নিউ ইয়র্কে কাতারবিরোধী স্লোগান দিয়েছিলেন ভাড়াটে বিক্ষোভকারীরা
যুক্তরাষ্ট্রের
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের বাইরে সম্প্রতি অবরুদ্ধ কাতারের
বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা উপসাগরীয় দেশটির
বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কিন্তু এসব বিক্ষোভকারীকে অর্থের বিনিময়ে
ভাড়া করা হয়েছিল। তাদের সবাইকে দেয়া হয়েছে ১০০ ডলার করে। বৃটিশ অনলাইন দ্য
ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক
নারী সংবাদ মাধ্যমটির কাছে বিক্ষোভ আয়োজনের এই তথ্য ফাঁস করেছেন। ফেসবুকে
একটি অস্পষ্ট পোস্টের মাধ্যমে তিনি ওই বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে পারেন। এতে
ব্রুকলিনের স্থানীয় অধিবাসীদের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে শান্তির পক্ষে
স্লোগান দিতে ও শান্তির পতাকা উড়াতে বলা হয়।
এর বিনিময়ে অর্থ প্রদানের প্রস্তাবও দেয়া হয় ওই পোস্টে। কিন্তু সেখানে কাতারের কথা গোপন রাখা হয়। ওই নারী জানান, পোস্টের নির্দেশনা অনুসারে ২৫শে সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হন। কিন্তু বুঝতে পারেন, এটা মূলত কাতারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। সেখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ১০০ ডলার দেয়া হয়। হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় কাতারবিরোধী স্লোগান সংবলিত ব্যানার। নাম গোপন রাখার শর্তে ওই নারী আরো জানান, সেখানে অন্তত ৪০ জন ছিল। যারা একইভাবে ফেসবুকের পোস্ট দেখে এসেছেন। পরে তাদেরকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একই রকম ব্যানার- ফেস্টুনসহ আরেকটি বিক্ষোভকারী দল দেখতে পান। সম্ভবত, তাদেরকে আগেই জড়ো করা হয়েছে। নেজা তাগমতি নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকের মাধ্যমে এসব বিক্ষোভকারীকে সংগঠিত করেছেন। বিক্ষোভকারীদের কাছে পাঠানো তার ফেসবুক মেসেজ ইন্ডিপেন্ডেন্টের হাতে এসেছে। যাতে তাগমতি লিখেছেন- ‘বিশ্ব শান্তিকে উৎসাহিত করার জন্য আমি একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে এই অনুষ্ঠানে শান্তির জন্য বক্তৃতা ও সংগীত পরিবেশন করা হবে। আমার কিছু লোক দরকার যারা শুধু বক্তৃতা শুনবে ও হাততালি দিয়ে অনুপ্রেরণা দেবে। তাদের হাতে থাকবে বিশ্বের সব দেশের পতাকা। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে ১০০ ডলার করে দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে কাতারের একজন কূটনীতিক বলেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন থেকে বিরত রাখার জন্য কাতার অব্যাহতভাবে বিভিন্ন দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার শিকার হচ্ছে। ভাড়াটে লোকদের মাধ্যমে কাতারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ গোটা বিশ্বে কাতারের সুনাম নষ্ট করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই নেজা তাগমতিই বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে কাতারবিরোধী ভুয়া বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন। তবে এই বিক্ষোভ আয়োজনের মূল হোতা কারা, সে বিষয়টি পরিষ্কার না। ২০১৭ সাল থেকে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় ৪ দেশ। কাতারবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডেই সন্দেহের আঙুল তোলা হয় সৌদি জোটের বিরুদ্ধে।
এর বিনিময়ে অর্থ প্রদানের প্রস্তাবও দেয়া হয় ওই পোস্টে। কিন্তু সেখানে কাতারের কথা গোপন রাখা হয়। ওই নারী জানান, পোস্টের নির্দেশনা অনুসারে ২৫শে সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হন। কিন্তু বুঝতে পারেন, এটা মূলত কাতারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। সেখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ১০০ ডলার দেয়া হয়। হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় কাতারবিরোধী স্লোগান সংবলিত ব্যানার। নাম গোপন রাখার শর্তে ওই নারী আরো জানান, সেখানে অন্তত ৪০ জন ছিল। যারা একইভাবে ফেসবুকের পোস্ট দেখে এসেছেন। পরে তাদেরকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একই রকম ব্যানার- ফেস্টুনসহ আরেকটি বিক্ষোভকারী দল দেখতে পান। সম্ভবত, তাদেরকে আগেই জড়ো করা হয়েছে। নেজা তাগমতি নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকের মাধ্যমে এসব বিক্ষোভকারীকে সংগঠিত করেছেন। বিক্ষোভকারীদের কাছে পাঠানো তার ফেসবুক মেসেজ ইন্ডিপেন্ডেন্টের হাতে এসেছে। যাতে তাগমতি লিখেছেন- ‘বিশ্ব শান্তিকে উৎসাহিত করার জন্য আমি একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে এই অনুষ্ঠানে শান্তির জন্য বক্তৃতা ও সংগীত পরিবেশন করা হবে। আমার কিছু লোক দরকার যারা শুধু বক্তৃতা শুনবে ও হাততালি দিয়ে অনুপ্রেরণা দেবে। তাদের হাতে থাকবে বিশ্বের সব দেশের পতাকা। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে ১০০ ডলার করে দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে কাতারের একজন কূটনীতিক বলেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন থেকে বিরত রাখার জন্য কাতার অব্যাহতভাবে বিভিন্ন দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার শিকার হচ্ছে। ভাড়াটে লোকদের মাধ্যমে কাতারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ গোটা বিশ্বে কাতারের সুনাম নষ্ট করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই নেজা তাগমতিই বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে কাতারবিরোধী ভুয়া বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন। তবে এই বিক্ষোভ আয়োজনের মূল হোতা কারা, সে বিষয়টি পরিষ্কার না। ২০১৭ সাল থেকে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় ৪ দেশ। কাতারবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডেই সন্দেহের আঙুল তোলা হয় সৌদি জোটের বিরুদ্ধে।
No comments