শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ: দুই নারীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
কনকদুর্গা
ও বিন্দুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার কেরালা সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান
বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। তবে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশের পর শবরীমালা
মন্দিরের পুরোহিতেরা যাতে মন্দিরের গর্ভগৃহ ও বিগ্রহ পরিশোধন না করেন, সেই
আবেদনে সর্বোচ্চ আদালত কান দেননি।
কেরালার পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় শবরীমালা মন্দির। প্রথা অনুযায়ী ওই মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেরালা হাইকোর্টও ওই মর্মে রায় দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘিরে শুরু হয়েছে এক ধর্মীয় ও সামাজিক সংকট।
কনকদুর্গা ও বিন্দু রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মন্দিরে প্রবেশ ও বিগ্রহ দর্শন করেন। সে জন্য কনকদুর্গা নিজের শাশুড়ির হাতে নিগৃহীতও হন। সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
দুই নারীর অন্য আবেদনটি অবশ্য সর্বোচ্চ আদালত গ্রাহ্য করেননি। তাঁদের দাবি ছিল, ঋতুমতী নারীদের মন্দির প্রবেশের পর পুরোহিতেরা প্রতিবার মন্দিরের গর্ভগৃহ ও বিগ্রহ পরিশোধন করেন। সেই সময় মন্দির সর্বসাধারণের জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয়। এই প্রথা নারী ভক্তদের সম্মানহানিকরই শুধু নয়, সংবিধানপরিপন্থীও।
শুনানির সময় কেরালা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের রায়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫১ জন ঋতুমতী নারী শবরীমালায় আয়াপ্পা দর্শন করেছেন। রাজ্য সরকার ইচ্ছুক নারীদের সব রকমের সহায়তা করেছে। নিরাপত্তাও দিয়েছে।
রাজ্য সরকার সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়েছে। মন্দির ঘুরে আসা নারীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে অথবা সামাজিকভাবে অত্যাচারিত বা নিগৃহীত হলে রাজ্য সরকার আইনত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য থাকবে।
কেরালার পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় শবরীমালা মন্দির। প্রথা অনুযায়ী ওই মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেরালা হাইকোর্টও ওই মর্মে রায় দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘিরে শুরু হয়েছে এক ধর্মীয় ও সামাজিক সংকট।
কনকদুর্গা ও বিন্দু রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মন্দিরে প্রবেশ ও বিগ্রহ দর্শন করেন। সে জন্য কনকদুর্গা নিজের শাশুড়ির হাতে নিগৃহীতও হন। সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
দুই নারীর অন্য আবেদনটি অবশ্য সর্বোচ্চ আদালত গ্রাহ্য করেননি। তাঁদের দাবি ছিল, ঋতুমতী নারীদের মন্দির প্রবেশের পর পুরোহিতেরা প্রতিবার মন্দিরের গর্ভগৃহ ও বিগ্রহ পরিশোধন করেন। সেই সময় মন্দির সর্বসাধারণের জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয়। এই প্রথা নারী ভক্তদের সম্মানহানিকরই শুধু নয়, সংবিধানপরিপন্থীও।
শুনানির সময় কেরালা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের রায়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫১ জন ঋতুমতী নারী শবরীমালায় আয়াপ্পা দর্শন করেছেন। রাজ্য সরকার ইচ্ছুক নারীদের সব রকমের সহায়তা করেছে। নিরাপত্তাও দিয়েছে।
রাজ্য সরকার সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়েছে। মন্দির ঘুরে আসা নারীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে অথবা সামাজিকভাবে অত্যাচারিত বা নিগৃহীত হলে রাজ্য সরকার আইনত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য থাকবে।
No comments