প্রত্যেকটি টিমকে অত্যন্ত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হোক। সেটাও তারা এখন পর্যন্ত করেনি।
প্রচারণা নিয়ে তিনি জানান, বর্তমান গঠনতন্ত্রে বলা আছে ক্লাসে কোনো ধরনের প্রচারণা করা যাবে না। কিন্তু হল তো ছাত্রলীগের দখলে আছে, সেখানে আমরা কীভাবে গিয়ে প্রচারণা করবো। যার কারণে ক্লাসে না যাওয়া ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা খুব মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। সেটি নিয়েও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হক নূর জানান, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যদি সন্তোষজনক না হয়, পাতানো নির্বাচনে ছাত্রসংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করবে না। ডাকসু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটি প্ল্যাটফর্ম, সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃফূর্তভাবে যদি নিজেরা অংশগ্রহণ না করতে পারে। তাহলে তো এ নির্বাচনের কোনো দরকার নেই।
No comments