ন্যান্সি পেলোসির বিদেশ সফর আটকে দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন
কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিদেশ
সফর আটকে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ট ট্রাম্প। এক চিঠিতে তিনি পেলোসিকে
বলেন- ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সরকারে অচলাবস্থার কারণে আপনার ব্রাসেলস,
মিসর ও আফগানিস্তান সফর স্থগিত করা হয়েছে। অচলাবস্থা নিরসনের পর আবারো এই
সফরের সময় নির্ধারণ করা হবে।’ সামরিক বাহিনীর সরকারি বিমানে পেলোসির বিদেশ
সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে পেলোসি ও তার
সফরসঙ্গীদের সে বিমান ব্যবহারের অনুমতি দেন নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প
এর মাধ্যমে পেলোসির ওপর ক্ষোভ মিটিয়েছেন। কেননা, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
বিবেচনা করে প্রেসিডেন্টকে তার স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ না দেয়ার অনুরোধ
করেছিলেন পেলোসি। তার পাল্টা জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রথম কার্যদিবসে কংগ্রেসে
ভাষণ দেন।
তার এই বক্তৃতা স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন নামে পরিচিত। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক রীতি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে মার্কিন সরকারে অচলাবস্থা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ প্রকল্পে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন। প্রথমে মেক্সিকো সরকার দেয়াল নির্মাণের খরচ দেয়ার কথা বললেও পরে দেশটি এতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ট্রাম্প এই প্রকল্পের ব্যয় বহন করার জন্য কংগ্রেসের কাছে অর্থ বরাদ্দের আরজি জানান। কিন্তু জনগণের করের টাকায় অহেতুক প্রকল্পে এত বিপুল অর্থ দিতে রাজি হয়নি ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। উভয়পক্ষের অনড় অবস্থানের ফলে মার্কিন সরকারে অনির্দিষ্টকালের অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির প্রথম বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা ছিল। সফর শুরুর এক ঘণ্টারও কম সময় আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সফর স্থগিত ঘোষণা করেন। পেলোসিকে লেখা ট্রাম্পের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স। এতে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি মনে করি- এমন পরিস্থিতিতে আপনি ওয়াশিংটনে থেকে আমার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলে, সরকারে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কঠোর সীমান্ত নিরাপত্তার উদ্যোগে শামিল হলে তুলনামূলক বেশি ভালো হতো।’ তিনি আরো বলেন, যদি একান্তই সিপকার যেতে চান, তাহলে তিনি বেসামরিক বিমানে ভ্রমণ করতে পারে। শুধু সরকারি সামরিক বিমান উড্ডয়ন স্থগিত করা হয়েছে, পেলোসির যাত্রা নয়।
চিঠির বিষয়ে এখনো সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানান নি ন্যান্সি পেলোসি। তবে, প্রেসিডেন্টের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পেলোসির মুখপাত্র ড্রিউ হ্যামিল। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, এই সফর আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যেই ছিল। পথে ব্রাসেলসে থামার কারণ ছিল দুটো। চালককে বিশ্রাম দেয়া ও ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে যাওয়া। সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ আস্থা আছে সেটা পুনঃপ্রকাশ করা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ড্রিউ হ্যামিল বলেন, প্রেসিডেন্ট যে অচলাবস্থার কথা বলে পেলোসির সফর বাতিল করলেন, সেই অবস্থা চলাকালে তিনি পুরো দল নিয়ে ইরাক সফর করে এসেছেন। একইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের আয়োজনেও প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন। তবে, পরে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য দাভোসে কোনো প্রতিনিধি না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন সরকারের তিন চতুর্থাংশ কার্যক্রম পরিচালনার অর্থ বরাদ্দ করা আছে। বাকি এক চতুর্থাংশের বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ায় অচলাবস্থা ঠেকাতে গত ২১শে ডিসেম্বর নতুন অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দ অপরিহার্য ছিল। তখন ট্রামপ ঘোষণা দেন দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ ছাড়া তিনি কোনো বাজেট বিলে স্বাক্ষর করবেন না। দুইপক্ষের অনড় অবস্থানে বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় ডিসেম্বরের ২২ তারিখ থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে রয়েছে।
তার এই বক্তৃতা স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন নামে পরিচিত। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক রীতি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে মার্কিন সরকারে অচলাবস্থা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ প্রকল্পে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন। প্রথমে মেক্সিকো সরকার দেয়াল নির্মাণের খরচ দেয়ার কথা বললেও পরে দেশটি এতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ট্রাম্প এই প্রকল্পের ব্যয় বহন করার জন্য কংগ্রেসের কাছে অর্থ বরাদ্দের আরজি জানান। কিন্তু জনগণের করের টাকায় অহেতুক প্রকল্পে এত বিপুল অর্থ দিতে রাজি হয়নি ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। উভয়পক্ষের অনড় অবস্থানের ফলে মার্কিন সরকারে অনির্দিষ্টকালের অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির প্রথম বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা ছিল। সফর শুরুর এক ঘণ্টারও কম সময় আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সফর স্থগিত ঘোষণা করেন। পেলোসিকে লেখা ট্রাম্পের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স। এতে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি মনে করি- এমন পরিস্থিতিতে আপনি ওয়াশিংটনে থেকে আমার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলে, সরকারে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কঠোর সীমান্ত নিরাপত্তার উদ্যোগে শামিল হলে তুলনামূলক বেশি ভালো হতো।’ তিনি আরো বলেন, যদি একান্তই সিপকার যেতে চান, তাহলে তিনি বেসামরিক বিমানে ভ্রমণ করতে পারে। শুধু সরকারি সামরিক বিমান উড্ডয়ন স্থগিত করা হয়েছে, পেলোসির যাত্রা নয়।
চিঠির বিষয়ে এখনো সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানান নি ন্যান্সি পেলোসি। তবে, প্রেসিডেন্টের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পেলোসির মুখপাত্র ড্রিউ হ্যামিল। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, এই সফর আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যেই ছিল। পথে ব্রাসেলসে থামার কারণ ছিল দুটো। চালককে বিশ্রাম দেয়া ও ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে যাওয়া। সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ আস্থা আছে সেটা পুনঃপ্রকাশ করা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ড্রিউ হ্যামিল বলেন, প্রেসিডেন্ট যে অচলাবস্থার কথা বলে পেলোসির সফর বাতিল করলেন, সেই অবস্থা চলাকালে তিনি পুরো দল নিয়ে ইরাক সফর করে এসেছেন। একইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের আয়োজনেও প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন। তবে, পরে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য দাভোসে কোনো প্রতিনিধি না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন সরকারের তিন চতুর্থাংশ কার্যক্রম পরিচালনার অর্থ বরাদ্দ করা আছে। বাকি এক চতুর্থাংশের বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ায় অচলাবস্থা ঠেকাতে গত ২১শে ডিসেম্বর নতুন অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দ অপরিহার্য ছিল। তখন ট্রামপ ঘোষণা দেন দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ ছাড়া তিনি কোনো বাজেট বিলে স্বাক্ষর করবেন না। দুইপক্ষের অনড় অবস্থানে বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় ডিসেম্বরের ২২ তারিখ থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে রয়েছে।
No comments