ধামরাইয়ে শিশু খুনের লোমহর্ষক বর্ণনা
ধামরাইয়ে
তিন অপহরণকারী ৭ লাখ টাকার দেনা পরিশোধ করতে ব্যবসায়ী সোনা মিয়া ওরফে
কালা চান মিয়ার পাঁচ বছরের শিশু মনিরকে অপহরণ করে। এরপর মোবাইল ফোনে তার
বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না
পেয়ে মুখে টেপ পেঁচিয়ে হত্যার পর বস্তার ভেতর ভরে বাঁশ ঝাড়ের ভেতর মাটির
নিচে পুঁতে রাখে। অপহৃতের বাড়ির পাশেই মাটি চাপা দেয়া হয়। গতকাল সকালে শিশু
মনির হত্যার লোমহর্ষকর বর্ণনা দিয়েছে খুনিরা। শিশু অপহরণের পরিকল্পনা ছিল
তাদের এক মাস আগে থেকে। প্রধান খুনি ওই শিশুর বাবার কাছ থেকে টাকাও ধার
নিয়েছিল। এদিকে, এলাকাবাসী ওই খুনিদের ফাঁসির দাবি করে এলাকায় বিক্ষোভ
করেছে।
মনিরের বাবা সোনা মিয়া জানান, গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বাড়ির পাশে সালাম মেম্বারের ধানের চাতালে খেলতে যায় মনির। সন্ধ্যা পর্যন্ত মনির বাড়ি ফিরে না এলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন তারা।
কিন্তু কোথাও তাকে না পেয়ে পরেরদিন রোববার ধামরাই থানায় জিডি করেন। এরপর সোমবার বিকালে মনিরের বাবার মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। কিন্তু কোথায় মুক্তিপণের টাকা দিবে তা তারা জানায়নি। পরে বিষয়টি ধামরাই থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতেই পুলিশ একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম (২৭) ও তার মামাতো ভাই পাশের কুল্লা গ্রামে আবদুল হামিদের ছেলে মানছুর রহমানকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। রাতভর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা দুইজনসহ প্রতিবেশী মিশু মিয়ার ছেলে রাব্বি (২০) মিলে মনির হোসেনকে মুখে টেপ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত ওই খুনিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দিয়েই ধামরাইয়ের আশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুনিরদের বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে শিশু মনির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, পাঁচ বছরের শিশু মনিরের কি দোষ ছিল। তাকে এভাবে কেন হত্যা করা হলো?
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধামরাই থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাজেদুল ইসলাম ৫ লাখ, মানছুর রহমান ৫০ হাজার ও রাব্বি মিয়া দেড় লাখ টাকা এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে দেনা ছিল। সেই টাকা পরিশোধের জন্যই শিশু মনির হোসেনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে এক মাস আগে। শনিবার রাতে মনিরকে অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু শিশু মনির হোসেন তাদের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে তার মুখে টেপ পেঁচিয়ে ও গলা টিপে তিনজনেই তাকে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ে রেখে দেয়। পরেরদিন রোববার রাতে মনিরের লাশ বাড়ি থেকে দুইশ’ গজ দূরেই আশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এরপর তারা মনিরের বাবার মোবাইল ফোনে আবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নিহত মনিরের বাবা সোনা মিয়া বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।
মনিরের বাবা সোনা মিয়া জানান, গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বাড়ির পাশে সালাম মেম্বারের ধানের চাতালে খেলতে যায় মনির। সন্ধ্যা পর্যন্ত মনির বাড়ি ফিরে না এলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন তারা।
কিন্তু কোথাও তাকে না পেয়ে পরেরদিন রোববার ধামরাই থানায় জিডি করেন। এরপর সোমবার বিকালে মনিরের বাবার মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। কিন্তু কোথায় মুক্তিপণের টাকা দিবে তা তারা জানায়নি। পরে বিষয়টি ধামরাই থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতেই পুলিশ একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম (২৭) ও তার মামাতো ভাই পাশের কুল্লা গ্রামে আবদুল হামিদের ছেলে মানছুর রহমানকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। রাতভর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা দুইজনসহ প্রতিবেশী মিশু মিয়ার ছেলে রাব্বি (২০) মিলে মনির হোসেনকে মুখে টেপ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত ওই খুনিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দিয়েই ধামরাইয়ের আশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুনিরদের বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে শিশু মনির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, পাঁচ বছরের শিশু মনিরের কি দোষ ছিল। তাকে এভাবে কেন হত্যা করা হলো?
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধামরাই থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাজেদুল ইসলাম ৫ লাখ, মানছুর রহমান ৫০ হাজার ও রাব্বি মিয়া দেড় লাখ টাকা এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে দেনা ছিল। সেই টাকা পরিশোধের জন্যই শিশু মনির হোসেনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে এক মাস আগে। শনিবার রাতে মনিরকে অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু শিশু মনির হোসেন তাদের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে তার মুখে টেপ পেঁচিয়ে ও গলা টিপে তিনজনেই তাকে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ে রেখে দেয়। পরেরদিন রোববার রাতে মনিরের লাশ বাড়ি থেকে দুইশ’ গজ দূরেই আশুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এরপর তারা মনিরের বাবার মোবাইল ফোনে আবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নিহত মনিরের বাবা সোনা মিয়া বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।
No comments