চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে চাপ নেই: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে
ওয়াশিংটনের ওপরে কোনো চাপ নেই। বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ দাবি
করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রই চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনায় বসার
আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীনকে। যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে স্বাগতও জানিয়েছিল
দেশটি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, বাণিজ্য যুদ্ধের মাঝে আলোচনায় বসার প্রস্তাবকে অনেকেই সম্ভাবনাময় মনে করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে ট্রাম্পের এ টুইট জন্ম দিয়েছে নতুন উৎকণ্ঠার। টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে আমাদের উপরে কোনো চাপ নেই বরং তাদের জন্যেই চুক্তিটি জরুরি। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বড় হচ্ছে আর তাদেরটা কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে, দেশ দুটি পরস্পরের সব ধরনের পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে। পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার বাণিজ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের শুল্কও আরোপ করেছে। নির্দিষ্ট কোনো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক আরোপ করা ডনাল্ড ট্রাম্প সরকারের নতুন নীতি। তার এ নীতি দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে চলে আসা মুক্তবাজার অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উস্কে দেয়া বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে দেশ দুটির বিভিন্ন কোম্পানি। গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি কমে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, চীনের আরো ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যদি তাই হয় তাহলে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা সকল পণ্যের উপরই অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে চীনকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান জানান, ট্রাম্প শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে মূলত চীনের সর্বোচ্চ নেতাদের মনোযোগ পেতে চাইছেন। একইসঙ্গে তিনি আশা করছেন এটি হয়ত দরকষাকষিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি না এরকম শুল্ক আরোপ কোনো বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, দিনশেষে এটি একটি কর যা ঘুরেফিরে ক্রেতাকেই পরিষোধ করতে হবে। তা ছাড়া যে কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে সেবা নিশ্চিত করছে তাদের জন্যও এটি হতাশাজনক।
হোয়াইট হাউজের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেছেন, চীনের সঙ্গে আলোচনা পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়তা করবে। ফক্স বিজনেস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বুধবার তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আলোচনার জন্য চীনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না। কারণ আসলেই বলার বেশি কিছু নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমি বিশ্বাস করি কোনো সমস্যা নিয়ে চুপ থাকার থেকে অন্তত কথা বলাটা সুবিধাজনক। তাই আপাতত আমরা এ আলোচনাকে অগ্রগতি হিসেবেই ধরে নিচ্ছি। এরপরে বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ আলোচনার আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
এর আগে, হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চীনের আগ্রাসী বাজারনীতির কারণেই তাদের পণ্যে শুল্ক আরোপে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি দীর্ঘদিন ধরে তারা এ বাণিজ্য ঘাটতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। অপরদিকে চীনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রই ইতিহাসের সবথেকে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, বাণিজ্য যুদ্ধের মাঝে আলোচনায় বসার প্রস্তাবকে অনেকেই সম্ভাবনাময় মনে করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে ট্রাম্পের এ টুইট জন্ম দিয়েছে নতুন উৎকণ্ঠার। টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে আমাদের উপরে কোনো চাপ নেই বরং তাদের জন্যেই চুক্তিটি জরুরি। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বড় হচ্ছে আর তাদেরটা কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে, দেশ দুটি পরস্পরের সব ধরনের পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে। পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার বাণিজ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের শুল্কও আরোপ করেছে। নির্দিষ্ট কোনো দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক আরোপ করা ডনাল্ড ট্রাম্প সরকারের নতুন নীতি। তার এ নীতি দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে চলে আসা মুক্তবাজার অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উস্কে দেয়া বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে দেশ দুটির বিভিন্ন কোম্পানি। গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি কমে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, চীনের আরো ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যদি তাই হয় তাহলে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা সকল পণ্যের উপরই অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে চীনকে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান জানান, ট্রাম্প শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে মূলত চীনের সর্বোচ্চ নেতাদের মনোযোগ পেতে চাইছেন। একইসঙ্গে তিনি আশা করছেন এটি হয়ত দরকষাকষিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি না এরকম শুল্ক আরোপ কোনো বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, দিনশেষে এটি একটি কর যা ঘুরেফিরে ক্রেতাকেই পরিষোধ করতে হবে। তা ছাড়া যে কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে সেবা নিশ্চিত করছে তাদের জন্যও এটি হতাশাজনক।
হোয়াইট হাউজের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেছেন, চীনের সঙ্গে আলোচনা পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়তা করবে। ফক্স বিজনেস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বুধবার তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আলোচনার জন্য চীনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না। কারণ আসলেই বলার বেশি কিছু নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমি বিশ্বাস করি কোনো সমস্যা নিয়ে চুপ থাকার থেকে অন্তত কথা বলাটা সুবিধাজনক। তাই আপাতত আমরা এ আলোচনাকে অগ্রগতি হিসেবেই ধরে নিচ্ছি। এরপরে বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ আলোচনার আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
এর আগে, হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চীনের আগ্রাসী বাজারনীতির কারণেই তাদের পণ্যে শুল্ক আরোপে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি দীর্ঘদিন ধরে তারা এ বাণিজ্য ঘাটতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। অপরদিকে চীনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রই ইতিহাসের সবথেকে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে।
No comments