ইরানে দুধের শিশুদের ব্যতিক্রমী মহাসমাবেশ
ইরানের
রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে আজ 'হুসাইনি শিশু সমাবেশ' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খোদাদ্রোহী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ)’র ছয় মাসের
শিশুপুত্র হযরত আলী আসগর (আ)’র শাহাদতের স্মরণে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এই
বিশেষ শিশু সমাবেশ।
মায়েদের উপস্থিতিতে এই সমাবেশে হযরত আলী আসগরের হৃদয়-বিদারক শাহাদতকে স্মরণ করা হয়। এবারের সমাবেশে লাখ লাখ দুধের শিশু অংশ নেয়। শূন্য ও রক্তমাখা দোলনা দুলিয়ে শোকার্ত মায়েরা তাদের শিশুকে কোলে নিয়ে এই শোকানুষ্ঠানে অংশ নেন। ফলে সৃষ্টি হয় হৃদয়-বিদারী শোকের পরিবেশ। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিশু ও অন্যদের মধ্যে দুধ বিতরণ করে থাকেন।
৬৮০ খ্রিস্টাব্দে বা ৬১ হিজরির দশই মহররম কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর পানি-অবরোধের কারণে এই শিশু যখন তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন তখন ইমাম হুসাইন (আ.) এই শিশুকে কোলে নিয়ে তাঁর জন্য পানি চান। এসময় পাষাণ-হৃদয় ইয়াজিদি সেনা হারমালা বিন কাহিল তিন শাখা-বিশিষ্ট একটি তীর নিক্ষেপ করলে তা তাঁর নরম গলা ভেদ করে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারায় ওই কচি শিশু। শাহাদতের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। কারবালায় তাঁকে দাফন করা হয়েছিল পিতার সঙ্গেই।
বলা হয়ে থাকে ইমাম হুসাইন তার শিশুপুত্র আলী আসগরে কয়েক ফোঁটা রক্ত আকাশের দিকে নিক্ষেপ করলে তা কখনও মাটিতে ফিরে আসেনি। বীর মুখতার সাকাফি কয়েক বছর পর হারমালাকে হত্যা করেছিলেন দূর থেকে গলায় ছুরি নিক্ষেপ করে যা এই পাষণ্ডের গলা বিদ্ধ করেছিল।
আলী আসগর (আ) বিশ্ব-সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর মহররম মাসের প্রথম শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ওই মর্মান্তিক ঘটনা স্মরণে ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুদের এই ব্যতিক্রমী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মায়েদের উপস্থিতিতে এই সমাবেশে হযরত আলী আসগরের হৃদয়-বিদারক শাহাদতকে স্মরণ করা হয়। এবারের সমাবেশে লাখ লাখ দুধের শিশু অংশ নেয়। শূন্য ও রক্তমাখা দোলনা দুলিয়ে শোকার্ত মায়েরা তাদের শিশুকে কোলে নিয়ে এই শোকানুষ্ঠানে অংশ নেন। ফলে সৃষ্টি হয় হৃদয়-বিদারী শোকের পরিবেশ। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিশু ও অন্যদের মধ্যে দুধ বিতরণ করে থাকেন।
৬৮০ খ্রিস্টাব্দে বা ৬১ হিজরির দশই মহররম কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর পানি-অবরোধের কারণে এই শিশু যখন তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন তখন ইমাম হুসাইন (আ.) এই শিশুকে কোলে নিয়ে তাঁর জন্য পানি চান। এসময় পাষাণ-হৃদয় ইয়াজিদি সেনা হারমালা বিন কাহিল তিন শাখা-বিশিষ্ট একটি তীর নিক্ষেপ করলে তা তাঁর নরম গলা ভেদ করে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারায় ওই কচি শিশু। শাহাদতের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। কারবালায় তাঁকে দাফন করা হয়েছিল পিতার সঙ্গেই।
বলা হয়ে থাকে ইমাম হুসাইন তার শিশুপুত্র আলী আসগরে কয়েক ফোঁটা রক্ত আকাশের দিকে নিক্ষেপ করলে তা কখনও মাটিতে ফিরে আসেনি। বীর মুখতার সাকাফি কয়েক বছর পর হারমালাকে হত্যা করেছিলেন দূর থেকে গলায় ছুরি নিক্ষেপ করে যা এই পাষণ্ডের গলা বিদ্ধ করেছিল।
আলী আসগর (আ) বিশ্ব-সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর মহররম মাসের প্রথম শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ওই মর্মান্তিক ঘটনা স্মরণে ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুদের এই ব্যতিক্রমী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
No comments