আফজান বিবির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা একমাত্র ছেলেটাও গত
সপ্তাহে মারা যায়। এর আগে আরেকটি পুত্র ছিলো সেও বিদায় নেয়। গতকাল আফজান
বিবির সঙ্গে কথা বলতে গেলে মুখে বিড়বিড় করে শুধু এইটুকুই বলে, আমি মইরা
যাইয়াম, খাইবার পাই না। আমার ভাতা অইনা কেয়া? একই কথা বার বার বিড়বিড় করে
বলতেই থাকে। ক’দিন আগেও কিছু কথা বলতে পেরেছেন। সেই কথাগুলো ছিলো এমন!
বাবা! হোন্ডার নিচে পইরা একটা পা ভাইংগা গেছে। উঠবার পায়না বাবা! আডাচাড়া
(নড়াচড়া) করবার পায়না! মাইনসে টাইন্যা (টেনে) নিয়া গেলে যাইবার পাই! এক
পোলা অসুখে মইরা গেছে! আরেক পুলা আছে সেও কঠিন অসুগে ঘরে পইরা আছে! মাইয়া
একটা তার স্বামীও ফালাইয়া রাইখা গেছে। ঐ মাইয়াডাই আমারে দেহে। মাইয়াই তো
খাইবার পায় না। আমারে কেমনে দেখবো। আমারে একটা কার্ড দিলাইন না। আইন্যেরা
না দিলে দেখবো কেডা! বয়স অইছে। মইরা যামুগা! ভালাতো কিছু পাই না!
চেয়ারম্যানের কাছে কয়বার গেলাম! দেয় না কিছু! তার বাড়ি উপজেলার ৩নং কৈচাপুর
ইউনিয়নের দর্শারপাড় গ্রামে। কিছু জিজ্ঞেস করলে কথা বলতে গিয়ে অবাক
দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে নীরব হয়ে যায়। একপর্যায়ে
ভাঙা পা দেখিয়ে নিশ্বাস ছাড়ে। |
No comments