সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব সমন্বিত পরিকল্পনা নিন -ইসিকে সুজন
সুষ্ঠু,
শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের
বিভিন্ন বিভাগসহ সকল অংশীজনকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করার আহ্বান
জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত
সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দ বলেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য
নির্বাচন আয়োজনের মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন
করার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা রোধে নির্লিপ্ত না থেকে কমিশনকে
কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন করেন সুজন-এর
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
সুজন সমপাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে আমাদের তিনটি প্রধান সংশয় রয়েছে। প্রথমত, এই নির্বাচন হচ্ছে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। এই অবস্থায় প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এ ব্যাপারে কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংসদ বহাল রেখেই। তাই সতর্ক থাকতে হবে যে, মন্ত্রী বা এমপিরা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন এবং তাদের পদের প্রভাব ব্যবহার না করতে পারেন। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশনকে আইনি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা কর্ণোগোচর বা দৃষ্টিগোচর হলে, অভিযোগ দায়েরের অপেক্ষা না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি যে কোনো অভিযোগে পেলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের অগাধ ক্ষমতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা- সাংবাদিকদের করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের অধীনেই রংপুর সিটিতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন, সরকার, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে, তাহলে আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবো। একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তরুণরা বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। গণমাধ্যম হলো ইসি’র সহায়ক শক্তি। গণমাধ্যমের ওপর বিধি-নিষেধ তুলে দিয়ে তাদেরকে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি সংকট তৈরি হয়। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমরা ‘সুজন’-এর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি পারস্পরিক আলোচনা ও একটি সমঝোতা স্মারক বা জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অনেক দেরিতে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ অনুষ্ঠিত হলেও দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে আশার কথা এই যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। ছোট-বড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমাদানের কাজ সম্পন্ন করেছে বা করার পথে। যদিও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানকালে শোডাউন নিয়ে বড় দু’টি দলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান: সংবাদ সম্মেলনে সুজনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি বেশকিছু পরামর্শ দাবি আকারে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে আছে- সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগসহ সকল অংশীজনকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা, নিকট অতীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ থেকে সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করা এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ, সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভালো দৃষ্টান্তসমূহ অনুসরণ করা, সকল দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের পরিচয় সমপর্কে নিশ্চিত হওয়া। কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা কোনো প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজন যেন এসব পদে দায়িত্ব না পান সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। কেউ নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গেপ্তার না করে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে হয়রানি না করার ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোভাবেই কোনো দলের পক্ষে প্রভাবিত না করতে সুজনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অসৎ, অযোগ্য, অপরাধপ্রবণ, কালোটাকার মালিক, ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ ও সামপ্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের পরিহার এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রকৃত রাজনীতিকদের তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান রেখেছে এ নাগরিক সংগঠন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান: পক্ষপাতহীনভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ বা দলীয় বিবেচনাকে প্রাধান্য দেয়া থেকে বিরত থাকা, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সুজন
সুজন সমপাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে আমাদের তিনটি প্রধান সংশয় রয়েছে। প্রথমত, এই নির্বাচন হচ্ছে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। এই অবস্থায় প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এ ব্যাপারে কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংসদ বহাল রেখেই। তাই সতর্ক থাকতে হবে যে, মন্ত্রী বা এমপিরা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন এবং তাদের পদের প্রভাব ব্যবহার না করতে পারেন। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশনকে আইনি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে নৈতিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা কর্ণোগোচর বা দৃষ্টিগোচর হলে, অভিযোগ দায়েরের অপেক্ষা না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি যে কোনো অভিযোগে পেলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের অগাধ ক্ষমতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা- সাংবাদিকদের করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের অধীনেই রংপুর সিটিতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন, সরকার, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে, তাহলে আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবো। একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তরুণরা বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। গণমাধ্যম হলো ইসি’র সহায়ক শক্তি। গণমাধ্যমের ওপর বিধি-নিষেধ তুলে দিয়ে তাদেরকে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি সংকট তৈরি হয়। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমরা ‘সুজন’-এর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি পারস্পরিক আলোচনা ও একটি সমঝোতা স্মারক বা জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অনেক দেরিতে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ অনুষ্ঠিত হলেও দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে আশার কথা এই যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। ছোট-বড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমাদানের কাজ সম্পন্ন করেছে বা করার পথে। যদিও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানকালে শোডাউন নিয়ে বড় দু’টি দলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান: সংবাদ সম্মেলনে সুজনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি বেশকিছু পরামর্শ দাবি আকারে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে আছে- সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগসহ সকল অংশীজনকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা, নিকট অতীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ থেকে সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করা এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ, সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভালো দৃষ্টান্তসমূহ অনুসরণ করা, সকল দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের পরিচয় সমপর্কে নিশ্চিত হওয়া। কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা কোনো প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজন যেন এসব পদে দায়িত্ব না পান সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। কেউ নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গেপ্তার না করে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে হয়রানি না করার ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোভাবেই কোনো দলের পক্ষে প্রভাবিত না করতে সুজনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অসৎ, অযোগ্য, অপরাধপ্রবণ, কালোটাকার মালিক, ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ ও সামপ্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের পরিহার এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রকৃত রাজনীতিকদের তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান রেখেছে এ নাগরিক সংগঠন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান: পক্ষপাতহীনভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ বা দলীয় বিবেচনাকে প্রাধান্য দেয়া থেকে বিরত থাকা, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সুজন
No comments