এ দৃশ্য চোখে পড়ে না কারও by মো. মতিউর রহমান
সাটুরিয়ার
প্রধান নদী গাজীখালী এখন পানায় অবরুদ্ধ। প্রায় ১০ বছর ধরে গাজীখালী নদীর
১০ কিলোমিটার ঢাকা পড়েছে পানায়। গাজীখালী নদীর ব্রিজ থেকে যতদূর চোখ যায়
ততদূর পানা আর পানা। ফলে গাজীখালী হারিয়ে ফেলেছে তার যৌবনের সেই স্রোতধারা।
সাটুরিয়া উপজেলায় একটি নদী রক্ষা কমিটি থাকলেও তাদের চোখে এ দৃশ্য পড়ে না।
জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার ধলেশ্বরী নদী থেকে গাজীখালী নদীতে পানি
ঢোকানোর জন্য ১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে
একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ধলেশ্বরী নদী থেকে ছোট খালের মতো ড্রেন বের করে
গাজীখালী নদীতে মিশে দেন পানি নিষ্কাশনের জন্য। কিন্তু ওই ধলেশ্বরী নদীর
মুখ থেকে এক ফোটা পানিও আসেনি গাজীখালী নদীতে।
নামমাত্র খাল কেটে পুরো অর্থই অপচয় করা হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর মুখ বন্ধ ও ভরে যাওয়ায় এখন আর পানি আসে না গাজীখালী নদীতে। ফলে প্রায় ১০ বছর ধরে গাজীখালী নদীর পানির কী রং সাটুরিয়াবাসী তা দেখতে পায় না। দেখতে পান পানা আর পানা। গাজীখালীর নদীর দুকূলে বসবাসরত বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এক সময় গাজীখালীর স্রোত ও কলকল শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারতো না। এখন সেই নদী নিশ্চুপ ঘুমিয়ে থাকে। নেই কোনো স্রোতের কলকল শব্দ। গাজীখালীর তলানি থেকে আসে এখন পর্চা দুর্গন্ধ। সাটুরিয়া উপজেলার গাজীখালী নদীর দু’পাশে আবাদি ফসলের চাষাবাদ হতো এ নদীর পানি দিয়ে। কৃষকরা এখন গাজীখালী নদীর পানি না পেয়ে সেচের ব্যবস্থা করে চাষাবাদ করছেন। কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ নদীর পানি দিয়ে যখন চাষাবাদ করেছি তখন আমাদের খরচ কম হয়েছে। এখন চাষাবাদ করতে খরচ বেড়েছে।
গাজীখালী নদীর পাড়ে বসবাসরত ৮০ বছরের বৃদ্ধ মো. সামছুল আলম বলেন, হায়রে গাজীখালী তোকে কী দেখেছি আর এখন কী দেখছি। তোর বুকজুড়ে ছিল পানি আর পানির স্রোত। এখন শুধু পানা আর পানা। যে নদী দিয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচল করতো। ভেসে উঠতো শিশু যা দেখতে সকাল বিকাল নদীর ধারে মানুষ জড়ো হতো। এখন তোর পচা দুর্গন্ধে কেউ আসে না তোর কাছে। এভাবেই মনের কষ্টে বললেন আলম।
এদিকে, সাটুরিয়াবাসীর প্রাণের দাবি নদীরক্ষা কমিটি গাজীখালী নদীকে পানা অবমুক্ত করে এর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হোক। নইলে অচিরেই গাজীখালী নদী হারিয়ে যাবে সাটুরিয়ার মানচিত্র থেকে।
নামমাত্র খাল কেটে পুরো অর্থই অপচয় করা হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর মুখ বন্ধ ও ভরে যাওয়ায় এখন আর পানি আসে না গাজীখালী নদীতে। ফলে প্রায় ১০ বছর ধরে গাজীখালী নদীর পানির কী রং সাটুরিয়াবাসী তা দেখতে পায় না। দেখতে পান পানা আর পানা। গাজীখালীর নদীর দুকূলে বসবাসরত বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এক সময় গাজীখালীর স্রোত ও কলকল শব্দে মানুষ ঘুমাতে পারতো না। এখন সেই নদী নিশ্চুপ ঘুমিয়ে থাকে। নেই কোনো স্রোতের কলকল শব্দ। গাজীখালীর তলানি থেকে আসে এখন পর্চা দুর্গন্ধ। সাটুরিয়া উপজেলার গাজীখালী নদীর দু’পাশে আবাদি ফসলের চাষাবাদ হতো এ নদীর পানি দিয়ে। কৃষকরা এখন গাজীখালী নদীর পানি না পেয়ে সেচের ব্যবস্থা করে চাষাবাদ করছেন। কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ নদীর পানি দিয়ে যখন চাষাবাদ করেছি তখন আমাদের খরচ কম হয়েছে। এখন চাষাবাদ করতে খরচ বেড়েছে।
গাজীখালী নদীর পাড়ে বসবাসরত ৮০ বছরের বৃদ্ধ মো. সামছুল আলম বলেন, হায়রে গাজীখালী তোকে কী দেখেছি আর এখন কী দেখছি। তোর বুকজুড়ে ছিল পানি আর পানির স্রোত। এখন শুধু পানা আর পানা। যে নদী দিয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচল করতো। ভেসে উঠতো শিশু যা দেখতে সকাল বিকাল নদীর ধারে মানুষ জড়ো হতো। এখন তোর পচা দুর্গন্ধে কেউ আসে না তোর কাছে। এভাবেই মনের কষ্টে বললেন আলম।
এদিকে, সাটুরিয়াবাসীর প্রাণের দাবি নদীরক্ষা কমিটি গাজীখালী নদীকে পানা অবমুক্ত করে এর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হোক। নইলে অচিরেই গাজীখালী নদী হারিয়ে যাবে সাটুরিয়ার মানচিত্র থেকে।
No comments