আমাকে সরালেও বেক্সিট সহজ হবে না: থেরেসা মে
তাকে
সরিয়ে দিলেও বেক্সিট চুক্তি করা সহজ হবে না বলে সমালোচকদের সতর্ক করে
দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। রবিবার ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। এছাড়া আগামী
সপ্তাহ যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে ‘সংকটপূর্ণ’ সময় বলেও মন্তব্য
করেছেন তিনি।
গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে খসড় পরিকল্পনা প্রকাশ করার পর থেকেই নিজ দলেরই কয়েকজন এমপি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আহ্বান জানিয়েছেন। আর বিরোধী দল লেবারপার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তার দল বেক্সিট ইস্যুতে আরও ভাল চুক্তি করতে পারবে।
খসড়া চুক্তি প্রকাশের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে। আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় বিশেষ সম্মেলনে এই চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে তার আগে এটা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে পাস হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিসহ বিরোধি দলগুলো এর বিরোধিতা করেছে।
ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। আর অন্যরা এখনও এটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে টরি ব্যাকবেঞ্চ এমপিদের চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব পরিবর্তন দেখতে চান না কিন্তু এই চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে বেক্সিটের কট্টর সমর্থকরা এই খসড়া পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করে বলেছে, এটা যুক্তরাজ্যকে অন্যের ‘নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য’ করবে। ৫০৫ জন টরি কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট করে দেখা গেছে তাদের বেশিরভাগই এই চুক্তির বিরুদ্ধে। তবে তাদের বেশিরভাগই থেরেসা মে’কে প্রধানমন্ত্রী রাখতে চান। টল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টারজেওন বলেছেন, এই প্রস্তাবের আওতায় উত্তর আয়ারল্যান্ড সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে অসু্বিধায় পড়বে তার রাজ্য।
থেরেসা মে স্কাই নিউজকে বলেন, তিনি একটি কঠিন সপ্তাহ পার করেছেন তবে তার জন্য তিনি বিভ্রান্ত নন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি একটি কঠিন কাজ আর আমি দীর্ঘদিন ধরে এটা করে আসছি’। তিনি পরবর্তী সাত দিনকে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য সংকটপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য ব্যাকবেঞ্চ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রয়োজনীয় ৪৮টি চিঠি গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি এটা হয়নি’।
যারা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন তাদের সতর্ক করে মে বলেন, ‘এটা আলোচনাকে কোনওভাবে সহজ করবে না আর এতে সংসদীয় হিসাবেও কোনও পরিবর্তন আসবে না’। সূত্র: বিবিসি।
গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে খসড় পরিকল্পনা প্রকাশ করার পর থেকেই নিজ দলেরই কয়েকজন এমপি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আহ্বান জানিয়েছেন। আর বিরোধী দল লেবারপার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তার দল বেক্সিট ইস্যুতে আরও ভাল চুক্তি করতে পারবে।
খসড়া চুক্তি প্রকাশের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে। আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় বিশেষ সম্মেলনে এই চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে তার আগে এটা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে পাস হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিসহ বিরোধি দলগুলো এর বিরোধিতা করেছে।
ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। আর অন্যরা এখনও এটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে টরি ব্যাকবেঞ্চ এমপিদের চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব পরিবর্তন দেখতে চান না কিন্তু এই চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে বেক্সিটের কট্টর সমর্থকরা এই খসড়া পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করে বলেছে, এটা যুক্তরাজ্যকে অন্যের ‘নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য’ করবে। ৫০৫ জন টরি কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট করে দেখা গেছে তাদের বেশিরভাগই এই চুক্তির বিরুদ্ধে। তবে তাদের বেশিরভাগই থেরেসা মে’কে প্রধানমন্ত্রী রাখতে চান। টল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টারজেওন বলেছেন, এই প্রস্তাবের আওতায় উত্তর আয়ারল্যান্ড সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে অসু্বিধায় পড়বে তার রাজ্য।
থেরেসা মে স্কাই নিউজকে বলেন, তিনি একটি কঠিন সপ্তাহ পার করেছেন তবে তার জন্য তিনি বিভ্রান্ত নন। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি একটি কঠিন কাজ আর আমি দীর্ঘদিন ধরে এটা করে আসছি’। তিনি পরবর্তী সাত দিনকে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য সংকটপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য ব্যাকবেঞ্চ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রয়োজনীয় ৪৮টি চিঠি গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি এটা হয়নি’।
যারা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন তাদের সতর্ক করে মে বলেন, ‘এটা আলোচনাকে কোনওভাবে সহজ করবে না আর এতে সংসদীয় হিসাবেও কোনও পরিবর্তন আসবে না’। সূত্র: বিবিসি।
No comments