যেমন ছিল নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক: সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
টানা
তৃতীয় মেয়াদের সরকার। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। মন্ত্রীদের বেশিরভাগই
নতুন মুখ। তাদের দিকনির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সততা ও
নিষ্ঠার সঙ্গে দেশবাসীর জন্য কাজ করার পরামর্শের পাশাপাশি বিতর্কমুক্ত
থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বিত্ত-বৈভবের পেছনে না ছুটে মানুষের জন্য
কাজ করার কথা বলেছেন। ন্যায়-নীতিহীন কাজে আখেরে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে-
এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রীদের। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন মন্ত্রীরাও তাদের নিজ নিজ পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি
নিজেদের অঙ্গীকার ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, অনেক বড় পরিবর্তন এনে নতুন মন্ত্রিসভা করেছি। নতুনদের স্থান দিয়েছি। আপনাদের ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে মন্ত্রিসভায় এনেছি, আশা করি, আপনারা সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রমাণ করবেন যে, আপনাদের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস সঠিক ছিল।
যদি সেটা না করতে পারেন তবে আমার উদ্দেশ্য সফল হবে না। অনেকে নানা কথা বলবে, শুনতে হবে, অনভিজ্ঞদের নিয়ে আসার কারণে এটা হয়েছে। এ কারণে আপনারা সততা রেখে চলবেন। বিত্ত-বৈভব অনেক করতে পারবেন। কিন্তু সেটা করতে গেলে পচে যাবেন। বৈঠকের শুরুতে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ফুলেল শুভেচ্ছার পর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। নিজেদের পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি আগামীতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত বক্তব্য দেন। বিভিন্ন এজেন্ডার মাঝখানে অনানুষ্ঠানিক কথা বলেন। বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর নামে মডেল সিটি করার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্বের ২০টির মতো দেশের স্বাধীনতার নায়ক এবং জাতীয় নেতা, যার নেতৃত্বে ওসব দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেসব দেশে তাদের নেতার নামে সিটি আছে। ভিয়েতনামে হো চি মিনের নামে হো চি মিন সিটি, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনের নামে ওয়াশিংটন সিটিসহ অনেক দেশেই জাতির পিতার নামে সিটি আছে। এরপর ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন।
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এমনটা করার প্রস্তাব দেন তিনি। এদিকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ ফেলে না রেখে তা দ্রুত করতে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নির্দেশ দেন। বৈঠকের বিষয়ে সচিবালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশ্যে কী বলেছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর যে কথাগুলো বলে আসছেন, সেগুলোই বলেছেন। প্রথম হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সব জায়গায় সুশাসন কায়েম করা। সততা ও দক্ষতা- এগুলোর সঙ্গে কাজ করা। জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরি করা; মানে কাজ ফেলে রাখা যাবে না, দ্রুত শেষ করতে হবে। শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশকে একচল্লিশের (২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর) জায়গায় নিয়ে যেতে হলে আমাদের স্পিডে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আপনারা নিশ্চয়ই পড়েছেন, আমার দাদা তাকে যে কথাটা বলেছিলেন; যে কাজই করো না কেন, সিনসিয়ারিটি অব পারপাস অ্যান্ড অনেস্টি অব পারপাস। আমি মনে করি এই দুটি কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মন্ত্রিপরিষদ এ কথাটি মনে রেখে যে কাজই করবে, নিষ্ঠার সঙ্গে ও সততার সঙ্গে কাজ করবে। প্রতিটি কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে- এ কথাটি মনে রাখতে হবে। জনগণের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব, কর্তব্য রয়েছে- সেটা পালন করতেই আমরা এখানে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সততার শক্তি অপরিসীম, সেটা আমরা বারবার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাহলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে এবং যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি সেটা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতিচারণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের প্রথম এজেন্ডা হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ আমাদের মাঝে নেই, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আশরাফকে ছোটবেলা থেকেই আমি চিনি, কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সে ছাত্রলীগ করতো। আমাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্কের মতোই ছিল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রবাসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা এবং পরে দেশে এসে সৈয়দ আশরাফের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট যে ভাষণ দেবেন, তার খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে বছরের শুরুতে যে সংসদ বসে সেটাতে এবং সরকার গঠনের পর প্রথম বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভাষণ দেবেন। সেটা মন্ত্রিসভা ঠিক করে দেয় এবং তিনি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সেটা সংসদে পাঠ করা হয়। তিনি বলেন, মূল ভাষণে ৭৫ হাজার শব্দ থাকছে। সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রায় ছয় হাজার শব্দ রাখা হয়েছে। বড় ভাষণটি টেবিলে দেয়া থাকবে। মূল ভাষণের একটি ইংরেজি সংস্করণও তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর গত ৭ই জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, অনেক বড় পরিবর্তন এনে নতুন মন্ত্রিসভা করেছি। নতুনদের স্থান দিয়েছি। আপনাদের ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে মন্ত্রিসভায় এনেছি, আশা করি, আপনারা সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রমাণ করবেন যে, আপনাদের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস সঠিক ছিল।
যদি সেটা না করতে পারেন তবে আমার উদ্দেশ্য সফল হবে না। অনেকে নানা কথা বলবে, শুনতে হবে, অনভিজ্ঞদের নিয়ে আসার কারণে এটা হয়েছে। এ কারণে আপনারা সততা রেখে চলবেন। বিত্ত-বৈভব অনেক করতে পারবেন। কিন্তু সেটা করতে গেলে পচে যাবেন। বৈঠকের শুরুতে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ফুলেল শুভেচ্ছার পর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। নিজেদের পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি আগামীতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত বক্তব্য দেন। বিভিন্ন এজেন্ডার মাঝখানে অনানুষ্ঠানিক কথা বলেন। বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর নামে মডেল সিটি করার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্বের ২০টির মতো দেশের স্বাধীনতার নায়ক এবং জাতীয় নেতা, যার নেতৃত্বে ওসব দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেসব দেশে তাদের নেতার নামে সিটি আছে। ভিয়েতনামে হো চি মিনের নামে হো চি মিন সিটি, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনের নামে ওয়াশিংটন সিটিসহ অনেক দেশেই জাতির পিতার নামে সিটি আছে। এরপর ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন।
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এমনটা করার প্রস্তাব দেন তিনি। এদিকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ ফেলে না রেখে তা দ্রুত করতে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নির্দেশ দেন। বৈঠকের বিষয়ে সচিবালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশ্যে কী বলেছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর যে কথাগুলো বলে আসছেন, সেগুলোই বলেছেন। প্রথম হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সব জায়গায় সুশাসন কায়েম করা। সততা ও দক্ষতা- এগুলোর সঙ্গে কাজ করা। জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরি করা; মানে কাজ ফেলে রাখা যাবে না, দ্রুত শেষ করতে হবে। শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশকে একচল্লিশের (২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর) জায়গায় নিয়ে যেতে হলে আমাদের স্পিডে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আপনারা নিশ্চয়ই পড়েছেন, আমার দাদা তাকে যে কথাটা বলেছিলেন; যে কাজই করো না কেন, সিনসিয়ারিটি অব পারপাস অ্যান্ড অনেস্টি অব পারপাস। আমি মনে করি এই দুটি কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মন্ত্রিপরিষদ এ কথাটি মনে রেখে যে কাজই করবে, নিষ্ঠার সঙ্গে ও সততার সঙ্গে কাজ করবে। প্রতিটি কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে- এ কথাটি মনে রাখতে হবে। জনগণের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব, কর্তব্য রয়েছে- সেটা পালন করতেই আমরা এখানে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সততার শক্তি অপরিসীম, সেটা আমরা বারবার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাহলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে এবং যে অগ্রযাত্রা আমরা শুরু করেছি সেটা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতিচারণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের প্রথম এজেন্ডা হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ আমাদের মাঝে নেই, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আশরাফকে ছোটবেলা থেকেই আমি চিনি, কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সে ছাত্রলীগ করতো। আমাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্কের মতোই ছিল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রবাসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা এবং পরে দেশে এসে সৈয়দ আশরাফের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট যে ভাষণ দেবেন, তার খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে বছরের শুরুতে যে সংসদ বসে সেটাতে এবং সরকার গঠনের পর প্রথম বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভাষণ দেবেন। সেটা মন্ত্রিসভা ঠিক করে দেয় এবং তিনি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে সেটা সংসদে পাঠ করা হয়। তিনি বলেন, মূল ভাষণে ৭৫ হাজার শব্দ থাকছে। সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রায় ছয় হাজার শব্দ রাখা হয়েছে। বড় ভাষণটি টেবিলে দেয়া থাকবে। মূল ভাষণের একটি ইংরেজি সংস্করণও তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর গত ৭ই জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করেন তিনি।
No comments