বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা নজিরবিহীন
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে
শিক্ষাবিদরা বলছেন, মুক্তচিন্তা চর্চার কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন
ঘটনা আগে আর ঘটেনি। তারা বলছেন, নিরাপত্তার নামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে
যেমন বিচ্ছিন্ন করা যাবে না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তাও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলছেন, একদিকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষকরাও
লাঞ্ছিত হচ্ছেন। এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ভূমিকা নিতে
পারছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাক-স্বাধীনতা ও প্রতিবাদের জায়গা। শিক্ষকরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন, স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশ করবেন- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ প্রতিবাদটুকু করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। যেটা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ও হয়নি। রাজনৈতিক দলের পেটোয়া বাহিনী যেভাবে হামলা করছে তা খুবই নিন্দনীয়। তিনি বলেন, কোর্ট থেকেই রায় দিয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ তো সেই উদ্যোগ নেয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন করলে তো কোনো সমস্যা থাকে না। এটা হলে মত প্রকাশের একটা জায়গা থাকে। আর সে জায়গা যদি না থাকে তাহলে ছাত্ররা যাবে কোথায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক মানবজমিনকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন আর আনুষঙ্গিক অন্যান্য আন্দোলন সরকার ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে বলে সরকারের লোকজন হয়তো মনে করছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের মারা হচ্ছে। এখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের ভূমিকা অভিন্ন। তারা প্রধানমন্ত্রীর মুখ চেয়ে কাজ করছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি, সরকারের যা চাওয়া তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে। এটা যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, মধ্যযুগে রাজা বাদশাদের মনে করা হতো ‘দণ্ডে মণ্ডের কর্তা’। এখন বাংলাদেশের অবস্থাও তাই মনে হচ্ছে। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কারণ তাদের তো নিরাপত্তার অভাব নাই। আর সরকারের চিন্তার সঙ্গে যারা ভিন্নমত প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তার অভাব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। পাকিস্তান ও বৃটিশ আমলে শিক্ষকরা যেভাবে আন্দোলন করেছে এখন সেভাবে করতে পারছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা খুবই জরুরি। এটা প্রশাসনের নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা যেমন জরুরি, আবার নিরাপত্তার কথা বলে মুক্তচর্চা বা বাইরে কাউকে বিচ্ছিন্ন করাও যাবে না। বিচ্ছিন্ন করে কোনো নিরাপত্তা হয় না। কিন্তু সবাই যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তখন বলতে দ্বিধা নেই প্রশাসন যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এ সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাক-স্বাধীনতা ও প্রতিবাদের জায়গা। শিক্ষকরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন, স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশ করবেন- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ প্রতিবাদটুকু করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। যেটা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ও হয়নি। রাজনৈতিক দলের পেটোয়া বাহিনী যেভাবে হামলা করছে তা খুবই নিন্দনীয়। তিনি বলেন, কোর্ট থেকেই রায় দিয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ তো সেই উদ্যোগ নেয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন করলে তো কোনো সমস্যা থাকে না। এটা হলে মত প্রকাশের একটা জায়গা থাকে। আর সে জায়গা যদি না থাকে তাহলে ছাত্ররা যাবে কোথায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক প্রফেসর আবুল কাশেম ফজলুল হক মানবজমিনকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন আর আনুষঙ্গিক অন্যান্য আন্দোলন সরকার ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে বলে সরকারের লোকজন হয়তো মনে করছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের মারা হচ্ছে। এখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের ভূমিকা অভিন্ন। তারা প্রধানমন্ত্রীর মুখ চেয়ে কাজ করছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি, সরকারের যা চাওয়া তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে। এটা যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, মধ্যযুগে রাজা বাদশাদের মনে করা হতো ‘দণ্ডে মণ্ডের কর্তা’। এখন বাংলাদেশের অবস্থাও তাই মনে হচ্ছে। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কারণ তাদের তো নিরাপত্তার অভাব নাই। আর সরকারের চিন্তার সঙ্গে যারা ভিন্নমত প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তার অভাব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। পাকিস্তান ও বৃটিশ আমলে শিক্ষকরা যেভাবে আন্দোলন করেছে এখন সেভাবে করতে পারছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা খুবই জরুরি। এটা প্রশাসনের নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা যেমন জরুরি, আবার নিরাপত্তার কথা বলে মুক্তচর্চা বা বাইরে কাউকে বিচ্ছিন্ন করাও যাবে না। বিচ্ছিন্ন করে কোনো নিরাপত্তা হয় না। কিন্তু সবাই যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তখন বলতে দ্বিধা নেই প্রশাসন যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এ সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
No comments