ড. কামালের সঙ্গে বৃটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক: ‘প্রশাসন-পুলিশের ভূমিকা পক্ষপাতমূলক নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়নি’
জাতীয়
ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পুলিশ
প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। এখনও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি
হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় বৃটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইকের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব
কথা বলেন তিনি। পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ড. কামাল হোসেনের বেইলী
রোডের বাসভবনে। বৈঠক শেষে এলিসন ব্লেইক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই চলে
যান। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। বৈঠকের আলোচনা
প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছি।
কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হোক নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার
চাচ্ছি।
এই নিরপেক্ষ সরকারের কাঠামোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমতা থাকবে না। বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা জানতে চান আমরা কিভাবে দেশকে দেখছি। এছাড়াও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্বন্ধেও জানতে চেয়েছেন। বিদেশিদের উদ্বেগ থাকার পরেও ২০১৪ সালের নির্বাচন হলো। তারা দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেবেন বলে ৫ বছর কাটিয়ে দিলেন।
এবারো একই পথে হাঁটছেন তারা। খেলার মাঠে খেলোয়াড় নিজেই আম্পায়ার হলে খেলা হয় না। আমি বলেছি সরকারের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই বিষয়টি আলোকপাত করার জন্য। ঐক্যফন্টের বড় শরিক দল বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে আপনারা নির্বাচনে যাবেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, সরাসরি বলা ঠিক হবে না যে- আমরা নির্বাচনে যাবো না। সরকারতো চায় আমরা যাতে নির্বাচনে না যাই। সরকার যে খুব আগ্রহী আমাদের নিয়ে তা নয়। সংলাপ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। সংলাপ আরো হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল সব দল মিলে একটা জাতীয় সংলাপ হোক। যাতে সবার মতামত নিয়ে একটি অবাধ-নিরপেক্ষ সরকারের কাঠামো গঠন করা যায়। দেশে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আশা করেন কি না- এমন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আশা না, দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, আমরা একমাস নির্বাচন পেছাতে চেয়েছিলাম নির্বাচন তারা এক সপ্তাহ পেছালো। আর সংলাপের পরেই তফসিল ঘোষণা করা হলো। আমরা যাতে গুছিয়ে উঠতে না পারি সেজন্য এটা করলো।
পরে দেখল তারা নিজেও গুছিয়ে উঠতে পারছে না তাই তারা এক সপ্তাহ পেছালো। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সংবিধানের মূল নীতিতে নির্বাচনের গুরত্ব অপরিসীম। আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করলো। এরপর তারা ক্ষমতায় এসে এক আইনের মাধ্যমে তার পরিবর্তন আনলো। তারা নিজেরাই যে দাবিতে আন্দোলন করেছিল আমাদেরও সেই দাবি। আমাদের ৭ দফা দাবি ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের দাবিগুলো দেখেন। দু’টোই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন সহিংসতা করে নয়। এই যে আপনাদের সঙ্গে (সাংবাদিকদের) কথা বলছি এটাও সেই আন্দোলনের অংশ। ঐক্যফ্রন্টের কোনো দল কত আসন পাবেন এবং জয়ী হলে কে কোন পদ পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এই নিরপেক্ষ সরকারের কাঠামোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমতা থাকবে না। বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা জানতে চান আমরা কিভাবে দেশকে দেখছি। এছাড়াও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্বন্ধেও জানতে চেয়েছেন। বিদেশিদের উদ্বেগ থাকার পরেও ২০১৪ সালের নির্বাচন হলো। তারা দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেবেন বলে ৫ বছর কাটিয়ে দিলেন।
এবারো একই পথে হাঁটছেন তারা। খেলার মাঠে খেলোয়াড় নিজেই আম্পায়ার হলে খেলা হয় না। আমি বলেছি সরকারের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই বিষয়টি আলোকপাত করার জন্য। ঐক্যফন্টের বড় শরিক দল বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে আপনারা নির্বাচনে যাবেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, সরাসরি বলা ঠিক হবে না যে- আমরা নির্বাচনে যাবো না। সরকারতো চায় আমরা যাতে নির্বাচনে না যাই। সরকার যে খুব আগ্রহী আমাদের নিয়ে তা নয়। সংলাপ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। সংলাপ আরো হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল সব দল মিলে একটা জাতীয় সংলাপ হোক। যাতে সবার মতামত নিয়ে একটি অবাধ-নিরপেক্ষ সরকারের কাঠামো গঠন করা যায়। দেশে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আশা করেন কি না- এমন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আশা না, দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, আমরা একমাস নির্বাচন পেছাতে চেয়েছিলাম নির্বাচন তারা এক সপ্তাহ পেছালো। আর সংলাপের পরেই তফসিল ঘোষণা করা হলো। আমরা যাতে গুছিয়ে উঠতে না পারি সেজন্য এটা করলো।
পরে দেখল তারা নিজেও গুছিয়ে উঠতে পারছে না তাই তারা এক সপ্তাহ পেছালো। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সংবিধানের মূল নীতিতে নির্বাচনের গুরত্ব অপরিসীম। আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করলো। এরপর তারা ক্ষমতায় এসে এক আইনের মাধ্যমে তার পরিবর্তন আনলো। তারা নিজেরাই যে দাবিতে আন্দোলন করেছিল আমাদেরও সেই দাবি। আমাদের ৭ দফা দাবি ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের দাবিগুলো দেখেন। দু’টোই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন সহিংসতা করে নয়। এই যে আপনাদের সঙ্গে (সাংবাদিকদের) কথা বলছি এটাও সেই আন্দোলনের অংশ। ঐক্যফ্রন্টের কোনো দল কত আসন পাবেন এবং জয়ী হলে কে কোন পদ পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
No comments