কফির চেয়েও কম দামে বাড়ি!
ইতালির
দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ সিসিলিতে ছোট থেকে মাঝারি বেশ কিছু বাড়ি বিক্রির জন্য
বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব বাড়ির দাম শুনলে যে কারও চক্ষু চড়কগাছ
হবে! এক কাপ কফি খেতে যে অর্থ খরচ করতে হবে, তার থেকেও কম দামে পেয়ে যাবেন
একেকটা আস্ত বাড়ি! প্রতিটি বাড়ির মূল্য মাত্র ১ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায়
প্রায় ৯৬ টাকা)। সিসিলির সাম্বুকা নগর প্রশাসন এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
দেশি-বিদেশি যে কারও জন্যও এই অফার প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে তারা।
পাহাড়ের ওপর নিরিবিলি শহর সাম্বুকা। এখান থেকে দেখা যায় ভূমধ্যসাগরের অপরূপ দৃশ্য। এখানকার বাড়িগুলোর জানালা দিয়েই কাছের সৈকতগুলো দেখা যায়। এই মনোরম শহরে বাড়ি পানির দামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এসব বাড়ি কিনে কেউ পানিতে পড়বেন না নিশ্চিত! খোদ সাম্বুকা নগর প্রশাসনই গ্যারান্টি দিয়েছে এর। এটি আসলে প্রতীকী মূল্য। বাড়িগুলো একেকটা ৪০ থেকে ১৫০ বর্গমিটারের (প্রায় ৪৩০ থেকে ১ হাজার ৬১৪ বর্গফুট)। এত কম দরে বাড়িগুলো বিক্রির চিন্তা এসেছে মূলত শহরটিকে আবার জমজমাট করার লক্ষ্যে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, ইতালির আরও অনেক গ্রামের মতোই এই এলাকাও ক্রমে জনশূন্য হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বড় বড় শহরে গিয়ে থিতু হচ্ছেন।
তবে এ ধরনের প্রস্তাবে বাড়ি বিক্রির লোভনীয় বিজ্ঞাপন এর আগেও দেওয়া হয়েছে অনেক গ্রামে। আর তা ইতালিতেই। এবারের অফার সেসব বিজ্ঞাপনের চেয়ে আলাদা বলে দাবি করেছে সাম্বুকার নগর কর্তৃপক্ষ। শহরটির ডেপুটি মেয়র ও পর্যটনবিষয়ক কাউন্সিলর জুজেপ্পে কাচোপ্পো বলেন, ‘এই বাড়িগুলো বর্তমানে নগর প্রশাসনের মালিকানায় রয়েছে। আমরা বাড়ি বিক্রির মধ্যস্বত্বভোগী কোনো পক্ষ নই যে, বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে কোনো মিথ্যা তৈরি করব। এখানে প্রতারণার কোনো ঝুঁকি নেই। আপনি ওই বাড়ি কিনতে চান, তো সঙ্গে সঙ্গেই তা হাতে পেয়ে যাবেন।’
তবে এসব বাড়ি কিনতে একটি ছোট্ট শর্ত জুড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্রেতাকে একটি বাড়ি কেনামাত্রই তা ঘষেমেজে ঝকঝকে করে তুলতে হবে। তা করতে হবে নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই। এর জন্য তিন বছর পাবেন ক্রেতা। সংস্কারের জন্য ন্যূনতম ব্যয় ১৫ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) থেকে শুরু। নিরাপত্তা আমানত হিসেবে ফেরতযোগ্য ৫ হাজার ইউরো (৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) জমা রাখতে হবে শুরুতে। সংস্কারকাজ শেষ হলেই সেটি ফেরত দেওয়া হবে ক্রেতাকে। কাচোপ্পো জোর দিয়ে বলেন, ক্রেতা হতাশ হবেন না, গ্যারান্টি।
প্রাচীন গ্রিক আমলে শহরটি স্থাপিত হলেও সাম্বুকা বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে দশম শতাব্দীতে মুসলিম শাসনের সময়কালে। শহরটির নামকরণের সঙ্গে আমির আল জাবুতের নাম জড়িত। ২০১৬ সালে সাম্বুকা ইতালির সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর প্রতিযোগিতায় অন্যতম মনোনীত শহর হয়েছিল।
পাহাড়ের ওপর নিরিবিলি শহর সাম্বুকা। এখান থেকে দেখা যায় ভূমধ্যসাগরের অপরূপ দৃশ্য। এখানকার বাড়িগুলোর জানালা দিয়েই কাছের সৈকতগুলো দেখা যায়। এই মনোরম শহরে বাড়ি পানির দামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এসব বাড়ি কিনে কেউ পানিতে পড়বেন না নিশ্চিত! খোদ সাম্বুকা নগর প্রশাসনই গ্যারান্টি দিয়েছে এর। এটি আসলে প্রতীকী মূল্য। বাড়িগুলো একেকটা ৪০ থেকে ১৫০ বর্গমিটারের (প্রায় ৪৩০ থেকে ১ হাজার ৬১৪ বর্গফুট)। এত কম দরে বাড়িগুলো বিক্রির চিন্তা এসেছে মূলত শহরটিকে আবার জমজমাট করার লক্ষ্যে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, ইতালির আরও অনেক গ্রামের মতোই এই এলাকাও ক্রমে জনশূন্য হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বড় বড় শহরে গিয়ে থিতু হচ্ছেন।
তবে এ ধরনের প্রস্তাবে বাড়ি বিক্রির লোভনীয় বিজ্ঞাপন এর আগেও দেওয়া হয়েছে অনেক গ্রামে। আর তা ইতালিতেই। এবারের অফার সেসব বিজ্ঞাপনের চেয়ে আলাদা বলে দাবি করেছে সাম্বুকার নগর কর্তৃপক্ষ। শহরটির ডেপুটি মেয়র ও পর্যটনবিষয়ক কাউন্সিলর জুজেপ্পে কাচোপ্পো বলেন, ‘এই বাড়িগুলো বর্তমানে নগর প্রশাসনের মালিকানায় রয়েছে। আমরা বাড়ি বিক্রির মধ্যস্বত্বভোগী কোনো পক্ষ নই যে, বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে কোনো মিথ্যা তৈরি করব। এখানে প্রতারণার কোনো ঝুঁকি নেই। আপনি ওই বাড়ি কিনতে চান, তো সঙ্গে সঙ্গেই তা হাতে পেয়ে যাবেন।’
তবে এসব বাড়ি কিনতে একটি ছোট্ট শর্ত জুড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্রেতাকে একটি বাড়ি কেনামাত্রই তা ঘষেমেজে ঝকঝকে করে তুলতে হবে। তা করতে হবে নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই। এর জন্য তিন বছর পাবেন ক্রেতা। সংস্কারের জন্য ন্যূনতম ব্যয় ১৫ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) থেকে শুরু। নিরাপত্তা আমানত হিসেবে ফেরতযোগ্য ৫ হাজার ইউরো (৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) জমা রাখতে হবে শুরুতে। সংস্কারকাজ শেষ হলেই সেটি ফেরত দেওয়া হবে ক্রেতাকে। কাচোপ্পো জোর দিয়ে বলেন, ক্রেতা হতাশ হবেন না, গ্যারান্টি।
প্রাচীন গ্রিক আমলে শহরটি স্থাপিত হলেও সাম্বুকা বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে দশম শতাব্দীতে মুসলিম শাসনের সময়কালে। শহরটির নামকরণের সঙ্গে আমির আল জাবুতের নাম জড়িত। ২০১৬ সালে সাম্বুকা ইতালির সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর প্রতিযোগিতায় অন্যতম মনোনীত শহর হয়েছিল।
No comments