বন্ধ্যাকরণের ভুক্তভোগী কানাডীয় আদিবাসী নারীদের ক্ষতিপূরণ দাবি
আদিবাসী
নারীদের অজ্ঞাতে বা তাদের স্পষ্ট সম্মতি ব্যতিরেকে বন্ধ্যাকরণের যেসব ঘটনা
ঘটেছে সেসবের ক্ষতিপূরণ দাবি করে অন্তত ৬০ জন ভুক্তভোগী মামলা দায়ের
করেছেন। কানাডার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এসব আদিবাসী
নারীর ফ্যালোপিয়ান টিউব কেটে ফেলা হয়েছে বা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে
তারা আর গর্ভধারণ করতে না পারেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান
জানিয়েছে, সংশ্লিষ্টরা একে স্পষ্টভাবেই বর্ণবাদী কাজ হিসেবে আখ্যায়িত
করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
২০১৫ সালের দিকে প্রথম এই খবর প্রকাশিত হয় যে কানাডায় স্পষ্ট সম্মতি ব্যতিরেকে আদিবাসী নারীদের বন্ধ্যাকরণ হচ্ছে। সাসকাচুয়ান প্রদেশের চার নারী ওই সময় প্রথম মুখ খুলেছিলেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি তদন্ত শুরু করে এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। বন্ধ্যাকরণের আইনেও পরিবর্তন আনা হয় তখন। কিন্তু ক্ষতিপূরণের যে মামলা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে এসেও আদিবাসী নারীর সম্মতি ব্যতিরেকে বন্ধ্যাকরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলাটি এখনও আদালতে গৃহীত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। ৬০ জনের নারীর ক্ষতিপূরণের মামলা করার প্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এ বিষয়ে কানাডার সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানানো হবে। এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা দাবি তুলেছেন, কানাডা যেন নারীর অজ্ঞাতে এমন বন্ধ্যাকরণ না করে। সংস্থাটির পক্ষে জ্যাকেলিন হ্যানসেন বলেছেন, ‘যে নারীর শরীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও সেই নারীর। কিন্তু তা কেড়ে নিতে দেখা যাচ্ছে।’
নারীদের এভাবে বন্ধ্যাকরণ একদিকে যেমন চিকিৎসা শাস্ত্রের নৈতিকতা বিরোধী তেমনি আইনত অবৈধ। কিন্তু ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বন্ধ্যাকরণের আগে তাদেরকে শুধু বলা হয়েছিল, যদি তারা ‘প্রক্রিয়াটি’ বাস্তবায়নে রাজি না হন তাহলে তারা তাদের নবজাতকের মুখ দেখতে পারবেন না।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য সিনেটর ভন বোয়ের মনে করেন, যতটা অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে তার চেয়েও বেশি মাত্রায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি তার এক সহযোগীর সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সাসকাচুওয়ানের নারীদের বিষয়ে। তিনি কানাডার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘এমন ঘটনা সাসকাচুয়ান ঘটেছে। রেজিনাতে ঘটেছে। উইনিপেগে ঘটেছে। এমন ঘটনা সেসব স্থানে ঘটেছে যেসব স্থানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি।’
ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আইনজীবী অ্যালিসা লোমবার্ড মনে করেন এমন আচরণ স্পষ্টতই বর্ণবাদী। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মানুষকে বংশবৃদ্ধি করতে না দেওয়া। তার ভাষ্য, ‘এই নারীরা ও তাদের সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ তাদের পাওনা যেহেতু এই ক্ষতি তাদের বয়ে বেড়াতে হবে।’
২০১৫ সালের দিকে প্রথম এই খবর প্রকাশিত হয় যে কানাডায় স্পষ্ট সম্মতি ব্যতিরেকে আদিবাসী নারীদের বন্ধ্যাকরণ হচ্ছে। সাসকাচুয়ান প্রদেশের চার নারী ওই সময় প্রথম মুখ খুলেছিলেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি তদন্ত শুরু করে এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। বন্ধ্যাকরণের আইনেও পরিবর্তন আনা হয় তখন। কিন্তু ক্ষতিপূরণের যে মামলা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে এসেও আদিবাসী নারীর সম্মতি ব্যতিরেকে বন্ধ্যাকরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলাটি এখনও আদালতে গৃহীত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। ৬০ জনের নারীর ক্ষতিপূরণের মামলা করার প্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এ বিষয়ে কানাডার সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানানো হবে। এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা দাবি তুলেছেন, কানাডা যেন নারীর অজ্ঞাতে এমন বন্ধ্যাকরণ না করে। সংস্থাটির পক্ষে জ্যাকেলিন হ্যানসেন বলেছেন, ‘যে নারীর শরীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও সেই নারীর। কিন্তু তা কেড়ে নিতে দেখা যাচ্ছে।’
নারীদের এভাবে বন্ধ্যাকরণ একদিকে যেমন চিকিৎসা শাস্ত্রের নৈতিকতা বিরোধী তেমনি আইনত অবৈধ। কিন্তু ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বন্ধ্যাকরণের আগে তাদেরকে শুধু বলা হয়েছিল, যদি তারা ‘প্রক্রিয়াটি’ বাস্তবায়নে রাজি না হন তাহলে তারা তাদের নবজাতকের মুখ দেখতে পারবেন না।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য সিনেটর ভন বোয়ের মনে করেন, যতটা অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে তার চেয়েও বেশি মাত্রায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি তার এক সহযোগীর সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সাসকাচুওয়ানের নারীদের বিষয়ে। তিনি কানাডার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘এমন ঘটনা সাসকাচুয়ান ঘটেছে। রেজিনাতে ঘটেছে। উইনিপেগে ঘটেছে। এমন ঘটনা সেসব স্থানে ঘটেছে যেসব স্থানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি।’
ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আইনজীবী অ্যালিসা লোমবার্ড মনে করেন এমন আচরণ স্পষ্টতই বর্ণবাদী। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মানুষকে বংশবৃদ্ধি করতে না দেওয়া। তার ভাষ্য, ‘এই নারীরা ও তাদের সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ তাদের পাওনা যেহেতু এই ক্ষতি তাদের বয়ে বেড়াতে হবে।’
No comments