বিপর্যয় ঠেকাতে খাদ্যাভ্যাস বদলান
মানবিক
বিপর্যয় ঠেকাতে খাদ্যাভ্যাস আমূল বদলাতে হবে। বর্তমান খাদ্যাভ্যাসের কারণে
লাখো মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকর খাবারের উৎপাদনও দিন দিন কমে
যাচ্ছে। ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে এক হাজার কোটিতে। এখনকার
খাদ্যাভ্যাস বজায় থাকলে পৃথিবী সে সেময় এত মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার
উৎপাদন করতে পারবে না। চিকিৎসাশাস্ত্রবিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’–এ
বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
‘ল্যানসেট’–এ প্রায় ৩৬ জন গবেষকের দল বলছে, খাদ্যাভাসের দিক দিয়ে দুনিয়াজুড়েই বড় ধরনের বদল আনতে হবে। শর্করা ও লাল মাংস খাওয়ার পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। শাকসবজি, ফলমূল ও বাদামের পরিমাণ বাড়াতে হবে দ্বিগুণ।
ল্যানসেট কমিশনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন অ্যান্ড পলিসির শিক্ষক টিম ল্যাং এএফপিকে বলেন, ‘আমরা বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে আছি। এখন ১০০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত। আর ২০০ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত। এতে স্থূলতা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস বাড়ছে।
গ্লোবাল ডিজিজ বার্ডন রিপোর্ট বলছে, প্রতিবছর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ১ হাজার ১০০ কোটির বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়ে যাওয়া, জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও কৃষিজমি কমে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যব্যবস্থায় বদল এসছে।
পটসডেম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ইমপ্যাক্ট রিসার্চের পরিচালক ও ‘ল্যানসেট’–এর সহলেখক জোহান রকস্টর্ম বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা বদলে যাওয়ায় ২০৫০ সালে এক হাজার কোটি মানুষের খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার, পরিবেশের ওপর কম প্রভাব ফেলবে—এমন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম সহলেখক ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিম ল্যাং বলছেন, ধনী দেশগুলোতে মাংস এবং মাংসজাতীয় খাবার কমাতে হবে। এর বদলে শাকসবজির চাষ বাড়াতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোতেও মাংস ও দুধজাতীয় খাবারের ওপর নির্ভরতা কমানোর পক্ষে তিনি।
টিম ল্যাংয়ের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য একজন দিনে ২৫০০ ক্যালোরি নিতে পারবেন। এর মানে এমন না যে মাংস একেবারেই খাওয়া যাবে না। তবে একজন দিনে ৭ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন। একটি হ্যামবার্গারে ১২৫ থেকে ১৫০ গ্রাম মাংস থাকে। তাই এ ধরনের খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। জেনে রাখা ভালো, স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর গরুর মাংস।
কোন খাবার কতটা খাবেন?
‘ল্যানসেট’ বলছে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে খাদ্যাভাসে খুব বেশি কিছু বদলানোর দরকার নেই। প্রয়োজনীয় ২৫০০ ক্যালোরি কীভাবে নেওয়া যেতে পারে তার তালিকা দিয়েছে ‘ল্যানসেট’।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেটি।
শাকসবজি ৩০০ গ্রাম
ফল ২০০ গ্রাম
শ্বেতসারযুক্ত সবজি (যেমন আলু) ৫০ গ্রাম
অসম্পৃক্ত তেল (জলপাই, সয়াবিন, রাই সরিষা, সূর্যমুখী, বাদাম তেল) ৪০ গ্রাম
চিনি ৩১ গ্রাম
দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার ২৫০ গ্রাম
শুকনো শিম, মসুর অথবা মটর ডাল ৫০ গ্রাম
খাদ্যশস্য যেমন (চাল, গম ভুট্টা) ২৩২ গ্রাম
হাঁস–মুরগির মাংস ২৯ গ্রাম
মাছ ২৮ গ্রাম
ডিম ১৩ গ্রাম (দেড়টি থেকে দুটি ডিম)
চিনাবাদাম ২৫ গ্রাম
সয়াজাত খাদ্য ২৫ গ্রাম
গরু বা ভেড়ার মাংস ১৪ গ্রাম
চর্বিজাতীয় খাবার ৫ গ্রাম
পাম তেল ৬.৮ গ্রাম
‘ল্যানসেট’–এ প্রায় ৩৬ জন গবেষকের দল বলছে, খাদ্যাভাসের দিক দিয়ে দুনিয়াজুড়েই বড় ধরনের বদল আনতে হবে। শর্করা ও লাল মাংস খাওয়ার পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। শাকসবজি, ফলমূল ও বাদামের পরিমাণ বাড়াতে হবে দ্বিগুণ।
ল্যানসেট কমিশনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন অ্যান্ড পলিসির শিক্ষক টিম ল্যাং এএফপিকে বলেন, ‘আমরা বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে আছি। এখন ১০০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত। আর ২০০ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত। এতে স্থূলতা, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস বাড়ছে।
গ্লোবাল ডিজিজ বার্ডন রিপোর্ট বলছে, প্রতিবছর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ১ হাজার ১০০ কোটির বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়ে যাওয়া, জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও কৃষিজমি কমে যাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যব্যবস্থায় বদল এসছে।
পটসডেম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ইমপ্যাক্ট রিসার্চের পরিচালক ও ‘ল্যানসেট’–এর সহলেখক জোহান রকস্টর্ম বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা বদলে যাওয়ায় ২০৫০ সালে এক হাজার কোটি মানুষের খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার, পরিবেশের ওপর কম প্রভাব ফেলবে—এমন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম সহলেখক ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টিম ল্যাং বলছেন, ধনী দেশগুলোতে মাংস এবং মাংসজাতীয় খাবার কমাতে হবে। এর বদলে শাকসবজির চাষ বাড়াতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোতেও মাংস ও দুধজাতীয় খাবারের ওপর নির্ভরতা কমানোর পক্ষে তিনি।
টিম ল্যাংয়ের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য একজন দিনে ২৫০০ ক্যালোরি নিতে পারবেন। এর মানে এমন না যে মাংস একেবারেই খাওয়া যাবে না। তবে একজন দিনে ৭ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন। একটি হ্যামবার্গারে ১২৫ থেকে ১৫০ গ্রাম মাংস থাকে। তাই এ ধরনের খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। জেনে রাখা ভালো, স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর গরুর মাংস।
কোন খাবার কতটা খাবেন?
‘ল্যানসেট’ বলছে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে খাদ্যাভাসে খুব বেশি কিছু বদলানোর দরকার নেই। প্রয়োজনীয় ২৫০০ ক্যালোরি কীভাবে নেওয়া যেতে পারে তার তালিকা দিয়েছে ‘ল্যানসেট’।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেটি।
শাকসবজি ৩০০ গ্রাম
ফল ২০০ গ্রাম
শ্বেতসারযুক্ত সবজি (যেমন আলু) ৫০ গ্রাম
অসম্পৃক্ত তেল (জলপাই, সয়াবিন, রাই সরিষা, সূর্যমুখী, বাদাম তেল) ৪০ গ্রাম
চিনি ৩১ গ্রাম
দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার ২৫০ গ্রাম
শুকনো শিম, মসুর অথবা মটর ডাল ৫০ গ্রাম
খাদ্যশস্য যেমন (চাল, গম ভুট্টা) ২৩২ গ্রাম
হাঁস–মুরগির মাংস ২৯ গ্রাম
মাছ ২৮ গ্রাম
ডিম ১৩ গ্রাম (দেড়টি থেকে দুটি ডিম)
চিনাবাদাম ২৫ গ্রাম
সয়াজাত খাদ্য ২৫ গ্রাম
গরু বা ভেড়ার মাংস ১৪ গ্রাম
চর্বিজাতীয় খাবার ৫ গ্রাম
পাম তেল ৬.৮ গ্রাম
No comments