যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি
রাশিয়ার
বিরুদ্ধে শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার
ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাল্টা পদক্ষেপে গতকাল চুক্তিতে মস্কোর অংশীদারিত্ব বাতিল করার ঘোষণা
দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে
বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা নিয়ে রাশিয়ায়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু’র
সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরে এক বিবৃতিতে রুশ
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরাও একই রকমের প্রতিক্রিয়া দেখাবো। চুক্তির মার্কিন
অংশীদাররা ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা চুক্তি থেকে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাতিল
করছে। তাই আমরাও অংশীদারিত্ব বাতিল করলাম। তারা গবেষণা ও প্রযুক্তিগত
উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা বলছে। আমরাও একই কাজ করবো।’ এর
আগে, কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আইএনএফ চুক্তি থেকে
বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত।
যদিও ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা শুরু করে ২০১৪ সালে। তখন থেকেই মস্কো অব্যাহতভাবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত আইএনএফ চুক্তি অনুসারে, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে স্বল্প ও মধ্যম পাল্পার পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ দু’দেশ ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার মাত্রার কোনো পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করবে না। কিন্তু শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, রাশিয়া বছরের পর বছর এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে চলেছে। এজন্য তাদের কোনো অনুশোচনাও নেই। রাশিয়ার এই লঙ্ঘন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া আমাদের দায়িত্ব। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএনএফ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার ফলে রুশ অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। তবে পম্পেও চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরেও চুক্তি অব্যাহত রাখার সুযোগ ছিল। কেননা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে রাশিয়াকে ১৮০ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তিতে ফিরে আসতে সম্মত করার জন্য রাশিয়াকে বলা হয়। তবে রাশিয়া যদি তেমন কোনো উদ্যোগ না নেয়, বা যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই চুক্তিতে ফিরতে রাজি না হয়, তাহলে ১৮০ দিন পর চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া চূড়ান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাশিয়ার হাতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণত রণতরী বা সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য। সম্প্রতি দেশটি ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা আইএনএফ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু দু’দেশই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পাল্টাপাল্টি ঘোষণা দেয়ায় রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কার্যত কোনো বাধা থাকলো না।
এদিকে, আইএনএফ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে চীন। শনিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা প্রতিকূল ফল বয়ে আনবে। প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক আরো সাবলীল করতে, আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে ও বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য-স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইএনএফ চুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক মতবিভেদ দূর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিবৃতি রাশিয়া আইএনএফ চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার আগেই প্রকাশ করা হয়। আইএনএফ চুক্তির পরিবর্তে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন নতুন করে কোনো বহুপক্ষীয় চুক্তি করতে আগ্রহী কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে গেং সুয়াং বলেন, আইএনএফ চুক্তির বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, সামরিকসহ অনেক জটিলতা রয়েছে। তাই চীন এই চুক্তির বহুমুখীকরণের বিরুদ্ধে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন চুক্তি না করে বিদ্যমান চুক্তি বহাল রাখা জরুরি।
যদিও ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা শুরু করে ২০১৪ সালে। তখন থেকেই মস্কো অব্যাহতভাবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত আইএনএফ চুক্তি অনুসারে, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে স্বল্প ও মধ্যম পাল্পার পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ দু’দেশ ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার মাত্রার কোনো পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করবে না। কিন্তু শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, রাশিয়া বছরের পর বছর এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে চলেছে। এজন্য তাদের কোনো অনুশোচনাও নেই। রাশিয়ার এই লঙ্ঘন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া আমাদের দায়িত্ব। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএনএফ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার ফলে রুশ অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। তবে পম্পেও চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরেও চুক্তি অব্যাহত রাখার সুযোগ ছিল। কেননা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে রাশিয়াকে ১৮০ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তিতে ফিরে আসতে সম্মত করার জন্য রাশিয়াকে বলা হয়। তবে রাশিয়া যদি তেমন কোনো উদ্যোগ না নেয়, বা যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই চুক্তিতে ফিরতে রাজি না হয়, তাহলে ১৮০ দিন পর চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া চূড়ান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাশিয়ার হাতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণত রণতরী বা সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য। সম্প্রতি দেশটি ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা আইএনএফ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু দু’দেশই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পাল্টাপাল্টি ঘোষণা দেয়ায় রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কার্যত কোনো বাধা থাকলো না।
এদিকে, আইএনএফ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে চীন। শনিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা প্রতিকূল ফল বয়ে আনবে। প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক আরো সাবলীল করতে, আন্তর্জাতিক-আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে ও বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য-স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইএনএফ চুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক মতবিভেদ দূর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিবৃতি রাশিয়া আইএনএফ চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার আগেই প্রকাশ করা হয়। আইএনএফ চুক্তির পরিবর্তে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন নতুন করে কোনো বহুপক্ষীয় চুক্তি করতে আগ্রহী কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে গেং সুয়াং বলেন, আইএনএফ চুক্তির বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, সামরিকসহ অনেক জটিলতা রয়েছে। তাই চীন এই চুক্তির বহুমুখীকরণের বিরুদ্ধে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন চুক্তি না করে বিদ্যমান চুক্তি বহাল রাখা জরুরি।
No comments