রোহিঙ্গা সংকট: কথা বেশি, কাজ কম by মিজানুর রহমান
রোহিঙ্গা
সংকট নিয়ে বিশ্বের দেশে দেশে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু সংকট সমাধানে
বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক অ্যাকশন বা কার্যকর পদক্ষেপ যৎ সামান্যই! হয়তো এ কারণে
সদ্য সমাপ্ত আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স রিট্রিটের আলোচনা শেষে এমন হেডলাইন
করেছে থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম দ্য ন্যাশন।
ওই পোর্টালে গতকালের টপ নিউজ ছিল ‘বিগ টক বাট লিটল অ্যাকশন অন রোহিঙ্গা’। বঙ্গানুবাদ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো- রোহিঙ্গা বিষয়ক কথা বেশি হচ্ছে, উদ্যোগ সামান্যই। থাইল্যান্ডে চিয়াংমাই শহরে সাউথইস্ট এশিয়ার ১০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একান্ত আলোচনায় বসেছিলেন। রিট্রিট সেশনে ছিলেন এটি। তারা সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আঞ্চলিক তথা বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। রিট্রিটে মোটা দাগে আলোচনা হয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে।
এর আগের বছর সিঙ্গাপুরে আসিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সর্বশেষ সম্মেলনেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
সেই আলোচনার ধারাবাহিকতায় এবারো কিছু সুপারিশ এসেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে। কিন্তু সেটি প্রয়োজন এবং বাস্তবতার তুলনায় নিতান্তই নগন্য। এমনটা উল্লেখ করে থাই সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, এটি তাদের পূর্বানুমান বা আগে পাওয়া ধারণাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ওই বৈঠকে আসিয়ান জোটের প্রভাবশালী অংশীদার মিয়ানমার, যেখানে রোহিঙ্গা সংকটের শিকড় সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কার্যকর নেতা অং সান সুচি অংশ নেননি।
তার অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের খবরেই ধারণা মিলেছিল যে ইস্যুটি রিট্রিটে আন্ডার মাইন্ড বা ডাউন প্লে হবে। তা-ই হয়েছে। আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যে আলোচনা হয়েছে তার সারবেত্তা তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকের চেয়ারম্যানের বিবৃতিতে। হোস্ট কান্ট্রি থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুউইনাই তার বিবৃতিতে বলেছেন, আসিয়ান জোটের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বিশেষ করে বাস্তুচ্যুত বা শরণার্থী হিসেবে থাকা লাখও রোহিঙ্গার রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আগ্রহ এবং প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা এ-ও বলেছেন, বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিশেষ করে স্টেক হোল্ডারদের কাজ কর্ম পাওয়ার জন্য রাখাইনের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। পুঞ্জিভূত রোহিঙ্গা সংকটের গভীরতা নিয়ে আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স মিটিংয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে, তবে সেখানে অল্প ক’টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আসিয়ানের তরফে মানবিক সহায়তা প্রদান।
আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স রিট্রিট সেশন বিষয়ে ব্যাংকক পোস্টের রিপোর্টের শিরোনাম ছিল ‘আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স প্লেজ ভাইটাল রোল ইন রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’। তারা যেটা বলার চেষ্টা করে তা হলো- দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১০ জাতি রাষ্ট্রের জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেছিলেন। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে তারা কে কি ভূমিকা রাখতে পারেন- তা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সেখানে রাখাইনে মানবিক সাহায্য-মূল্যায়ন বিষয়ক একটি মিশন (প্রতিনিধিদল) পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রীরা একমত হন।
আসিয়ানের মন্ত্রীরা বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে সহায়তা দিতেই ওই মিশন পাঠাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। তবে কবে নাগাদ রাখাইনে সহায়তা-মূল্যায়ন মিশন পাঠানো হচ্ছে সেই দিন-ক্ষণ বলতে পারেননি চেয়ারম্যান। তারা বিষয়টি রাখাইন পরিস্থিতির ওপর (গ্রাউন্ড রিয়েলিটি)র ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্মীদের ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চলার প্রেক্ষিতে প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ওই জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ছড়িয়ে পড়েছে।
রাখাইনে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড় ভিকটিম বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অবশ্য এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনও পাচ্ছে ঢাকা। কিন্তু এত চাপের মুখেও মিয়ানমার তথা সুচি সরকার প্রত্যাবাসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। বরং তারা নানা কৌশলে, বক্তৃতা-বিবৃতি আর প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মধ্য দিয়ে কালক্ষেপণ করে চলেছে। স্মরণ করা যায়, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ কথা বলেছেন। প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি না হওয়া তিনি গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি সর্বশেষ পরিস্থিতি সরজমিন ফের পরিদর্শনে মিয়ানমার যেতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশে আসছেন। তিনি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও যাবেন।
ওই পোর্টালে গতকালের টপ নিউজ ছিল ‘বিগ টক বাট লিটল অ্যাকশন অন রোহিঙ্গা’। বঙ্গানুবাদ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো- রোহিঙ্গা বিষয়ক কথা বেশি হচ্ছে, উদ্যোগ সামান্যই। থাইল্যান্ডে চিয়াংমাই শহরে সাউথইস্ট এশিয়ার ১০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একান্ত আলোচনায় বসেছিলেন। রিট্রিট সেশনে ছিলেন এটি। তারা সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আঞ্চলিক তথা বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। রিট্রিটে মোটা দাগে আলোচনা হয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে।
এর আগের বছর সিঙ্গাপুরে আসিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সর্বশেষ সম্মেলনেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
সেই আলোচনার ধারাবাহিকতায় এবারো কিছু সুপারিশ এসেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে। কিন্তু সেটি প্রয়োজন এবং বাস্তবতার তুলনায় নিতান্তই নগন্য। এমনটা উল্লেখ করে থাই সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, এটি তাদের পূর্বানুমান বা আগে পাওয়া ধারণাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ওই বৈঠকে আসিয়ান জোটের প্রভাবশালী অংশীদার মিয়ানমার, যেখানে রোহিঙ্গা সংকটের শিকড় সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কার্যকর নেতা অং সান সুচি অংশ নেননি।
তার অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের খবরেই ধারণা মিলেছিল যে ইস্যুটি রিট্রিটে আন্ডার মাইন্ড বা ডাউন প্লে হবে। তা-ই হয়েছে। আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যে আলোচনা হয়েছে তার সারবেত্তা তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকের চেয়ারম্যানের বিবৃতিতে। হোস্ট কান্ট্রি থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুউইনাই তার বিবৃতিতে বলেছেন, আসিয়ান জোটের প্রায় সবাই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বিশেষ করে বাস্তুচ্যুত বা শরণার্থী হিসেবে থাকা লাখও রোহিঙ্গার রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আগ্রহ এবং প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা এ-ও বলেছেন, বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিশেষ করে স্টেক হোল্ডারদের কাজ কর্ম পাওয়ার জন্য রাখাইনের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। পুঞ্জিভূত রোহিঙ্গা সংকটের গভীরতা নিয়ে আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স মিটিংয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে, তবে সেখানে অল্প ক’টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আসিয়ানের তরফে মানবিক সহায়তা প্রদান।
আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স রিট্রিট সেশন বিষয়ে ব্যাংকক পোস্টের রিপোর্টের শিরোনাম ছিল ‘আসিয়ান ফরেন মিনিস্টার্স প্লেজ ভাইটাল রোল ইন রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’। তারা যেটা বলার চেষ্টা করে তা হলো- দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১০ জাতি রাষ্ট্রের জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেছিলেন। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে তারা কে কি ভূমিকা রাখতে পারেন- তা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সেখানে রাখাইনে মানবিক সাহায্য-মূল্যায়ন বিষয়ক একটি মিশন (প্রতিনিধিদল) পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রীরা একমত হন।
আসিয়ানের মন্ত্রীরা বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে সহায়তা দিতেই ওই মিশন পাঠাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। তবে কবে নাগাদ রাখাইনে সহায়তা-মূল্যায়ন মিশন পাঠানো হচ্ছে সেই দিন-ক্ষণ বলতে পারেননি চেয়ারম্যান। তারা বিষয়টি রাখাইন পরিস্থিতির ওপর (গ্রাউন্ড রিয়েলিটি)র ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্মীদের ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চলার প্রেক্ষিতে প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ওই জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ছড়িয়ে পড়েছে।
রাখাইনে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড় ভিকটিম বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অবশ্য এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনও পাচ্ছে ঢাকা। কিন্তু এত চাপের মুখেও মিয়ানমার তথা সুচি সরকার প্রত্যাবাসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। বরং তারা নানা কৌশলে, বক্তৃতা-বিবৃতি আর প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মধ্য দিয়ে কালক্ষেপণ করে চলেছে। স্মরণ করা যায়, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ কথা বলেছেন। প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি না হওয়া তিনি গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি সর্বশেষ পরিস্থিতি সরজমিন ফের পরিদর্শনে মিয়ানমার যেতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশে আসছেন। তিনি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও যাবেন।
No comments