যৌন নির্যাতনকারী যখন নারী, বাড়ছে তাদের সংখ্যা
বৃটেনে
শিশু ও টিনেজ বালক বালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনকারী নারীর সংখ্যা বাড়ছে।
তাদেরকে অভিযুক্ত করে সাজা দেয়া হলেও এ প্রবণতা থামছে না। মঙ্গলবার সোফি
এলমস নামের ১৮ বছর বয়সী একজন নারীকে এমন অভিযোগে ৭ বছর ১০ মাসের জেল দিয়েছে
আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি শিশুর ওপর ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করেছেন
তিনি। ওই দুটি শিশুর একটির বয়স দুই বছর। অন্যজনের তিন। এভাবে শিশুদের ওপর
যৌন নির্যাতনকারীদের ইংরেজিতে বলা হয় পায়েডোফাইল। সোফি এলমস এমন
নির্যাতনকারী একাই নন, বৃটিশ আইন মন্ত্রণালয়ের নতুন এক রিপোর্টে বলা হয়েছে,
২০১৬ সালে রেকর্ড সংখ্যাক নারী যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ওই বছরে ১৪২ জন নারী ও যুবতীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন রকম যৌনতা সংশ্লিষ্ট আচরণ। এর দুই বছর আগে যে পরিমাণ নারী ও যুবতী এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালের সংখ্যা তার দ্বিগুন। লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে। এ প্রবণতা বা পরিসংখ্যানকে অস্বস্তিকর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এতে। তাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নারী যৌন নির্যাতনকারীর সংখ্যা কি বাস্তবেই বেড়ে চলেছে?
সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ এমন সব ঘটনা ঘটেছে, যাতে যৌন নির্যাতনকারী নারী। তারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের সরাসরি জড়িত অথবা সম্পৃক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে হাই প্রোফাইল যৌন নির্যাতনকারী হলেন ভ্যানেসা জর্জ। তিনি সোফি এলমসের মতো একজন নার্সারি নার্স। তবে সোফি এলমসের মতো এই নির্যাতনের ঘটনা তিনি শিশুদের যতœ নেয়ার কেন্দ্রে ঘটান নি। তাকে শিশুদের পিতামাতা নিরপরাধী হিসেবে দেখতেন। বর্তমানে তার বয়স ৪৮ বছর। তাকে বলা হয় লন্ডনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকারী সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধী। ২০০৯ সালে তিনি স্বীকার করেন যে, তার তত্ত্বাবধানে থাকা শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছেন। এর পরই তাকে অনির্দিষ্টকালের জেল দেয়া হয়েছিল। একটি গ্যাং, যারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন করে তাদের ‘মিস্ট্রেস’ বা রক্ষিতা হওয়ার ফলে নরউইচের একটি আদালত ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন জেল দেয় ৩৪ বছর বয়সী যুবতী মেরি ব্লাককে। ওই রায় দিয়ে বিচারক বলেছিলেন, তিনি ওই সময় পর্যন্ত যত মামলার রায় দিয়েছেন এটি ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
ওদিকে মঙ্গলবার একজন শিক্ষিকাকে দুই বছরের বেশি জেল দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৫ বছর বয়সী একটি স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ৯ মাস ধরে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ২০১৫ সালে ৩২ বছর বয়সী টিচিং এসিসট্যান্ট চার্লোটি পারকারকে শিক্ষকতা থেবে নিষিদ্ধ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন, এসেক্সে তার স্কুলের ১৪ বছর বয়সী একজন ছাত্রীকে তিনি হাজার হাজার যৌন উত্তেজক ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। তারপর ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর হলে তার সঙ্গে গড়ে গোলেন যৌন সম্পর্ক। এরপরই তার বিরুদ্ধে ওই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
এর এক বছর পরে লরেন কক্স নামে ২৭ বছর বয়সী ভূগোলের শিক্ষিকাকে এক বছরের জেল দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ বছর বয়সী একজন ছাত্রের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। তার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ওই ছাত্রের বয়স যখন ১৬ বছর, তখন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্ক।
একজন শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর শব্দ সম্বলিত কার্ড পাঠানোর জন্য ৪৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা ইয়েঅনি প্রেসটনকে পেশা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ব্রিস্টলে ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের অপরাধবিজ্ঝানের সহযোগী প্রফেসর ও যৌন অপরাধ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. কিয়েরান ম্যাকারটান। তিনি যৌন নির্যাতনকারী নারীর সংখ্যা নিয়ে বলেছেন, এই সংখ্যা মহামারী নয়। তবে এটা সংস্কৃতি পরিবর্তনের ফল। আমার মনে হয় সমাজে একটি পরিবর্তন ঘটেছে। আর সেজন্যই নির্যাতিতরা আস্থার সঙ্গে সামনে এগিয়ে আসছে এবং কথা বলছে। পুলিশের মধ্যে যৌন অপরাধের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তারা এর তদন্ত করছে। বেশির ভাগ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ওই বছরে ১৪২ জন নারী ও যুবতীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন রকম যৌনতা সংশ্লিষ্ট আচরণ। এর দুই বছর আগে যে পরিমাণ নারী ও যুবতী এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালের সংখ্যা তার দ্বিগুন। লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে। এ প্রবণতা বা পরিসংখ্যানকে অস্বস্তিকর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এতে। তাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নারী যৌন নির্যাতনকারীর সংখ্যা কি বাস্তবেই বেড়ে চলেছে?
সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ এমন সব ঘটনা ঘটেছে, যাতে যৌন নির্যাতনকারী নারী। তারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের সরাসরি জড়িত অথবা সম্পৃক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে হাই প্রোফাইল যৌন নির্যাতনকারী হলেন ভ্যানেসা জর্জ। তিনি সোফি এলমসের মতো একজন নার্সারি নার্স। তবে সোফি এলমসের মতো এই নির্যাতনের ঘটনা তিনি শিশুদের যতœ নেয়ার কেন্দ্রে ঘটান নি। তাকে শিশুদের পিতামাতা নিরপরাধী হিসেবে দেখতেন। বর্তমানে তার বয়স ৪৮ বছর। তাকে বলা হয় লন্ডনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকারী সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধী। ২০০৯ সালে তিনি স্বীকার করেন যে, তার তত্ত্বাবধানে থাকা শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছেন। এর পরই তাকে অনির্দিষ্টকালের জেল দেয়া হয়েছিল। একটি গ্যাং, যারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন করে তাদের ‘মিস্ট্রেস’ বা রক্ষিতা হওয়ার ফলে নরউইচের একটি আদালত ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন জেল দেয় ৩৪ বছর বয়সী যুবতী মেরি ব্লাককে। ওই রায় দিয়ে বিচারক বলেছিলেন, তিনি ওই সময় পর্যন্ত যত মামলার রায় দিয়েছেন এটি ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
ওদিকে মঙ্গলবার একজন শিক্ষিকাকে দুই বছরের বেশি জেল দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৫ বছর বয়সী একটি স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ৯ মাস ধরে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ২০১৫ সালে ৩২ বছর বয়সী টিচিং এসিসট্যান্ট চার্লোটি পারকারকে শিক্ষকতা থেবে নিষিদ্ধ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন, এসেক্সে তার স্কুলের ১৪ বছর বয়সী একজন ছাত্রীকে তিনি হাজার হাজার যৌন উত্তেজক ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। তারপর ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর হলে তার সঙ্গে গড়ে গোলেন যৌন সম্পর্ক। এরপরই তার বিরুদ্ধে ওই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
এর এক বছর পরে লরেন কক্স নামে ২৭ বছর বয়সী ভূগোলের শিক্ষিকাকে এক বছরের জেল দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ বছর বয়সী একজন ছাত্রের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। তার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ওই ছাত্রের বয়স যখন ১৬ বছর, তখন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্ক।
একজন শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর শব্দ সম্বলিত কার্ড পাঠানোর জন্য ৪৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা ইয়েঅনি প্রেসটনকে পেশা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ব্রিস্টলে ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের অপরাধবিজ্ঝানের সহযোগী প্রফেসর ও যৌন অপরাধ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. কিয়েরান ম্যাকারটান। তিনি যৌন নির্যাতনকারী নারীর সংখ্যা নিয়ে বলেছেন, এই সংখ্যা মহামারী নয়। তবে এটা সংস্কৃতি পরিবর্তনের ফল। আমার মনে হয় সমাজে একটি পরিবর্তন ঘটেছে। আর সেজন্যই নির্যাতিতরা আস্থার সঙ্গে সামনে এগিয়ে আসছে এবং কথা বলছে। পুলিশের মধ্যে যৌন অপরাধের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তারা এর তদন্ত করছে। বেশির ভাগ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
No comments