ভেনিজুয়েলায় ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’ -গাইডোকে ট্রাম্প
ভেনিজুয়েলার
সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোপনে মিটিং হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিজেকে অন্তর্বর্তী
প্রেসিডেন্ট ঘোষণাকারী বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গাইডো। ওই মিটিংয়ে তিনি
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাতে সেনাবাহিনীর সমর্থন চেয়েছেন বলেও দাবি
করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত
এক মতামত কলামে তিনি এসব বলেছেন। তবে ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে
বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় নি। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি এই
সেনাবাহিনীর রয়েছে অকাট্য আনুগত্য। যদি হুয়ান গাইডোর দাবি সত্যি হয় তাহলে
মাদুরোর জন্য বিপদ সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে ওই বৈঠককে। কারণ, যদি হুয়ান
গাইডো সেনাবাহিনীর ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করে তাতে বিদ্রোহ ঘটাতে পারেন তাহলে
স্পষ্ট দুই ভাগ হয়ে যাবে সেনারা। আর তা হলে দেশের জন্য আরো বড় ক্ষতির কারণ
হতে পারে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এমনটা হলে তাতে দেশে অস্থিরতা বাড়বে। দেখা দিতে পারে গৃহযুদ্ধ। পুরো সেনাবাহিনীকে গাইডো তার অধীনে আনতে পারবেন এমনটা ভাবা বোকামি। হয়তো কিছু সেনা তাকে সমর্থক করতে পারেন। ফলে পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্লেষকদের।
জানুয়ারির শুরুতে গাইডো নিজেকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন। তারপর আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র সহ কমপক্ষে ২০ টি দেশ। অন্যদিকে মাদুরোর পিছনে রয়েছে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ইরানের মতো দেশ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালালে তার পরিণাম ভয়াবহ হবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তা থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনাও ঘটতে পারে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টুইটে বলেছেন, তিনি গাইডোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার ‘ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্সির’ সূচনাকে তিনি সমর্থন জানান। দ্বিতীয় আরেকটি টুইটে তিনি লিখেছেন ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’।
ওদিকে বৃটেন সহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ নিকোলাস মাদুরোকে আট দিনের সময় দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অবাধ, সুস্থ ও নিরপেক্ষ নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি তিনি তা করতে ব্যর্থ হন তাহলে তারা গাইডোকে সমর্থন দেবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি একটি আহ্বান জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমন আহ্বানে তিনি মাদুরো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার ডাক দিতে পারেন। এর আগে বুধবার হুয়ান গাইডোর সঙ্গে তার কথা হওয়ার কথা।
ওদিকে মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে এরই মধ্যে ৩০ লাখ মানুষ ভেনিজুয়েলা থেকে পালিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে সহিংস উত্তেজনা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা চালানোর ভয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। গত ১০ই জানুয়ারি মাদুরো শপথ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তখন থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। তারই এক পর্যায়ে গাইডো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে বসেন। দু’জনের মধ্যে সেই থেকে ক্ষমতা নিয়ে লড়াই চলছে। আর এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ব স্পষ্টতই দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
গাইডো লিখেছেন, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বেশকিছু সদস্যের সঙ্গে আমার গুপ্ত বৈঠক হয়েছে। মাদুরোর ওপর থেকে সেনাবাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহার সরকার পরিবর্তনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সেনাবাহিনীতে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠই একমত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যদি সেনাবাহিনীর কাউকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অপরাধী হিসেবে পাওয়া যায় তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা দেবে বর্তমানের বিরোধী দল।
ভেনিজুয়েলার ন্যাশনাল এম্বেলির প্রধান হিসেবে হুয়ান গাইডো বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যখন অবৈধ হয়ে যান তখন সংবিধান তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্ষমতা পরিচালনার অধিকার দিয়েছে। অ্যনদিকে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গাইডোকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তার সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এমনটা হলে তাতে দেশে অস্থিরতা বাড়বে। দেখা দিতে পারে গৃহযুদ্ধ। পুরো সেনাবাহিনীকে গাইডো তার অধীনে আনতে পারবেন এমনটা ভাবা বোকামি। হয়তো কিছু সেনা তাকে সমর্থক করতে পারেন। ফলে পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্লেষকদের।
জানুয়ারির শুরুতে গাইডো নিজেকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন। তারপর আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র সহ কমপক্ষে ২০ টি দেশ। অন্যদিকে মাদুরোর পিছনে রয়েছে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ইরানের মতো দেশ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালালে তার পরিণাম ভয়াবহ হবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তা থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনাও ঘটতে পারে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টুইটে বলেছেন, তিনি গাইডোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার ‘ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্সির’ সূচনাকে তিনি সমর্থন জানান। দ্বিতীয় আরেকটি টুইটে তিনি লিখেছেন ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’।
ওদিকে বৃটেন সহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ নিকোলাস মাদুরোকে আট দিনের সময় দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অবাধ, সুস্থ ও নিরপেক্ষ নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি তিনি তা করতে ব্যর্থ হন তাহলে তারা গাইডোকে সমর্থন দেবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি একটি আহ্বান জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমন আহ্বানে তিনি মাদুরো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার ডাক দিতে পারেন। এর আগে বুধবার হুয়ান গাইডোর সঙ্গে তার কথা হওয়ার কথা।
ওদিকে মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে এরই মধ্যে ৩০ লাখ মানুষ ভেনিজুয়েলা থেকে পালিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে সহিংস উত্তেজনা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা চালানোর ভয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। গত ১০ই জানুয়ারি মাদুরো শপথ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তখন থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। তারই এক পর্যায়ে গাইডো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে বসেন। দু’জনের মধ্যে সেই থেকে ক্ষমতা নিয়ে লড়াই চলছে। আর এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ব স্পষ্টতই দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
গাইডো লিখেছেন, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বেশকিছু সদস্যের সঙ্গে আমার গুপ্ত বৈঠক হয়েছে। মাদুরোর ওপর থেকে সেনাবাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহার সরকার পরিবর্তনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সেনাবাহিনীতে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠই একমত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যদি সেনাবাহিনীর কাউকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অপরাধী হিসেবে পাওয়া যায় তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা দেবে বর্তমানের বিরোধী দল।
ভেনিজুয়েলার ন্যাশনাল এম্বেলির প্রধান হিসেবে হুয়ান গাইডো বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যখন অবৈধ হয়ে যান তখন সংবিধান তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্ষমতা পরিচালনার অধিকার দিয়েছে। অ্যনদিকে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গাইডোকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তার সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে।
No comments