চাঁদে স্বর্ণ, প্লাটিনাম খননের প্রতিযোগিতা!
চাঁদের
গায়ে আছে মূল্যবান ধাতব পদার্থ। এমন আশায় চাঁদের পৃষ্ঠ খনন করতে চাইছে
পার্থিব কিছু কোম্পানি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, প্রথম
মানুষ হিসেবে চাঁদের গায়ে নিল আর্মস্ট্রং পা রাখার পর ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে।
তার অল্প পরেই চাঁদে পা ফেলেন সহযোগী বাজ অলড্রিন। ঈগল লুনার মডিউল থেকে পা
ফেলেই তারা মহাশূন্যতা দেখে বিস্মিত হন। সেই যে ১৯৬৯ সালের জুলাইয়ে
অ্যাপোলো ১১ মিশনে করে তারা প্রথম চাঁদের মাটি স্পর্শ করেন তারপর বহু দিন
চাঁদ থেকে গেছে অস্পৃশ্য। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সেখানে কোনো মানুষ আর যায় নি।
কিন্তু এই ধারা তাড়াতাড়িই পাল্টে যেতে পারে। বেশ কিছু কোম্পানি চাঁদের গায়ে বিভিন্ন রকম আবিস্কারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্বর্ণ, প্লাটিনাম অথবা জাগতিক ধাতব পদার্থ উদ্ধারের জন্য সেখানে খনন কাজ করতে পারে তারা।
এ মাসের শুরুর দিকে চেঞ্জ’ই-৪ নামে একটি উপগ্রহ চাঁদে অবতরণ করেছে চীনের। সেখানে চাঁদের পৃষ্ঠে একটি তুলার বীজ অঙ্কুরোদগম করিয়েছে তা। সেখানে তারা একটি গবেষণা ঘাঁটি স্থাপন করতে চাইছে। ওদিকে ‘আর্থ-মুন ট্রান্সপোর্টেশন প্লাটফরম’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে জাপানের প্রতিষ্ঠান আইস্পেস। পাশাপাশি তারা চাঁদের মেরু অঞ্চলে পানি আবিষ্কার করতে চাইছে তারা।
তবে অলড্রিন যে শূন্যতা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন সেখানে কি বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল? সেখানকার সম্পদ কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেল? শীতল যুদ্ধের সময় মহাকাশ গবেষণা যখন শুরু হয় তখন থেকেই মহাজাগতিক বস্তুগুলোর মালিক কে হবে তা একটি ইস্যু হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা যখন প্রথম মানুষ বহনকারী চন্দ্র মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল তখন জাতিসংঘ একটি চুক্তি করে। এর নাম আউটার স্পেস ট্রিটি, যাতে যুক্তরাষ্ট্র, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, বৃটেন সহ সদস্য দেশগুলো স্বাক্ষর করে। এতে বলা হয়েছে, চাঁদ বা অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু সহ মহাশূন্যের কোনো বস্তুর সার্বভৌমত্ব দাবি করা, ব্যবহার করা বা দখল করা বা অন্য কোনো উপায়ে জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।
মহাকাশ স্পেশালিস্ট বিষয়ক কোম্পানি অলডেন এডভাইজারের পরিচালব জোয়ানে হুইলার এই চুক্তিকে ‘মহাশাক বিষয়ক ম্যাগনা কার্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। নিল আর্মস্ট্রং ও তার উত্তরসুরিরা চাঁদের গায়ে যে পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন তাকে অর্থহীন বলে মনে করে এ প্রতিষ্ঠানটি। কারণ, তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তিবিশেষ, কোম্পানি বা দেশকে এমন অধিকার দেয় নি ওই চুক্তি।
১৯৬৯ সালে চাঁদের জমির মালিকানা অথবা সেখানে খননের অধিকারের বিষয়টি এখনকার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু যেহেতু প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে, এর লাভজনক ব্যবহারে বেড়েছে।
কিন্তু এই ধারা তাড়াতাড়িই পাল্টে যেতে পারে। বেশ কিছু কোম্পানি চাঁদের গায়ে বিভিন্ন রকম আবিস্কারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্বর্ণ, প্লাটিনাম অথবা জাগতিক ধাতব পদার্থ উদ্ধারের জন্য সেখানে খনন কাজ করতে পারে তারা।
এ মাসের শুরুর দিকে চেঞ্জ’ই-৪ নামে একটি উপগ্রহ চাঁদে অবতরণ করেছে চীনের। সেখানে চাঁদের পৃষ্ঠে একটি তুলার বীজ অঙ্কুরোদগম করিয়েছে তা। সেখানে তারা একটি গবেষণা ঘাঁটি স্থাপন করতে চাইছে। ওদিকে ‘আর্থ-মুন ট্রান্সপোর্টেশন প্লাটফরম’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে জাপানের প্রতিষ্ঠান আইস্পেস। পাশাপাশি তারা চাঁদের মেরু অঞ্চলে পানি আবিষ্কার করতে চাইছে তারা।
তবে অলড্রিন যে শূন্যতা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন সেখানে কি বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল? সেখানকার সম্পদ কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেল? শীতল যুদ্ধের সময় মহাকাশ গবেষণা যখন শুরু হয় তখন থেকেই মহাজাগতিক বস্তুগুলোর মালিক কে হবে তা একটি ইস্যু হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা যখন প্রথম মানুষ বহনকারী চন্দ্র মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল তখন জাতিসংঘ একটি চুক্তি করে। এর নাম আউটার স্পেস ট্রিটি, যাতে যুক্তরাষ্ট্র, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, বৃটেন সহ সদস্য দেশগুলো স্বাক্ষর করে। এতে বলা হয়েছে, চাঁদ বা অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু সহ মহাশূন্যের কোনো বস্তুর সার্বভৌমত্ব দাবি করা, ব্যবহার করা বা দখল করা বা অন্য কোনো উপায়ে জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।
মহাকাশ স্পেশালিস্ট বিষয়ক কোম্পানি অলডেন এডভাইজারের পরিচালব জোয়ানে হুইলার এই চুক্তিকে ‘মহাশাক বিষয়ক ম্যাগনা কার্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। নিল আর্মস্ট্রং ও তার উত্তরসুরিরা চাঁদের গায়ে যে পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন তাকে অর্থহীন বলে মনে করে এ প্রতিষ্ঠানটি। কারণ, তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তিবিশেষ, কোম্পানি বা দেশকে এমন অধিকার দেয় নি ওই চুক্তি।
১৯৬৯ সালে চাঁদের জমির মালিকানা অথবা সেখানে খননের অধিকারের বিষয়টি এখনকার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু যেহেতু প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে, এর লাভজনক ব্যবহারে বেড়েছে।
No comments