নীচু জাত বলে... by অমর সাহা
জানকি
সিংহনিয়া গিয়েছিলেন কুয়ো থেকে পানি তুলতে। কুয়োর মধ্যে বালতিও ফেলেছিলেন
তিনি। হঠাৎ কী হলো, কুয়োর পাশে মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন, জ্ঞান হারালেন। সেই
জ্ঞান আর ফিরল না। চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।
ভারতের ওডিশা রাজ্যের ঝাড়সুখুদা জেলার ছোট্ট গ্রাম কারপাবাহালে গত বুধবার ১৭ বছরের এক ছেলে রেখে মারা যান জানকি (৫০)। মায়ের মৃত্যুতে শোকের চেয়ে তাঁর সৎকারের চিন্তায় দিশেহারা ছেলে সরোজ সিংহনিয়া। আগে থেকেই নীচু জাতের বলে জানকিকে একরকম একঘরে করে রেখেছিল গ্রামের মানুষ। মৃত্যুর পরও যেন জাত ভুলতে পারল না তারা। সৎকারে এগিয়ে এল না কেউ। উপায় না দেখে কাপড়ে মুড়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মায়ের লাশ সরোজ নিয়ে তুলল সাইকেলে। সাইকেল চালিয়ে ৪-৫ কিলোমিটার দূরের ছাড়িয়া জঙ্গলে গিয়ে মায়ের সৎকার করল সে।
ওডিশার লিপসাপলি গ্রামের নীচু জাতের মনু সিংহনিয়াকে বিয়ের পর থেকেই জাতের ভেদাভেদে পড়ে যান জানকি সিংহনিয়া। দলিত বলে গ্রামে বিধিনিষেধের অন্ত ছিল না। একসময় স্বামীর মৃত্যু হলে সন্তান নিয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়েন জানকি। কোনো রকমে চলতে থাকে জীবন। তাই বলে মায়ের মৃত্যুর পরও যে কেউ এগিয়ে আসবে না তা যেন ভাবতে পারেনি সরোজ। এমনকি মৃতদেহও কেউ ছোঁয়নি। দেখতেও আসেনি কেউ। এই ঘটনা যেন এক ধাক্কায় অনেকটাই বড় করে দিয়েছে তাকে। পরে সে একাই নিয়ে নেয় মায়ের সৎকারের ভার।
সরোজের এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় দানা মাঝির কথা। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে যক্ষ্মা রোগে মারা যান দানা মাঝির স্ত্রী। হাসপাতালে মারা গেলেও মরদেহ নিজের বাড়িতে অর্থের অভাবে নিয়ে আসতে পারছিলেন না দানা। অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাহায্যও করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপায় না দেখে সেই মৃতদেহ বেঁধে মাথায় করে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার পথ বয়ে নিয়ে আসেন দানা মাঝি। পাশে পাশে হাঁটতে থাকে তাঁদের একরত্তি মেয়েটি। সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয় মানুষজন মৃতদেহ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। ঘটনাটি সেদিন দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল।
ভারতের ওডিশা রাজ্যের ঝাড়সুখুদা জেলার ছোট্ট গ্রাম কারপাবাহালে গত বুধবার ১৭ বছরের এক ছেলে রেখে মারা যান জানকি (৫০)। মায়ের মৃত্যুতে শোকের চেয়ে তাঁর সৎকারের চিন্তায় দিশেহারা ছেলে সরোজ সিংহনিয়া। আগে থেকেই নীচু জাতের বলে জানকিকে একরকম একঘরে করে রেখেছিল গ্রামের মানুষ। মৃত্যুর পরও যেন জাত ভুলতে পারল না তারা। সৎকারে এগিয়ে এল না কেউ। উপায় না দেখে কাপড়ে মুড়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মায়ের লাশ সরোজ নিয়ে তুলল সাইকেলে। সাইকেল চালিয়ে ৪-৫ কিলোমিটার দূরের ছাড়িয়া জঙ্গলে গিয়ে মায়ের সৎকার করল সে।
ওডিশার লিপসাপলি গ্রামের নীচু জাতের মনু সিংহনিয়াকে বিয়ের পর থেকেই জাতের ভেদাভেদে পড়ে যান জানকি সিংহনিয়া। দলিত বলে গ্রামে বিধিনিষেধের অন্ত ছিল না। একসময় স্বামীর মৃত্যু হলে সন্তান নিয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়েন জানকি। কোনো রকমে চলতে থাকে জীবন। তাই বলে মায়ের মৃত্যুর পরও যে কেউ এগিয়ে আসবে না তা যেন ভাবতে পারেনি সরোজ। এমনকি মৃতদেহও কেউ ছোঁয়নি। দেখতেও আসেনি কেউ। এই ঘটনা যেন এক ধাক্কায় অনেকটাই বড় করে দিয়েছে তাকে। পরে সে একাই নিয়ে নেয় মায়ের সৎকারের ভার।
সরোজের এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় দানা মাঝির কথা। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে যক্ষ্মা রোগে মারা যান দানা মাঝির স্ত্রী। হাসপাতালে মারা গেলেও মরদেহ নিজের বাড়িতে অর্থের অভাবে নিয়ে আসতে পারছিলেন না দানা। অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাহায্যও করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপায় না দেখে সেই মৃতদেহ বেঁধে মাথায় করে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার পথ বয়ে নিয়ে আসেন দানা মাঝি। পাশে পাশে হাঁটতে থাকে তাঁদের একরত্তি মেয়েটি। সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয় মানুষজন মৃতদেহ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। ঘটনাটি সেদিন দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল।
No comments