রাষ্ট্রবিরোধী বা ইসলামি প্রচারণা চালিয়ে থাকলে স্বীকারোক্তি দেওয়ার আহ্বান চীনে
জিনজিয়াংয়ে সন্ত্রাসবিরোধী মহড়া |
চীনের
একটি শহরের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, যারা রাষ্ট্রবিরোধী, সন্ত্রাসী,
বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ‘ইসলামি’ কাজ করেছে তারা যদি স্বচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেয়
তাহলে তাদের নরমণ দৃষ্টিতে দেখা হবে। এমন কি তাদের শাস্তি মওকুফও করে দেওয়া
হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যেসব কাজকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা
করে দোষ স্বীকারের আহ্বান জানানো হয়েছে সেসবের মধ্যে রয়েছে হারাম-হালালের
বিষয়ে প্রচারণা চালানোর মতো কাজ।
চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ রয়েছে, দেশটি উইঘুর, কাজাখ, হউই, উজবেক ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটক করে রেখেছে। চীনের ভাষ্য, তাদেরকে আটক করে রাখা হয়নি। বরং ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়ে চীনা সংস্কৃতিতে ‘অন্তর্ভুক্তকরণের’ প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে। চীনা সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্তকরণ বলতে মূলত অপরাপর চীনা গোষ্ঠীগুলোকে হান জনগোষ্ঠীর ধর্ম, সংস্কৃতি, পোশাক, রাজনীতি এবং ভাষা গ্রহণে বাধ্য করছে চীন।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের হামি শহরের কর্তৃপক্ষ ৩০ দিনের মধ্যে দোষ স্বীকার করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে রক্ষণশীল ইসলামি রীতি মেনে চলার মতো কাজ করে থাকলে সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিজেদের সোপর্দ করা।
যেসব কাজগুলোকে রক্ষণশীলতা বা ইসলামি কাজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কোরআন অনুযায়ী সারা জীবন কাটানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া, টেলিভিশন দেখতে বাধা দেওয়া, মদ্যপান-ধূমপান-বিয়ের আসরে নাচার বিরুদ্ধে কথা বলা, সরকারি পরিচয়পত্র প্রকাশ্যে ধ্বংস করা- প্রত্যাখ্যান করা, সরকার প্রদত্ত বাসস্থান ও ভর্তুকি প্রত্যাখ্যান করা এবং সিগারেট-মদকে হারাম বলে প্রচারণা চালানো।
রয়টার্স জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রদেশের রাজধানী উরুমকি গত মাসে এক প্রচারণা চালানো শুরু করেছে হালাল খাবার ও টুথপেস্টের দোকানের বিরুদ্ধে। কারণ কর্তৃপক্ষ এসব দোকানের উপস্থিতিকে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে ইসলামের উত্থান হিসেবে দেখছে।
চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ রয়েছে, দেশটি উইঘুর, কাজাখ, হউই, উজবেক ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটক করে রেখেছে। চীনের ভাষ্য, তাদেরকে আটক করে রাখা হয়নি। বরং ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়ে চীনা সংস্কৃতিতে ‘অন্তর্ভুক্তকরণের’ প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে। চীনা সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্তকরণ বলতে মূলত অপরাপর চীনা গোষ্ঠীগুলোকে হান জনগোষ্ঠীর ধর্ম, সংস্কৃতি, পোশাক, রাজনীতি এবং ভাষা গ্রহণে বাধ্য করছে চীন।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের হামি শহরের কর্তৃপক্ষ ৩০ দিনের মধ্যে দোষ স্বীকার করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে রক্ষণশীল ইসলামি রীতি মেনে চলার মতো কাজ করে থাকলে সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিজেদের সোপর্দ করা।
যেসব কাজগুলোকে রক্ষণশীলতা বা ইসলামি কাজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কোরআন অনুযায়ী সারা জীবন কাটানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া, টেলিভিশন দেখতে বাধা দেওয়া, মদ্যপান-ধূমপান-বিয়ের আসরে নাচার বিরুদ্ধে কথা বলা, সরকারি পরিচয়পত্র প্রকাশ্যে ধ্বংস করা- প্রত্যাখ্যান করা, সরকার প্রদত্ত বাসস্থান ও ভর্তুকি প্রত্যাখ্যান করা এবং সিগারেট-মদকে হারাম বলে প্রচারণা চালানো।
রয়টার্স জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রদেশের রাজধানী উরুমকি গত মাসে এক প্রচারণা চালানো শুরু করেছে হালাল খাবার ও টুথপেস্টের দোকানের বিরুদ্ধে। কারণ কর্তৃপক্ষ এসব দোকানের উপস্থিতিকে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে ইসলামের উত্থান হিসেবে দেখছে।
No comments