আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরাজয় -মার্কিন থিংকট্যাংকের সতর্কবার্তা
আফগানিস্তান
থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
চূড়ান্তভাবে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করলে এর আশেপাশের দেশগুলো
আবারো এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এর ফলে পাকিস্তান আরো
সক্রিয়ভাবে তালেবানদের পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করতে পারে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন
থিংকট্যাংক র্যান্ড করপোরেশন।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার উপস্থিতি অর্ধেকে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। আরেক সংঘাতপ্রবণ অঞ্চল সিরিয়া থেকেও পুরোপুরি মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিলেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে তিনি আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের মনোবাসনা জানিয়েছিলেন। র্যান্ড করপোরেশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ২০০১ সালের পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার আঞ্চলিক অংশীদার রাশিয়া, ইরান, ভারত ও উজবেকিস্তান অতীতে আফগাস্তিানে হস্তক্ষেপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র আকস্মিকভাবে দেশটি থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নেয়ার ফলে আফগানিস্তানে এসব দেশগুলোর আবারো দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে প্রতিবেশী দেশগুলো দেশটিতে অতীতের মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
২০০১ সাল থেকে কাবুলের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া ও ইরান। তবে প্রতিবন্ধকতার মুখে সম্প্রতি তারা তালেবানকে সহায়তা দেয়া সীমিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তালেবানরা পাকিস্তানি ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করলে পাকিস্তান তালেবানদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে আরো উদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
আফগাস্তিান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের গুটিয়ে নিলে আরো কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে। দৃশ্যপট থেকে ন্যাটো সেনারাও বিদায় নিতে পারে। কাবুলে মার্কিন ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক উপস্থিতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে পারে। পাশাপাশি দেশটিতে বিদেশি অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা কমে যাবে। কাবুলের সরকার ক্রমেই তাদের প্রভাব ও বৈধতা হারাতে শুরু করবে। বিপরীতে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো নিজেদের সংগঠিত করার সুযোগ পাবে। আবারো তারা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডসহ আঞ্চলিক স্থাপনাগুলোতে হামলার চেষ্টা করবে।
বর্তমানে আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানদের বেশ আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি কমলে জঙ্গি গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তারা আফগান জনগণ ও ভূ-খণ্ডের ওপর কর্তৃত্ব বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাবে। যা আফগানিস্তানকে আবারো গৃহযুদ্ধের দিতে ঠেলে দেবে। এখন সব পক্ষই একমত হয়েছে যে, আফগান যুদ্ধে কোনো সামরিক সমাধানে পৌঁছা সম্ভব না। তবে এটা আংশিক সত্য। কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই আফগানিস্তান ত্যাগ করলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেকটা পরাজয় মেনে নেয়ার মতো।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার উপস্থিতি অর্ধেকে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। আরেক সংঘাতপ্রবণ অঞ্চল সিরিয়া থেকেও পুরোপুরি মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিলেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে তিনি আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহারের মনোবাসনা জানিয়েছিলেন। র্যান্ড করপোরেশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ২০০১ সালের পর থেকে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার আঞ্চলিক অংশীদার রাশিয়া, ইরান, ভারত ও উজবেকিস্তান অতীতে আফগাস্তিানে হস্তক্ষেপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র আকস্মিকভাবে দেশটি থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নেয়ার ফলে আফগানিস্তানে এসব দেশগুলোর আবারো দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে প্রতিবেশী দেশগুলো দেশটিতে অতীতের মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
২০০১ সাল থেকে কাবুলের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া ও ইরান। তবে প্রতিবন্ধকতার মুখে সম্প্রতি তারা তালেবানকে সহায়তা দেয়া সীমিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তালেবানরা পাকিস্তানি ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করলে পাকিস্তান তালেবানদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে আরো উদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
আফগাস্তিান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের গুটিয়ে নিলে আরো কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে। দৃশ্যপট থেকে ন্যাটো সেনারাও বিদায় নিতে পারে। কাবুলে মার্কিন ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক উপস্থিতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে পারে। পাশাপাশি দেশটিতে বিদেশি অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা কমে যাবে। কাবুলের সরকার ক্রমেই তাদের প্রভাব ও বৈধতা হারাতে শুরু করবে। বিপরীতে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো নিজেদের সংগঠিত করার সুযোগ পাবে। আবারো তারা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডসহ আঞ্চলিক স্থাপনাগুলোতে হামলার চেষ্টা করবে।
বর্তমানে আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানদের বেশ আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি কমলে জঙ্গি গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তারা আফগান জনগণ ও ভূ-খণ্ডের ওপর কর্তৃত্ব বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাবে। যা আফগানিস্তানকে আবারো গৃহযুদ্ধের দিতে ঠেলে দেবে। এখন সব পক্ষই একমত হয়েছে যে, আফগান যুদ্ধে কোনো সামরিক সমাধানে পৌঁছা সম্ভব না। তবে এটা আংশিক সত্য। কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই আফগানিস্তান ত্যাগ করলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেকটা পরাজয় মেনে নেয়ার মতো।
আফগানিস্তানে তালেবান হামলায় কমপক্ষে ১২৬ সেনা সদস্য নিহত
আফগানিস্তানে
সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তালেবানদের হামলায় কমপক্ষে ১২৬ সেনা
সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটেছে ময়দা ওয়ারদাক প্রদেশের ন্যাশনাল
ডিরেক্টরেট অর সিকিউরিটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। প্রথমে হামলাকারীরা বিস্ফোরক
বোঝাই একটি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর কমপক্ষে দু’সশস্ত্র অস্ত্রধারী
সেনাদের দিকে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তাদেরকে গুলি করে
হত্যা করা হয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, সামরিক বাহিনীর ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন আটজন স্পেশাল কমান্ডো।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, সেনা সদস্য ও জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের অনেক সদস্য রয়েছেন নিহতের মধ্যে। তবে সরকারিভাবে হতাহতের বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেয়া হয় নি।
কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, সামরিক বাহিনীর ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন আটজন স্পেশাল কমান্ডো।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, সেনা সদস্য ও জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের অনেক সদস্য রয়েছেন নিহতের মধ্যে। তবে সরকারিভাবে হতাহতের বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেয়া হয় নি।
No comments