সরজমিন আদালতপাড়া: কমলার অপেক্ষার প্রহর ১৬ বছরেও শেষ হয়নি by উৎপল রায়
বুধবার
১১ই জুলাই। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দার
মেঝের এক কোনায় বসে আছেন বৃদ্ধা কমলা খাতুন। সকাল থেকে অপেক্ষা। তার
আইনজীবী আসবেন। মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে
তুলবেন। এরই মধ্যে দুপুরও গড়িয়ে যায়। কিন্তুআইনজীবী আর আসেন না। তিনি
জানান, মাদক মামলার আসামি তিনি। গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে তিনি প্রতিনিয়ত
আদালতে আসছেন। হাজিরা দেন। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা কমলা খাতুন
জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে তার নামে মাদকের মামলা হয়। তার দাবি জায়ের সঙ্গে
ঝগড়ার জেরে প্রতিপক্ষ তার ঘরে হেরোইন রেখে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়। কিছুদিন
কারাগারেও ছিলেন। এরপর নিয়মিতই আদালতে আসা যাওয়া। তার মামলা বর্তমানে কি
পর্যায়ে আছে তা জানেন না স্বল্প শিক্ষিত কমলা খাতুন। শুধু বলেন, সাক্ষী আসে
না, উকিল সব জানে। কিন্তু সকাল থেকে অপেক্ষা করেও আইনজীবীর দেখা পাননি।
সঙ্গে মোবাইল ফোন এমনকি কোনো স্বজনও নেই। তার অপেক্ষার প্রহর যেন আর ফুরোয়
না। তিনি বলেন, সাক্ষী আহে না, বাদীও আহে না। কিন্তু আমি নিয়মিত আহি। তিনি
জানান, তার স্বামী নেই। মেয়ের স্বামীদের সহায়তায় কোনোমতে দিন চলে তার। এই
দীর্ঘ সময়ে মামলা চালাতে গিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এই বয়সে আদালতে
হাজিরা দিতে দিতে শরীর স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়েছে। কিন্তু কমলা খাতুনের
বিচারকাজ আর শেষ হয় না। কবে শেষ হবে তাও তিনি জানেন না। বলেন, ‘আমার যদি
কোনো দোষ থাইক্যা থাকে বিচার হোক। সাজা হোক। কিন্তু এই যন্ত্রণা আর সহ্য
হইতেছে না। ১৬ বছর ধইরা আদালতে আসতে আসতে আমার সব শেষ। এহন শান্তিতে মরবার
চাই।’
একই ভবনের পঞ্চম তলার বারান্দার মেঝের এক কোনায় জবুথবু হয়ে বসে আছেন আব্দুল ওয়াদুদ (৬৪)। পাশেই তার স্ত্রী ছামুদা বেগম (৫৫)। ওয়াদুদের শরীর ভেঙে পড়েছে। ঘোলাটে চোখ। বগুড়ার সোনাতলা পাঁচপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তিনি গ্যাস চালিত অটোরিকশা চালাতেন। প্রায় একযুগ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। প্রায় ছয় মাস ছিলেন কারাগারে। এরপর এই দীর্ঘ সময়ে মামলা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে বদলি হয়েছে। কিন্তু মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। আবদুল ওয়াদুদ জানান, মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে তার। প্রায় সারাক্ষণ বসে থাকতে হয়। তার স্ত্রী ছামুদা বেগম চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, আব্দুল ওয়াদুদ এখন আর কোনো কাজ করতে পারেন না। তিনি অন্যের বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। এক ছেলে রিকশা চালায়। কোনোমতে সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মামলার কারণে আব্দুল ওয়াদুদের জীবন একপ্রকার থমকে আছে। দীর্ঘ সময়েও মামলা শেষ না হওয়ায় এই অসুস্থ শরীরেও প্রতিটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।
ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনের (পুরাতন) তৃতীয় তলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর সামনে জটলা। বিচারপ্রার্থী, আসামি ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষা। আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারপ্রার্থীদের বাদানুবাদ। তর্ক-বিতর্ক। হকারদের অবাধ আনাগোনা। একই চিত্র যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের সামনেও। ভেতরে বিচারকাজ চলছে। কিন্তু বাইরে কোলাহল, চিৎকার চেঁচামেচি। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশও নির্বিকার। আইনজীবী পলাশ কান্তি দাস বলেন, যেহেতু এগুলো বিচারিক আদালত তাই এখানে বাদী, আসামি, সাক্ষী সবাই আসে। সেজন্য কোলাহল একটু বেশি। তবে, আমরা চাই কোলাহলমুক্ত পরিবেশ। আদালতের পরিবেশ যেন আদালতের মতোই থাকে। আইনজীবী অনিরুদ্ধ বলেন, মামলার অনুপাতে বিচারক খুবই অপ্রতুল। একেকটি আদালতে অসংখ্য মামলা। বাদী, আসামিদের দিনের পর দিন আদালতে আসতে হয়। সকাল থেকে দিনভর তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। যে কারণে আদালতের পরিবেশও থাকে কোলাহলপূর্ণ। বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্দশা দেখে আমাদেরও কষ্ট হয়। কিন্তু সিষ্টেম এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে দিনের পর দিন এভাবেই চলছে। বিচারের আশায় থাকা মানুষের দুর্দশা কিভাবে কমবে সে বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রিতা আক্তার (৪২) হন্যে হয়ে ঘুরছেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত ভবন এলাকায়। যাচ্ছেন এর ওর কাছে। কখনো আইনজীবী কখনো গণমাধ্যমকর্মী। বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার রাকিবরে মাইরা ফালাইছে, আমি আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’ রিতা আক্তার জানান, গত ৪ঠা এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ছেলে দুটি সিনেমায় অভিনয় করা শিশুশিল্পী রাকিব হাওলাদার (১৫) বাসা থেকে বের হয়ে কাপ্তান বাজার পোলট্রি মোড় যায়। সেখান থেকে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করে ওয়ারী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় রাকিবকে। তিনি খবর পেয়ে থানায় গিয়ে ছেলের চিৎকার শুনতে পান। দেখতে পান তার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দার পেটানো হচ্ছে। এভাবে দুদিন পার হওয়ার পর ৬ই এপ্রিল তাদের জানানো হয় রাকিব ক্রসফায়ারে মারা গেছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পান। তিনি জানান, রাকিবকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ওয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ১১ই এপ্রিল মামলা করেন রিতা আক্তার। তিনি জানান, মামলা করার পর থেকেই নানা হুমকির মধ্যে ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে তাকে জোর করে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকেও তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত প্রাঙ্গণে আলাপকালে তিনি জানান, ঘটনার পর তার কাছ থেকে অন্তত ১০টি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে পুলিশ ও সাদা পোশাকের লোকজন। তাকে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেও নিষেধ করা হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিতা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলেরে যারা মারছে তাদের বিচার আল্লায় করবো।’
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালত ভবনের পাশে হাজতখানার সামনে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের ভিড়। একেকটি পুলিশ ভ্যান আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। খুঁজছেন স্বজনদের। কারো হাতে কলা, পাউরুটি। এই আদালতের কয়েকজন আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর প্রথমে এখানেই নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের সংশ্লিষ্ট আদালতে তোলা হয়। শুনানির পর আদালতের আদেশ অনুযায়ী যাদের কারাগারে পাঠানো হয় তাদের আবারো ওই হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শ্যামপুর থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব জুলেখা বেগম জানান মঙ্গলবার শ্যামপুর এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারির একটি মামলায় তার ভাইয়ের ছেলে জালালকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। বুধবার আদালতে তাকে তোলা হবে। তাকে একনজর দেখার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন তিনি।
একই ভবনের পঞ্চম তলার বারান্দার মেঝের এক কোনায় জবুথবু হয়ে বসে আছেন আব্দুল ওয়াদুদ (৬৪)। পাশেই তার স্ত্রী ছামুদা বেগম (৫৫)। ওয়াদুদের শরীর ভেঙে পড়েছে। ঘোলাটে চোখ। বগুড়ার সোনাতলা পাঁচপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তিনি গ্যাস চালিত অটোরিকশা চালাতেন। প্রায় একযুগ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। প্রায় ছয় মাস ছিলেন কারাগারে। এরপর এই দীর্ঘ সময়ে মামলা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে বদলি হয়েছে। কিন্তু মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। আবদুল ওয়াদুদ জানান, মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে তার। প্রায় সারাক্ষণ বসে থাকতে হয়। তার স্ত্রী ছামুদা বেগম চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, আব্দুল ওয়াদুদ এখন আর কোনো কাজ করতে পারেন না। তিনি অন্যের বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। এক ছেলে রিকশা চালায়। কোনোমতে সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মামলার কারণে আব্দুল ওয়াদুদের জীবন একপ্রকার থমকে আছে। দীর্ঘ সময়েও মামলা শেষ না হওয়ায় এই অসুস্থ শরীরেও প্রতিটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।
ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনের (পুরাতন) তৃতীয় তলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর সামনে জটলা। বিচারপ্রার্থী, আসামি ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষা। আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারপ্রার্থীদের বাদানুবাদ। তর্ক-বিতর্ক। হকারদের অবাধ আনাগোনা। একই চিত্র যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের সামনেও। ভেতরে বিচারকাজ চলছে। কিন্তু বাইরে কোলাহল, চিৎকার চেঁচামেচি। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশও নির্বিকার। আইনজীবী পলাশ কান্তি দাস বলেন, যেহেতু এগুলো বিচারিক আদালত তাই এখানে বাদী, আসামি, সাক্ষী সবাই আসে। সেজন্য কোলাহল একটু বেশি। তবে, আমরা চাই কোলাহলমুক্ত পরিবেশ। আদালতের পরিবেশ যেন আদালতের মতোই থাকে। আইনজীবী অনিরুদ্ধ বলেন, মামলার অনুপাতে বিচারক খুবই অপ্রতুল। একেকটি আদালতে অসংখ্য মামলা। বাদী, আসামিদের দিনের পর দিন আদালতে আসতে হয়। সকাল থেকে দিনভর তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। যে কারণে আদালতের পরিবেশও থাকে কোলাহলপূর্ণ। বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্দশা দেখে আমাদেরও কষ্ট হয়। কিন্তু সিষ্টেম এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে দিনের পর দিন এভাবেই চলছে। বিচারের আশায় থাকা মানুষের দুর্দশা কিভাবে কমবে সে বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রিতা আক্তার (৪২) হন্যে হয়ে ঘুরছেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত ভবন এলাকায়। যাচ্ছেন এর ওর কাছে। কখনো আইনজীবী কখনো গণমাধ্যমকর্মী। বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার রাকিবরে মাইরা ফালাইছে, আমি আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’ রিতা আক্তার জানান, গত ৪ঠা এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ছেলে দুটি সিনেমায় অভিনয় করা শিশুশিল্পী রাকিব হাওলাদার (১৫) বাসা থেকে বের হয়ে কাপ্তান বাজার পোলট্রি মোড় যায়। সেখান থেকে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করে ওয়ারী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় রাকিবকে। তিনি খবর পেয়ে থানায় গিয়ে ছেলের চিৎকার শুনতে পান। দেখতে পান তার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দার পেটানো হচ্ছে। এভাবে দুদিন পার হওয়ার পর ৬ই এপ্রিল তাদের জানানো হয় রাকিব ক্রসফায়ারে মারা গেছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পান। তিনি জানান, রাকিবকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ওয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ১১ই এপ্রিল মামলা করেন রিতা আক্তার। তিনি জানান, মামলা করার পর থেকেই নানা হুমকির মধ্যে ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে তাকে জোর করে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকেও তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত প্রাঙ্গণে আলাপকালে তিনি জানান, ঘটনার পর তার কাছ থেকে অন্তত ১০টি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে পুলিশ ও সাদা পোশাকের লোকজন। তাকে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেও নিষেধ করা হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিতা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলেরে যারা মারছে তাদের বিচার আল্লায় করবো।’
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালত ভবনের পাশে হাজতখানার সামনে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের ভিড়। একেকটি পুলিশ ভ্যান আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। খুঁজছেন স্বজনদের। কারো হাতে কলা, পাউরুটি। এই আদালতের কয়েকজন আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর প্রথমে এখানেই নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের সংশ্লিষ্ট আদালতে তোলা হয়। শুনানির পর আদালতের আদেশ অনুযায়ী যাদের কারাগারে পাঠানো হয় তাদের আবারো ওই হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শ্যামপুর থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব জুলেখা বেগম জানান মঙ্গলবার শ্যামপুর এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারির একটি মামলায় তার ভাইয়ের ছেলে জালালকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। বুধবার আদালতে তাকে তোলা হবে। তাকে একনজর দেখার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন তিনি।
No comments