মার্কিন প্রতিনিধির বক্তব্যে আফগান তালেবান বিস্মিত
যুক্তরাষ্ট্রের
বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসা আফগান তালেবানের পক্ষ থেকে সোমবার (১৯
নভেম্বর) জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র তাদের বক্তব্য ভুলভাবে
উদ্ধৃত করেছেন। এমন বক্তব্যে তারা বিস্মিত। তাছাড়া মার্কিন প্রতিনিধি
আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ করার যে তারিখ ঘোষণা করেছেন সে বিষয়ে আফগান
তালেবান একমত নয়। তাদের মধ্যে শুধু প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, কোনও চুক্তি
হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার
ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আফগান তালেবানের সঙ্গে আলোচনা
চালিয়ে যাচ্ছেন জালমে খলিলজাদ। তিন দিনের বৈঠক শেষে তিনি গত রবিবার
বলেছিলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান যুদ্ধের ইতি টানা
হবে।
আফগান যুদ্ধ চলছে ১৭ বছর ধরে। আফগানিস্তানে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের’ এখন ইতি টানতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান তালেবানও আলোচনায় বসেছে। জালমে খলিলজাদ কাতারে অবস্থিত আফগান তালেবানের রাজনৈতিক হেডকোয়ার্টারে নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে আলোচনার পর গত রবিবার (১৮ নভেম্বর বলেছেন) তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিলের মধ্যে যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে আফগান তালেবানের সঙ্গে একটি চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হবে। তাছাড়া তালেবান যোদ্ধারাও জানে যুদ্ধে তারা জিততে পারবে না।
তার এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের সোমবারে দেওয়া ভাষ্য, ‘আমাদের মধ্যে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে কিন্তু কোনও চুক্তি হয়নি।’ সেখানে উপস্থিত তিন জন তালেবান নেতার মন্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা দিনক্ষণ গ্রহণ করা হয়নি। তাছাড়া যুদ্ধে জিততে পারা না পারা প্রসঙ্গে খলিলজাদ তাদের বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছেন। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, খলিলজাদের এ ধরণের বক্তব্য শান্তি আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আফগান তালেবান মনে করে, খলিলজাদের তড়িঘড়ি যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা থেকেই বোঝা যায় দেশটি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কতটা ব্যগ্র। আফগান তালেবানের পক্ষ থেকে কোনও দিনক্ষণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হয়নি। কারণ তারা প্রায় সবগুলো যুদ্ধক্ষেত্রেই জয়লাভ করছে।
এ বিষয়ে জানেন এমন একজন কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক খলিলজাদকে ‘তাড়াহুড়ার মধ্যে থাকা ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই তাড়াহুড়ার কারণেই শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। খলিলজাদ ও তালেবানের এই মতবিরোধের বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘খলিলজাদকে আফগান তালেবান তখনই বিশ্বাস করবে যখন তিনি তাদের পক্ষ হয়ে কোনও কিছু বলে দেওয়ার মতো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
আদৌ আফগান তালেবানের অবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রে খারাপ কি না তা উল্লেখ করতে গিয়ে রয়টার্স লিখেছে, দেশটিতে মাত্র ৫৬ শতাংশ এলাকা এখন সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭২ শতাংশ। মাত্র কয়েক বছরে আফগান তালেবান সরকারি বাহিনীকে হঠিয়ে বহু এলাকা দখলে নিয়েছে।
আফগান যুদ্ধ চলছে ১৭ বছর ধরে। আফগানিস্তানে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের’ এখন ইতি টানতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান তালেবানও আলোচনায় বসেছে। জালমে খলিলজাদ কাতারে অবস্থিত আফগান তালেবানের রাজনৈতিক হেডকোয়ার্টারে নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে আলোচনার পর গত রবিবার (১৮ নভেম্বর বলেছেন) তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিলের মধ্যে যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে আফগান তালেবানের সঙ্গে একটি চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হবে। তাছাড়া তালেবান যোদ্ধারাও জানে যুদ্ধে তারা জিততে পারবে না।
তার এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের সোমবারে দেওয়া ভাষ্য, ‘আমাদের মধ্যে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে কিন্তু কোনও চুক্তি হয়নি।’ সেখানে উপস্থিত তিন জন তালেবান নেতার মন্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা দিনক্ষণ গ্রহণ করা হয়নি। তাছাড়া যুদ্ধে জিততে পারা না পারা প্রসঙ্গে খলিলজাদ তাদের বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছেন। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, খলিলজাদের এ ধরণের বক্তব্য শান্তি আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আফগান তালেবান মনে করে, খলিলজাদের তড়িঘড়ি যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা থেকেই বোঝা যায় দেশটি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কতটা ব্যগ্র। আফগান তালেবানের পক্ষ থেকে কোনও দিনক্ষণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হয়নি। কারণ তারা প্রায় সবগুলো যুদ্ধক্ষেত্রেই জয়লাভ করছে।
এ বিষয়ে জানেন এমন একজন কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক খলিলজাদকে ‘তাড়াহুড়ার মধ্যে থাকা ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই তাড়াহুড়ার কারণেই শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। খলিলজাদ ও তালেবানের এই মতবিরোধের বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘খলিলজাদকে আফগান তালেবান তখনই বিশ্বাস করবে যখন তিনি তাদের পক্ষ হয়ে কোনও কিছু বলে দেওয়ার মতো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
আদৌ আফগান তালেবানের অবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রে খারাপ কি না তা উল্লেখ করতে গিয়ে রয়টার্স লিখেছে, দেশটিতে মাত্র ৫৬ শতাংশ এলাকা এখন সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭২ শতাংশ। মাত্র কয়েক বছরে আফগান তালেবান সরকারি বাহিনীকে হঠিয়ে বহু এলাকা দখলে নিয়েছে।
No comments