আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত দুই নারীর ভিন্ন কাহিনী
জঙ্গি
গোষ্ঠী আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামিমা বেগমকে নিয়ে বৃটেনজুড়ে
তো বটেই, সারা বিশ্বে এখন আলোচনা। বৃটিশ নাগরিক শামিমা সিরিয়া থেকে বৃটেনে
ফিরতে চেয়েছেন। এ নিয়েই এই বিতর্ক। বৃটেন থেকে যে শুধুই শামিমা আইএসে যোগ
দিয়েছেন এমন না। আরো বেশ কয়েকজন কিশোরী বয়সে বা যুবতী অবস্থায় আইএসে যোগ
দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। তার দু’একজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তেমনই
একজন আরেক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তানিয়া জয়া (৩৫)। বাংলাদেশী নূরাল চৌধুরী ও
জাহারানার মেয়ে তিনি। বড় হয়েছেন বৃটেনের মিডলসেক্স-এর হ্যারো’তে।
তার পিতা নূরাল চৌধুরী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। মা ক্যাটারিং ব্যবসা করতেন। আইএসের যোদ্ধা এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন তানিয়া। তার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। সেখানে তিনি ধর্ষিত হন। তারপর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পালিয়ে যান। এরপর তিনি ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। বিয়ে করেছেন। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। সুখী দাম্পত্য তাদের এখন। শামিমা বেগমের কাহিনীর সঙ্গে এসব তথ্যে সয়লাব বৃটিশ মিডিয়া। তানিয়া জয়াকে নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের কাছে প্লানো এলাকায় উগ্রপন্থি জন জর্জলাস বসবাস করতেন। তিনি হতে চেয়েছিলেন পরবর্তী ‘ওসামা বিন লাদেন’। তিনি আইএসের যোদ্ধা। তাকে বিয়ে করেন তানিয়া জয়া। তারপর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এক শহরের উপকণ্ঠে নতুন বিয়ে করেছেন।
ডেইলি মেইল লিখেছে, তানিয়া জয়া চার সন্তানের মা। তিনি বড় হয়েছেন মিডলসেক্সের হ্যারোতে। তার বসবাস এখন টেক্সাসের প্লানোতে একটি স্বস্তিকর এপার্টমেন্টে। সেখানেই দ্বিতীয় স্বামী আইটি বিষয়ক নির্বাহীর সঙ্গে তার সংসার। তিনি শামিমার কাহিনী পড়েছেন অনলাইনে। এরপর তিনি বলেছেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একবার তিনিও শামিমার মতো ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। তিনি বিয়ে করেছিলেন আইএসের সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডারদের অন্যতম জন জর্জলাসকে। এ জন্য তাকে ডাকা হতো ‘দ্য ফার্স্টলেডি অব আইসিস’। এখন তিনি উগ্রবাদের নিন্দা করেন। ডেইলি মেইলকে সাক্ষাতকারে তিনি শামিমা বেগমকে তার সন্তানের জন্য একটি দ্বিতীয় সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তানিয়া জয়া বলেন, যখন শামিমাকে জিহাদি আদর্শে উজ্জীবিত করা হয়েছে তখন তিনি ছিলেন একজন শিশু। তার বয়স ছিল ১৫ বছর। তিনি এখনও একজন শিশু। যদি তিনি স্বেচ্ছায় তার ভুল স্বীকার করে নেন, তাহলে তাকে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। শামিমা ও তার গর্ভস্থ শিশুকে একটি সুযোগ দিন বেঁচে থাকার জন্য। আমার যেমন ব্রেনওয়াশ করা হয়েছিল, তারও তাই। তাই তিনি আমার মতো সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
ওদিকে এমন উগ্রবাদের জন্য অনেকে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার চেয়ে ইসলামকে দায়ী করে মন্তব্য করছেন। এর জবাবে তানিয়া জয়া বলেন, আমি মনে করি ইংল্যান্ডে আইন আছে। সেই আইন শিশুদেরকে সুরক্ষা দেবে। আমি যদি একজন অজ্ঞানবাদী হই, একজন নাস্তিক হই, এমন কি একজন খ্রিস্টান বা ইহুদি হই তাহলেও একজন নারীর বিষয়ে এই নিষ্পেষণমূলক ধারণা প্রকাশ করবো না।
তিনি বলেন, শামিমার জন্য আমার খুব দুঃখ হয়। তিনি একজন তরুণী। এতগুলো বছর তিনি ওই বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করছেন। সেখানে আইএসের বাইরে তাকে ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে দেয়া হয় নি। এখনও তিনি সেই অবস্থায় আছেন। তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। আমি তো এই বয়সে উগ্রবাদে ঝুঁকেছিলাম। যদি আমরা তাকে ও তার অনাগত সন্তানকে সহায়তা না করি তাহলে তারা মারা যাবেন। তবে এখানে স্বীকার করে নিতেই হবে যে, তিনি যা করেছেন এটা তার অন্যায়। শতভাগ অন্যায়। তবে মানবিক কারণে আমাদের উচিত তার শিশুটিকে সহায়তা করা। যদি তিনি সহায়তা চান তাহলে তার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তবে তিনি এখনও কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেন না, এটা জেনে আমার কাছে নিজেকে পাগলের মতো মনে হচ্ছে। যদি তার গর্ভস্থ সন্তানটি মারা যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন তিনি। যদি বাচ্চাটি মারা যায় তাহলে তা হবে তার কর্মকান্ডের জন্য।
তানিয়া জয়া এক সময় আইএসের কট্টরপন্থি ছিলেন। এক সময় তিনি বলতেন তিনি আইএসের জন্য তৃষ্ণার্ত ছিলেন। তার যে সন্তান জন্ম নেবে তারা মুজাহিদিনদের জন্য সেবা দেবে। কিন্তু সেই তানিয়া জয়া নাটকীয়ভাবে জীবনকে পাল্টে ফেলেছেন।
‘দ্য ওয়ে অব স্ট্রেঞ্জারস: এনকাউন্টারস উইথ ইসলামিক স্টেট’ বইয়ের লেখক, আইএস বিশেষজ্ঞ গ্রায়েম উড দাবি করেছেন, তানিয়া জয়া ভিক্টিম ছিলেন না। তিনি তার স্বামী জন জজলাসের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের দাম্পত্যকে পিছনে ফেলে এসেছেন। সিরিয়ায় ‘জিহাদী কনে’ হিসেবে ১৫০ জন নারী ও যুবতী গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। তার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন তানিয়া জয়া। তিনিই নিজে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে হবে। তারও জন্ম উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যারোতে। তিনিও শামিমা বেগমের মতো বাংলাদেশী পিতামাতার সন্তান। জন্ম হয়েছিল জয়া চৌধুরী হিসেবে। তার পিতা নূরাল চৌধুরী। তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। মা জাহানারা একটি ক্যাটারিয় ব্যবসা চালাতেন। তাদের ৫ সন্তানের একজন জয়া। তার বয়স যখন ১৭ বছর, তখন তার পরিবার চলে যায় পূর্ব লন্ডনের বার্কিংয়ে। সেখানেই তানিয়াকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বলে তার দাবি। সহসাই তিনি পুরো শরীর ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরা শুরু করেন। তার এক বন্ধু বলেছেন, ২০০১ সালে যখন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা হয় তখন তানিয়া জয়া তা উদযাপন করেছিলেন। তানিয়ার নিজের স্বীকারোক্তিতে তিনি কট্টর জিহাদি হয়ে উঠেছিলেন।
তার পিতা নূরাল চৌধুরী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। মা ক্যাটারিং ব্যবসা করতেন। আইএসের যোদ্ধা এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন তানিয়া। তার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। সেখানে তিনি ধর্ষিত হন। তারপর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পালিয়ে যান। এরপর তিনি ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। বিয়ে করেছেন। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। সুখী দাম্পত্য তাদের এখন। শামিমা বেগমের কাহিনীর সঙ্গে এসব তথ্যে সয়লাব বৃটিশ মিডিয়া। তানিয়া জয়াকে নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের কাছে প্লানো এলাকায় উগ্রপন্থি জন জর্জলাস বসবাস করতেন। তিনি হতে চেয়েছিলেন পরবর্তী ‘ওসামা বিন লাদেন’। তিনি আইএসের যোদ্ধা। তাকে বিয়ে করেন তানিয়া জয়া। তারপর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এক শহরের উপকণ্ঠে নতুন বিয়ে করেছেন।
ডেইলি মেইল লিখেছে, তানিয়া জয়া চার সন্তানের মা। তিনি বড় হয়েছেন মিডলসেক্সের হ্যারোতে। তার বসবাস এখন টেক্সাসের প্লানোতে একটি স্বস্তিকর এপার্টমেন্টে। সেখানেই দ্বিতীয় স্বামী আইটি বিষয়ক নির্বাহীর সঙ্গে তার সংসার। তিনি শামিমার কাহিনী পড়েছেন অনলাইনে। এরপর তিনি বলেছেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একবার তিনিও শামিমার মতো ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। তিনি বিয়ে করেছিলেন আইএসের সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডারদের অন্যতম জন জর্জলাসকে। এ জন্য তাকে ডাকা হতো ‘দ্য ফার্স্টলেডি অব আইসিস’। এখন তিনি উগ্রবাদের নিন্দা করেন। ডেইলি মেইলকে সাক্ষাতকারে তিনি শামিমা বেগমকে তার সন্তানের জন্য একটি দ্বিতীয় সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তানিয়া জয়া বলেন, যখন শামিমাকে জিহাদি আদর্শে উজ্জীবিত করা হয়েছে তখন তিনি ছিলেন একজন শিশু। তার বয়স ছিল ১৫ বছর। তিনি এখনও একজন শিশু। যদি তিনি স্বেচ্ছায় তার ভুল স্বীকার করে নেন, তাহলে তাকে পুনর্বাসন করা যেতে পারে। শামিমা ও তার গর্ভস্থ শিশুকে একটি সুযোগ দিন বেঁচে থাকার জন্য। আমার যেমন ব্রেনওয়াশ করা হয়েছিল, তারও তাই। তাই তিনি আমার মতো সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
ওদিকে এমন উগ্রবাদের জন্য অনেকে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার চেয়ে ইসলামকে দায়ী করে মন্তব্য করছেন। এর জবাবে তানিয়া জয়া বলেন, আমি মনে করি ইংল্যান্ডে আইন আছে। সেই আইন শিশুদেরকে সুরক্ষা দেবে। আমি যদি একজন অজ্ঞানবাদী হই, একজন নাস্তিক হই, এমন কি একজন খ্রিস্টান বা ইহুদি হই তাহলেও একজন নারীর বিষয়ে এই নিষ্পেষণমূলক ধারণা প্রকাশ করবো না।
তিনি বলেন, শামিমার জন্য আমার খুব দুঃখ হয়। তিনি একজন তরুণী। এতগুলো বছর তিনি ওই বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করছেন। সেখানে আইএসের বাইরে তাকে ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে দেয়া হয় নি। এখনও তিনি সেই অবস্থায় আছেন। তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। আমি তো এই বয়সে উগ্রবাদে ঝুঁকেছিলাম। যদি আমরা তাকে ও তার অনাগত সন্তানকে সহায়তা না করি তাহলে তারা মারা যাবেন। তবে এখানে স্বীকার করে নিতেই হবে যে, তিনি যা করেছেন এটা তার অন্যায়। শতভাগ অন্যায়। তবে মানবিক কারণে আমাদের উচিত তার শিশুটিকে সহায়তা করা। যদি তিনি সহায়তা চান তাহলে তার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তবে তিনি এখনও কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেন না, এটা জেনে আমার কাছে নিজেকে পাগলের মতো মনে হচ্ছে। যদি তার গর্ভস্থ সন্তানটি মারা যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন তিনি। যদি বাচ্চাটি মারা যায় তাহলে তা হবে তার কর্মকান্ডের জন্য।
তানিয়া জয়া এক সময় আইএসের কট্টরপন্থি ছিলেন। এক সময় তিনি বলতেন তিনি আইএসের জন্য তৃষ্ণার্ত ছিলেন। তার যে সন্তান জন্ম নেবে তারা মুজাহিদিনদের জন্য সেবা দেবে। কিন্তু সেই তানিয়া জয়া নাটকীয়ভাবে জীবনকে পাল্টে ফেলেছেন।
‘দ্য ওয়ে অব স্ট্রেঞ্জারস: এনকাউন্টারস উইথ ইসলামিক স্টেট’ বইয়ের লেখক, আইএস বিশেষজ্ঞ গ্রায়েম উড দাবি করেছেন, তানিয়া জয়া ভিক্টিম ছিলেন না। তিনি তার স্বামী জন জজলাসের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের দাম্পত্যকে পিছনে ফেলে এসেছেন। সিরিয়ায় ‘জিহাদী কনে’ হিসেবে ১৫০ জন নারী ও যুবতী গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। তার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন তানিয়া জয়া। তিনিই নিজে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে হবে। তারও জন্ম উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যারোতে। তিনিও শামিমা বেগমের মতো বাংলাদেশী পিতামাতার সন্তান। জন্ম হয়েছিল জয়া চৌধুরী হিসেবে। তার পিতা নূরাল চৌধুরী। তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। মা জাহানারা একটি ক্যাটারিয় ব্যবসা চালাতেন। তাদের ৫ সন্তানের একজন জয়া। তার বয়স যখন ১৭ বছর, তখন তার পরিবার চলে যায় পূর্ব লন্ডনের বার্কিংয়ে। সেখানেই তানিয়াকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বলে তার দাবি। সহসাই তিনি পুরো শরীর ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরা শুরু করেন। তার এক বন্ধু বলেছেন, ২০০১ সালে যখন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা হয় তখন তানিয়া জয়া তা উদযাপন করেছিলেন। তানিয়ার নিজের স্বীকারোক্তিতে তিনি কট্টর জিহাদি হয়ে উঠেছিলেন।
No comments