কোটা সংস্কারের দাবি ন্যায্য
সরকারি
চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবি ন্যায্য বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম
সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, কোটা সংস্কারে
আন্দোলনকারীরা রাজাকারের সন্তান নয়, তারা এদেশেরই সন্তান। প্রকৌশলী শেখ
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ঐক্য
প্রক্রিয়া আয়োজিত ‘কয়লা চুরি, ব্যাংক ডাকাতি, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বন্ধ করে
ভোটাধিকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক এক আলোচনা
সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকে যারা কোটা আন্দোলন করছে এরা কারা? এরা কোনো রাজাকারের বাচ্চা নয়, এরা এই দেশেরই সন্তান। যারা এই আন্দোলনকারীদের অপমান করে, তারা আসো, আমার সামনে এসে দাঁড়াও। আমাকে গুলি করে মারার আগে তাদের গালে দুই চড় মারবো আমি।’ তিনি বলেন, এসব শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে নিজেদের পকেট ভারি করছে না। এরা নিজেদের ন্যায্য দাবির প্রস্তাব করেছে। তারা কোটা বাতিল নয় বরং কোটার সংস্কার চেয়েছে। আর এই ন্যায্য দাবি প্রস্তাব করা তাদের মৌলিক অধিকার। আর লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই অধিকার অর্জন করেছি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত দলিল আজও জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তার নাম ভাঙিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ না করে, যান দলিলটিতে কী লেখা আছে গিয়ে পড়ুন। তাতে উল্লেখ আছে এই দেশের মালিক কোনো ব্যক্তি না। এই দেশের মালিক এই দেশের জনগণ। এখনো সময় আছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। ইতিমধ্যে একটি ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে এমন দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, ‘এদেশের মানুষ নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেন আমরাই মালিক। তারা প্রশ্ন করে, আমরা কী করে মালিক? আমাদের কথা তো কেউ শোনে না। আমি বলি, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন, তারপর দেখেন শোনা যাবে কি যাবে না।
ইতিমধ্যে একটি ঐক্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে, এরমধ্যেই টনক নড়ে যাচ্ছে। শক্তভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসুন আমরা দাঁড়াই।’ এই আইন বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, তরুণ সমাজের ওপর আক্রমণ খুবই লজ্জার। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথম গণকবর কোথায় খোঁড়া হয়েছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চলুন আমার সঙ্গে আমি দেখাবো। প্রত্যেকটা শিক্ষককে টেনে টেনে বের করা হয়েছিল, আর পাইকারিভাবে ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছিল। প্রথম কাতারের মুক্তিযোদ্ধারা ছাত্র ছিল? না তরুণ ছিল? তিনি বলেন, এই ইতিহাসকে কেন আজ মুছে দেয়া হবে? তাদের উত্তরসূরিই আজকের এই ছাত্ররা। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার পরিষ্কার মনে আছে, যখন স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু বললেন, সবাইকে দুই লাখ করে টাকা দেবো, তখন অনেকেই আমার দেয়া চেক সঙ্গে সঙ্গে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। যারা আজকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করে, তারা এ কথা ভুলে গেছে যে, মুক্তিযোদ্ধারা কী মানসিকতা নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। আজ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি-ঘর দেয়া হয়েছে কিন্তু আমরা বাড়ি-ঘর পাওয়ার জন্য বা ব্যবসা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এসময় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সভাপতি আ স ম শফিউল্লাহ বলেন, সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকই সমান অধিকার পাবে।
তাহলে এখানে কোটার প্রয়োজনটা কোথায়। যুদ্ধের সময় থেকে এখন দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। তিনি বলেন, আমার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স মাত্র ১০ থেকে ১২ বছর ছিল তারা আজ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাচ্ছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিস্টে না থাকলেও টাকার বিনিময়ে অনেকেই আজ মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা সেই সংবিধানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও কোনো কোটার কথা উল্লেখ নেই। লেখা আছে, যোগ্যতার প্রাধান্য সবার আগে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এসব কোটা পদ্ধতি বাদ দিয়ে আন্দোলন ও এই রাজনীতির অবসান ঘটান। আর সম্মান যদি দিতে হয় আহত ও যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখান। আর সেই সম্মান হবে, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করা।
অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় তাদের রাজাকারের সন্তান বলা হয়। এটি দুঃখজনক। কলকাতায় ঘুমিয়ে আসলেই কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় না। গুটি কয়েক দালাল ছাড়া এদেশের বাকি সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল। কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্ররা যৌক্তিক দাবি করেছে। তারা তো সংস্কার চেয়েছে, বাতিল না। ক্ষোভের বশে কেউ বাতিলের কথা বললেই তা বাতিল হয়ে যায় না। কোটার পরিবর্তন, সংশোধন হতে পারে।
চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাটি যে বার্তা এসেছে তা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিমুল ইসলাম প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকে যারা কোটা আন্দোলন করছে এরা কারা? এরা কোনো রাজাকারের বাচ্চা নয়, এরা এই দেশেরই সন্তান। যারা এই আন্দোলনকারীদের অপমান করে, তারা আসো, আমার সামনে এসে দাঁড়াও। আমাকে গুলি করে মারার আগে তাদের গালে দুই চড় মারবো আমি।’ তিনি বলেন, এসব শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে নিজেদের পকেট ভারি করছে না। এরা নিজেদের ন্যায্য দাবির প্রস্তাব করেছে। তারা কোটা বাতিল নয় বরং কোটার সংস্কার চেয়েছে। আর এই ন্যায্য দাবি প্রস্তাব করা তাদের মৌলিক অধিকার। আর লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই অধিকার অর্জন করেছি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত দলিল আজও জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তার নাম ভাঙিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ না করে, যান দলিলটিতে কী লেখা আছে গিয়ে পড়ুন। তাতে উল্লেখ আছে এই দেশের মালিক কোনো ব্যক্তি না। এই দেশের মালিক এই দেশের জনগণ। এখনো সময় আছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। ইতিমধ্যে একটি ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে এমন দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, ‘এদেশের মানুষ নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেন আমরাই মালিক। তারা প্রশ্ন করে, আমরা কী করে মালিক? আমাদের কথা তো কেউ শোনে না। আমি বলি, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন, তারপর দেখেন শোনা যাবে কি যাবে না।
ইতিমধ্যে একটি ঐক্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে, এরমধ্যেই টনক নড়ে যাচ্ছে। শক্তভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসুন আমরা দাঁড়াই।’ এই আইন বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, তরুণ সমাজের ওপর আক্রমণ খুবই লজ্জার। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথম গণকবর কোথায় খোঁড়া হয়েছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চলুন আমার সঙ্গে আমি দেখাবো। প্রত্যেকটা শিক্ষককে টেনে টেনে বের করা হয়েছিল, আর পাইকারিভাবে ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছিল। প্রথম কাতারের মুক্তিযোদ্ধারা ছাত্র ছিল? না তরুণ ছিল? তিনি বলেন, এই ইতিহাসকে কেন আজ মুছে দেয়া হবে? তাদের উত্তরসূরিই আজকের এই ছাত্ররা। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার পরিষ্কার মনে আছে, যখন স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু বললেন, সবাইকে দুই লাখ করে টাকা দেবো, তখন অনেকেই আমার দেয়া চেক সঙ্গে সঙ্গে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। যারা আজকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করে, তারা এ কথা ভুলে গেছে যে, মুক্তিযোদ্ধারা কী মানসিকতা নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। আজ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি-ঘর দেয়া হয়েছে কিন্তু আমরা বাড়ি-ঘর পাওয়ার জন্য বা ব্যবসা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এসময় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সভাপতি আ স ম শফিউল্লাহ বলেন, সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকই সমান অধিকার পাবে।
তাহলে এখানে কোটার প্রয়োজনটা কোথায়। যুদ্ধের সময় থেকে এখন দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। তিনি বলেন, আমার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দেখেছি মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স মাত্র ১০ থেকে ১২ বছর ছিল তারা আজ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাচ্ছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিস্টে না থাকলেও টাকার বিনিময়ে অনেকেই আজ মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা সেই সংবিধানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও কোনো কোটার কথা উল্লেখ নেই। লেখা আছে, যোগ্যতার প্রাধান্য সবার আগে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এসব কোটা পদ্ধতি বাদ দিয়ে আন্দোলন ও এই রাজনীতির অবসান ঘটান। আর সম্মান যদি দিতে হয় আহত ও যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখান। আর সেই সম্মান হবে, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করা।
অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় তাদের রাজাকারের সন্তান বলা হয়। এটি দুঃখজনক। কলকাতায় ঘুমিয়ে আসলেই কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় না। গুটি কয়েক দালাল ছাড়া এদেশের বাকি সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল। কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্ররা যৌক্তিক দাবি করেছে। তারা তো সংস্কার চেয়েছে, বাতিল না। ক্ষোভের বশে কেউ বাতিলের কথা বললেই তা বাতিল হয়ে যায় না। কোটার পরিবর্তন, সংশোধন হতে পারে।
চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাটি যে বার্তা এসেছে তা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিমুল ইসলাম প্রমুখ।
No comments