৪ বছরের পরিশ্রম ৪ মিনিটেই সমাধান by পিয়াস সরকার
গর্বিত
গ্র্যাজুয়েট, বেকার গ্র্যাজুয়েট, শেষ হলো আনার্স, বিষণ্ন গ্র্যাজুয়েট,
বাবা-মায়ের বেকার গ্র্যাজুয়েট সন্তান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন
অনেক প্রোফাইল পিকচার ফ্রেম পাওয়া যায়। এ যেন ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে
গ্র্যাজুয়েশন বা অনার্স শেষ করে এসব ফ্রেমে প্রোফাইল পিকচার আপলোড দেয়া।
অনার্স পাসের আগে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাড়ি দিতে হয় ইন্টার্নশিপের ধাক্কা। এই ইন্টার্নশিপ শেষে দিতে হয় ভাইভা বা ডিফেন্স। পুরো চার বছরের লেখাপড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষালব্ধ জ্ঞান এই সময় কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজে লাগানোর সময়। সেই কাজের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তৈরি করতে হয় একটি ইন্টার্নশিপ পেপার। এই পেপার তৈরিতে যেমন প্রয়োজন পরিশ্রম তেমনি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এই শিক্ষার্থীদের ত্রাতা হয়ে সামনে আসেন নীলক্ষেতের কিছু দোকান। তারা বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ইন্টার্ন পেপার তৈরি করে রাখেন তারা। তারা এমনভাবে ইন্টার্ন পেপারগুলো তৈরি করে থাকেন যেখানে যুক্ত থাকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ তথ্য, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ ইন্টার্ন পেপারে যা প্রয়োজন সকল তথ্য।
আমাদের একটা অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে ইন্টার্ন পেপার তৈরি। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীরা আসে শুধু তাদের নাম, আইডি, কোন প্রতিষ্ঠানে কী হিসেবে ইন্টার্ন করেছে তা বললেই শুধু বসিয়ে দিয়ে তৈরি করে ফেলা হয় ইন্টার্ন। এসব তথ্য জানান নীলক্ষেতের ‘সেবা প্রকাশ’-এর স্বত্বাধিকারী নিলয় রহমান। নীলক্ষেতে প্রয়াশে কর্মরত ইবাদত আলীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কীভাবে সংগ্রহ করেন এসব তথ্য। তিনি জবাবে বলেন, আমাদের কাছে পুরানো যেসব তথ্য থাকে সেগুলোই একটু পরিবর্তন করে নতুন করে দিই। আবার কেউ পেপার নিজে তৈরি করে নিয়ে আসলে আমাদের কাছে কাজের একটা কপি রয়ে যায় তা দেখেও আপডেট করা হয়।
নীলক্ষেতে দেখা যায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী বসে থেকে বানিয়ে নিচ্ছেন তাদের ইন্টার্ন পেপার। আশা ইউনির্ভাসিটির ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) তিন শিক্ষার্থী। তারা ভিন্ন ভিন্ন তিন ব্যাংকের (মেঘনা, প্রাইম ও পূবালী ব্যাংকের) ইন্টার্ন পেপার বানিয়ে নিলেন মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায়। এতে শুধু তাদের গুনতে হল মাত্র ৫০০ টাকা প্রতিজন। আরেকটি দোকানের সামনে দেখা যায় শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে। তারাও বানিয়ে নিলেন তাদের ইন্টার্ন পেপার। মূল্য নির্ধারণ করাই আছে।
জেনে অবাক হবেন যে, সেসব ইন্টার্ন পেপারের উপর আবার প্রেজেন্টেশন স্লাইড মেলে সেসব দোকানে। পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি সেসব স্লাইডের জন্য গুনতে হয় ২০০ টাকা।
এরপর এক দোকানে প্রস্তাব দেয়া হয়, ভাই আমিতো কোথাও ইন্টার্ন করিনি। ভার্সিটিতে বলেছি আমি ‘এনসিবি ব্যাংক’ এ ইন্টার্ন করেছি। আমার ভাইবা দু’দিন পর। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আরে ভাই এটা কোন ব্যাপার না। মানুষ আমাদের কাছে আসে কয়েক ঘণ্টা আগে আপনি তো এসেছেন দু’দিন আগে। তখন দৃষ্টিগোচর হয়, প্রতিটি ব্যাংকের দু-একজন কর্তকর্তার স্বাক্ষর পর্যন্ত সংগ্রহ করা আছে তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের শিক্ষালব্ধ ফল এই ইন্টার্ন পেপার, আর এই ইন্টার্নশিপ পেপার তারা তৈরি করে দিচ্ছেন মাত্র ৪-৫ মিনিটেই। এ যেন ৪ বছরের পরিশ্রম নামিয়ে এনেছেন ৪ মিনিটে। সকলের সামনে চলছে এই অন্যায় কাজ। দেখার যেমন কেউ নেই তেমনি, শিক্ষার্থীরাও নিচ্ছেন অন্যায়ের আশ্রয়।
অনার্স পাসের আগে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাড়ি দিতে হয় ইন্টার্নশিপের ধাক্কা। এই ইন্টার্নশিপ শেষে দিতে হয় ভাইভা বা ডিফেন্স। পুরো চার বছরের লেখাপড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষালব্ধ জ্ঞান এই সময় কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজে লাগানোর সময়। সেই কাজের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তৈরি করতে হয় একটি ইন্টার্নশিপ পেপার। এই পেপার তৈরিতে যেমন প্রয়োজন পরিশ্রম তেমনি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এই শিক্ষার্থীদের ত্রাতা হয়ে সামনে আসেন নীলক্ষেতের কিছু দোকান। তারা বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ইন্টার্ন পেপার তৈরি করে রাখেন তারা। তারা এমনভাবে ইন্টার্ন পেপারগুলো তৈরি করে থাকেন যেখানে যুক্ত থাকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ তথ্য, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ ইন্টার্ন পেপারে যা প্রয়োজন সকল তথ্য।
আমাদের একটা অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে ইন্টার্ন পেপার তৈরি। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীরা আসে শুধু তাদের নাম, আইডি, কোন প্রতিষ্ঠানে কী হিসেবে ইন্টার্ন করেছে তা বললেই শুধু বসিয়ে দিয়ে তৈরি করে ফেলা হয় ইন্টার্ন। এসব তথ্য জানান নীলক্ষেতের ‘সেবা প্রকাশ’-এর স্বত্বাধিকারী নিলয় রহমান। নীলক্ষেতে প্রয়াশে কর্মরত ইবাদত আলীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কীভাবে সংগ্রহ করেন এসব তথ্য। তিনি জবাবে বলেন, আমাদের কাছে পুরানো যেসব তথ্য থাকে সেগুলোই একটু পরিবর্তন করে নতুন করে দিই। আবার কেউ পেপার নিজে তৈরি করে নিয়ে আসলে আমাদের কাছে কাজের একটা কপি রয়ে যায় তা দেখেও আপডেট করা হয়।
নীলক্ষেতে দেখা যায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী বসে থেকে বানিয়ে নিচ্ছেন তাদের ইন্টার্ন পেপার। আশা ইউনির্ভাসিটির ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) তিন শিক্ষার্থী। তারা ভিন্ন ভিন্ন তিন ব্যাংকের (মেঘনা, প্রাইম ও পূবালী ব্যাংকের) ইন্টার্ন পেপার বানিয়ে নিলেন মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায়। এতে শুধু তাদের গুনতে হল মাত্র ৫০০ টাকা প্রতিজন। আরেকটি দোকানের সামনে দেখা যায় শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে। তারাও বানিয়ে নিলেন তাদের ইন্টার্ন পেপার। মূল্য নির্ধারণ করাই আছে।
জেনে অবাক হবেন যে, সেসব ইন্টার্ন পেপারের উপর আবার প্রেজেন্টেশন স্লাইড মেলে সেসব দোকানে। পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি সেসব স্লাইডের জন্য গুনতে হয় ২০০ টাকা।
এরপর এক দোকানে প্রস্তাব দেয়া হয়, ভাই আমিতো কোথাও ইন্টার্ন করিনি। ভার্সিটিতে বলেছি আমি ‘এনসিবি ব্যাংক’ এ ইন্টার্ন করেছি। আমার ভাইবা দু’দিন পর। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আরে ভাই এটা কোন ব্যাপার না। মানুষ আমাদের কাছে আসে কয়েক ঘণ্টা আগে আপনি তো এসেছেন দু’দিন আগে। তখন দৃষ্টিগোচর হয়, প্রতিটি ব্যাংকের দু-একজন কর্তকর্তার স্বাক্ষর পর্যন্ত সংগ্রহ করা আছে তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের শিক্ষালব্ধ ফল এই ইন্টার্ন পেপার, আর এই ইন্টার্নশিপ পেপার তারা তৈরি করে দিচ্ছেন মাত্র ৪-৫ মিনিটেই। এ যেন ৪ বছরের পরিশ্রম নামিয়ে এনেছেন ৪ মিনিটে। সকলের সামনে চলছে এই অন্যায় কাজ। দেখার যেমন কেউ নেই তেমনি, শিক্ষার্থীরাও নিচ্ছেন অন্যায়ের আশ্রয়।
No comments