নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা ৪০০০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য
সাম্প্রতিক
সময়ে দেশ থেকে রপ্তানির নামে চার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছেন
বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী
হাসান। তবে কত দিনের মধ্যে এই অর্থ পাচার হয়েছে তা উল্লেখ করেননি তিনি।
গতকাল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এ
তথ্য জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা
করেন গভর্নর ফজলে কবির। এক প্রশ্নের জবাবে রাজী হাসান বলেন, আমরা চার হাজার
কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছি। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। অনুসন্ধান
শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ
বিষয়টি নিয়ে আরও খোঁজখবর নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া
হয়েছে।
একটি গ্রুপের আমদানি পণ্য দেশে না আসায় একটি ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছিল। চাপে পড়ে তা মাফ করা হয়েছে। এভাবেই তো অর্থ পাচার হচ্ছে? জবাবে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, পণ্য দেশে আসা নয়, জরিমানা করা হয়েছিল সময়মতো আমদানি নথি জমা না দেয়ায়।
গভর্নর ফজলে কবির এ সময় বলেন, ব্যাংকটি জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করেছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিষয়টি দেখবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, পরিদর্শনে যেসব অনিয়ম ধরা পড়ছে, এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমাদের যে সীমারেখা রয়েছে, এরমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে বছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্যের চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ হওয়ায় ভোটের আগে ‘সংযত’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণায় সুদহার ও নীতিনির্ধারণীতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহও ১৬.৮ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতেও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি একই ছিল।
গভর্নর বলেন, মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬.৮ শতাংশ, সরকারি খাতে ১০.৪ শতাংশ। এক প্রশ্নের উত্তরে ফজলে কবির বলে, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি যদিও গতবারের মুদ্রানীতির মতো ১৬.৮ শতাংশ ধরা হয়েছে, কিন্তু সরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের চাহিদা কম থাকায় বেসরকারি খাতে ঋণের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ থাকবে।
মুদ্রানীতিতে বিধিবদ্ধ জমার (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নগদ জমা রাখার হার) অনুপাত বা সিআরআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিল আহরণের রেপো সুদের হারও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে সিআরআর আছে ৫.৫ শতাংশ। রেপো সুদের হার ৬ শতাংশ।
গভর্নর বলেন, আগের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫.৫ শতাংশ, তা অর্জিত হয়নি। এ বছরের জুনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫.৭৮ শতাংশ। এজন্যই মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাবাচন সামনে রেখে সংযত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সরকার বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্য ধরেছে, তা বাস্তবায়নে সহায়তা করতেই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বর্ণ নিয়ে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বর্ণ যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন ঠিক সেই অবস্থাতেই রয়েছে। ভল্টে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের রাখা স্বর্ণের কোনো হেরফের হয়নি।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া পুরো টাকাই ফেরত আসবে। তার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান এসময় বলেন, ফিলিপাইনের উচ্চ আদালতে একটা রায় আপিল অবস্থায় আছে। ওই আপিলের সুরাহা হলেই প্রায় ৫১ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসবে। আর যে টাকাটা এখনও সনাক্ত হয়নি, তাও সনাক্তের বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলো কী হারে আমানত সংগ্রহ করছে এবং ঋণ কী হারে দিচ্ছে, তা নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারকে করপোরেট গ্রাহক ও প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে আরো গ্রহণযোগ্য ও বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার প্রয়াসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ব্যাংককে অভিনন্দন জানিয়েছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
একটি গ্রুপের আমদানি পণ্য দেশে না আসায় একটি ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছিল। চাপে পড়ে তা মাফ করা হয়েছে। এভাবেই তো অর্থ পাচার হচ্ছে? জবাবে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, পণ্য দেশে আসা নয়, জরিমানা করা হয়েছিল সময়মতো আমদানি নথি জমা না দেয়ায়।
গভর্নর ফজলে কবির এ সময় বলেন, ব্যাংকটি জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করেছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিষয়টি দেখবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, পরিদর্শনে যেসব অনিয়ম ধরা পড়ছে, এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমাদের যে সীমারেখা রয়েছে, এরমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে বছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্যের চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ হওয়ায় ভোটের আগে ‘সংযত’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণায় সুদহার ও নীতিনির্ধারণীতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহও ১৬.৮ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতেও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি একই ছিল।
গভর্নর বলেন, মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬.৮ শতাংশ, সরকারি খাতে ১০.৪ শতাংশ। এক প্রশ্নের উত্তরে ফজলে কবির বলে, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি যদিও গতবারের মুদ্রানীতির মতো ১৬.৮ শতাংশ ধরা হয়েছে, কিন্তু সরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের চাহিদা কম থাকায় বেসরকারি খাতে ঋণের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ থাকবে।
মুদ্রানীতিতে বিধিবদ্ধ জমার (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নগদ জমা রাখার হার) অনুপাত বা সিআরআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিল আহরণের রেপো সুদের হারও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে সিআরআর আছে ৫.৫ শতাংশ। রেপো সুদের হার ৬ শতাংশ।
গভর্নর বলেন, আগের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫.৫ শতাংশ, তা অর্জিত হয়নি। এ বছরের জুনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫.৭৮ শতাংশ। এজন্যই মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাবাচন সামনে রেখে সংযত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সরকার বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্য ধরেছে, তা বাস্তবায়নে সহায়তা করতেই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বর্ণ নিয়ে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বর্ণ যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন ঠিক সেই অবস্থাতেই রয়েছে। ভল্টে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের রাখা স্বর্ণের কোনো হেরফের হয়নি।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া পুরো টাকাই ফেরত আসবে। তার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান এসময় বলেন, ফিলিপাইনের উচ্চ আদালতে একটা রায় আপিল অবস্থায় আছে। ওই আপিলের সুরাহা হলেই প্রায় ৫১ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসবে। আর যে টাকাটা এখনও সনাক্ত হয়নি, তাও সনাক্তের বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলো কী হারে আমানত সংগ্রহ করছে এবং ঋণ কী হারে দিচ্ছে, তা নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারকে করপোরেট গ্রাহক ও প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে আরো গ্রহণযোগ্য ও বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার প্রয়াসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ব্যাংককে অভিনন্দন জানিয়েছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
No comments