কেন এত বিদেশপ্রীতি!
একটা
সময়ে দেশীয় নাটকের সিংহভাগ দেশেই নির্মাণ হতো। সেসব নাটক দর্শকের কাছেও
বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেত। গল্পের প্রয়োজনে বছরের অল্পসংখ্যক নাটকের শুটিং
দেশের বাইরে করতেন নির্মাতারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় এর বিপরীত
চিত্র। একদিকে নাটকের বাজেট সংকট। অন্যদিকে দেশের বাইরে টিভি নাটকের
শুটিংয়ের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রতি মাসেই দেশীয় টিভি নাটকের শুটিং হচ্ছে। অধিকাংশ
নাটকেই একই লোকেশন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই সময়ে নাটক নির্মাণের চেয়ে নাট্য নির্মাতাদের বিদেশপ্রীতি বেশি বলেই অনেকেই মন্তব্য করছেন। নাটকের মান কেমন হবে সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়, বিদেশে শুটিং করাতেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন কেউ কেউ। বিদেশের মাটিতে অল্প সময়ে মধ্যে শেষ করা হয় একসঙ্গে অনেকগুলো নাটকের শুটিং। অল্প সময়ে শুটিং শেষ করা নিয়েও অনেক শিল্পী নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তাদের ভাষ্য, অল্প সময়ে কোনো কিছু রান্না করলে সেটির স্বাদ কেমন হবে? বিদেশের মাটিতে দু’দিনের কাজ নির্মাতারা এক দিনে শেষ করতে চান। ফলে দেখা যায় কাজের কোয়ালিটি থাকছে না। তবে ভিন্নমত প্রকাশ করেন নির্মাতা সাখাওয়াত মানিক। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে তিনি পাঁচটি নাটকের শুটিং করেন। বিদেশে শুটিং করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে শিল্পীরা স্পটে আসতে দেরি করেন। সঠিক সময়ে সব শিল্পীকে একসঙ্গে পাওয়া যায় না। বিদেশের মাটিতে এই দুটি সমস্যা আমাদের হয় না। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরো কিছু বিষয়ে দেশের চেয়ে সেখানে সুবিধা পাওয়া যায় বেশি। যার কারণে বিদেশে শুটিং করছেন এই সময়ের অনেক নির্মাতা। অভিনেতা-নির্মাতা সোহেল আরমান বলেন, বছরের শেষ সময়ে দেশের বাইরে আমার নাটকেরও শুটিং হয়েছে। আমি গল্পের প্রয়োজনেই শুটিং করেছি। তবে দেশের বাইরে শুটিং করলেই নাটকের মান বাড়বে এমনটা ঠিক নয়। দেশের মাটিতেই অনেক ভালো নাটক নির্মাণ করা সম্ভব। লোকেশনের কথা যদি বলা হয় তাহলে সেটিও আমাদের দেশে কম নেই। কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি স্পটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, নির্মাতাদের বিদেশ প্রীতি না হওয়া উত্তম। তবে আমি কিন্তু বিদেশের মাটিতে শুটিং করার বিপক্ষে বলছি না। যদি গল্প দেশের বাইরে শুটিং করা ডিমান্ড করে তাহলে অবশ্যই তা করার প্রয়োজন আছে। কারণ আমাদের এখন কোনো দিক থেকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। বিদেশের শুটিং প্রসঙ্গে অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত বলেন, ভারতীয় সিরিয়ালগুলোতে দেখা যায় সেট তৈরি করে নাটক নির্মাণ করা হচ্ছে। একটা নাটকের গল্প অনুযায়ী সুন্দরভাবেই সেট তৈরি করা যায়। কিন্তু সেট তৈরি করে নাটক নির্মাণ আমাদের কমে গেছে। আমাদের কালজয়ী নাটকগুলো সেট তৈরি করেই নির্মিত হয়েছে। সেসব নাটক এখনো দর্শকের কাছে জনপ্রিয়। যদি একান্ত গল্পের প্রয়োজন হয় তাহলে দেশের মাটিতে শুটিং করা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর যদি গল্পে প্রয়োজন না হয় তাহলে দেশের প্রতি নির্মাতাদের গুরুত্ব দিতে হবে। নাটক সংশ্লিষ্টদের মতে, টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সারা বিশ্ব দেখার সুযোগ পাবে। এছাড়া দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শুটিং করার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন প্রশাসনের-এমন অভিমত নাটক সংশ্লিষ্টদের।
এই সময়ে নাটক নির্মাণের চেয়ে নাট্য নির্মাতাদের বিদেশপ্রীতি বেশি বলেই অনেকেই মন্তব্য করছেন। নাটকের মান কেমন হবে সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়, বিদেশে শুটিং করাতেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন কেউ কেউ। বিদেশের মাটিতে অল্প সময়ে মধ্যে শেষ করা হয় একসঙ্গে অনেকগুলো নাটকের শুটিং। অল্প সময়ে শুটিং শেষ করা নিয়েও অনেক শিল্পী নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তাদের ভাষ্য, অল্প সময়ে কোনো কিছু রান্না করলে সেটির স্বাদ কেমন হবে? বিদেশের মাটিতে দু’দিনের কাজ নির্মাতারা এক দিনে শেষ করতে চান। ফলে দেখা যায় কাজের কোয়ালিটি থাকছে না। তবে ভিন্নমত প্রকাশ করেন নির্মাতা সাখাওয়াত মানিক। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে তিনি পাঁচটি নাটকের শুটিং করেন। বিদেশে শুটিং করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে শিল্পীরা স্পটে আসতে দেরি করেন। সঠিক সময়ে সব শিল্পীকে একসঙ্গে পাওয়া যায় না। বিদেশের মাটিতে এই দুটি সমস্যা আমাদের হয় না। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরো কিছু বিষয়ে দেশের চেয়ে সেখানে সুবিধা পাওয়া যায় বেশি। যার কারণে বিদেশে শুটিং করছেন এই সময়ের অনেক নির্মাতা। অভিনেতা-নির্মাতা সোহেল আরমান বলেন, বছরের শেষ সময়ে দেশের বাইরে আমার নাটকেরও শুটিং হয়েছে। আমি গল্পের প্রয়োজনেই শুটিং করেছি। তবে দেশের বাইরে শুটিং করলেই নাটকের মান বাড়বে এমনটা ঠিক নয়। দেশের মাটিতেই অনেক ভালো নাটক নির্মাণ করা সম্ভব। লোকেশনের কথা যদি বলা হয় তাহলে সেটিও আমাদের দেশে কম নেই। কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি স্পটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, নির্মাতাদের বিদেশ প্রীতি না হওয়া উত্তম। তবে আমি কিন্তু বিদেশের মাটিতে শুটিং করার বিপক্ষে বলছি না। যদি গল্প দেশের বাইরে শুটিং করা ডিমান্ড করে তাহলে অবশ্যই তা করার প্রয়োজন আছে। কারণ আমাদের এখন কোনো দিক থেকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। বিদেশের শুটিং প্রসঙ্গে অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত বলেন, ভারতীয় সিরিয়ালগুলোতে দেখা যায় সেট তৈরি করে নাটক নির্মাণ করা হচ্ছে। একটা নাটকের গল্প অনুযায়ী সুন্দরভাবেই সেট তৈরি করা যায়। কিন্তু সেট তৈরি করে নাটক নির্মাণ আমাদের কমে গেছে। আমাদের কালজয়ী নাটকগুলো সেট তৈরি করেই নির্মিত হয়েছে। সেসব নাটক এখনো দর্শকের কাছে জনপ্রিয়। যদি একান্ত গল্পের প্রয়োজন হয় তাহলে দেশের মাটিতে শুটিং করা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর যদি গল্পে প্রয়োজন না হয় তাহলে দেশের প্রতি নির্মাতাদের গুরুত্ব দিতে হবে। নাটক সংশ্লিষ্টদের মতে, টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সারা বিশ্ব দেখার সুযোগ পাবে। এছাড়া দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শুটিং করার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন প্রশাসনের-এমন অভিমত নাটক সংশ্লিষ্টদের।
No comments