সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি বিটিআরসির by কাজী সোহাগ
রাষ্ট্রায়ত্ত
দুটি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া আদায় নিয়ে বিপাকে দেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
সংস্থা বিটিআরসি। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড
(বিটিসিএল) ও রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক। ২০১৭ সালের শেষ
নাগাদ বিটিসিএলের কাছে পাওনা রয়েছে দুই হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে
টেলিটকের কাছে রয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের
বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিটিআরসি।
এজন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে দেয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিকল্প কাউন্সিল অফিসার ও উপ-সচিব মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বিটিসিএল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিটিসিএল’র কাছে সরকারের/কমিশনের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বারবার ডিমান্ড নোট পাঠানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা পরিশোধ করেনি। মন্ত্রিপরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। তাই আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চেষ্টায় আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ায় সচিব ও প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে কয়েকবার ডিও লেটার পাঠানো হয়। তাদের হস্তক্ষেপের পরও কোনো ফল না পাওয়ায় বিটিআরসি থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপারেশনাল ব্যবস্থা বন্ধের প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে অপারেশনাল ক্যাপাসিটি কমিয়ে দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, সরকার থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বকেয়া টাকা আদায় করতে না পেরে বিটিআরসি চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে বিটিসিএলের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কলের সক্ষমতা ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। ২৯শে মার্চ বিটিআরসির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে ১৪ই মার্চ বিটিসিএলকে একটি নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হলে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ কোটি টাকা দেয়। তবে, বকেয়ার পুরো টাকা পরিশোধে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বিটিসিএল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে একজন টেলিফোন গ্রাহক এক হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল পরিশোধ করতো। ভোগান্তির কারণে এখন অনেকেই টেলিফোন থাকলেও তা ব্যবহার করছেন না। ফলে প্রতিদিনই রাজস্ব কমছে। তারা জানান, বিটিসিএলের লাইনে নানা সমস্যা, ক্যাবল চুরি, ক্যাবল কাটা পড়া, ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কেটে যাওয়াসহ নানা কারণে প্রায় সময় ল্যান্ডফোনে ত্রুটি দেখা দেয়। এই ত্রুটি সারাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।
এ কারণে ল্যান্ডফোনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এদিকে সাধারণ মানুষ মনে করে, বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রাহকসেবার মান বাড়িয়ে আস্থা অর্জন করতে পারলে আবারো মানুষ এই ফোন ব্যবহার করবে। তা না হলে সরকারি অফিস-আদালত ছাড়া আর কেউ ল্যান্ডফোন ব্যবহার করবে না। যদিও সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় প্রতিমাসে অনেক ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এদিকে প্রতিবেদনে টেলিটকের কাছে পাওনা প্রসঙ্গে একই পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, টেলিটকের অপারেশনাল সক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, টেলিটকের বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য সরকারের কাছে অর্থ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিচারাধীন রয়েছে। তাই টেলিটকের বিরুদ্ধে অপারেশনাল ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য (মালামাল আমদানির অনুমোদন না দেয়ার কল ক্যাপাসিটি কমিয়ে না দেয়া) অনুরোধ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ অপারেশনাল অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে, লাইসেন্সধারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বকেয়া অর্থ আদায়ে বিভিন্ন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএল ও টেলিটকের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নমনীয় অবস্থান দেখিয়ে এসেছে। এতে সংশ্লিষ্ট সেক্টরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর আগে সিটিসেলের কাছে পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলাসহ কোম্পানি আইনে পক্ষভুক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বকেয়া ৩৭২ কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬৭ টাকা থেকে আদায় করা হয়েছে ২৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা। অবশিষ্ট ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা আদালতের রায় পাওয়ার পর আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
এজন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে দেয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিকল্প কাউন্সিল অফিসার ও উপ-সচিব মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বিটিসিএল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিটিসিএল’র কাছে সরকারের/কমিশনের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বারবার ডিমান্ড নোট পাঠানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা পরিশোধ করেনি। মন্ত্রিপরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। তাই আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চেষ্টায় আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ায় সচিব ও প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে কয়েকবার ডিও লেটার পাঠানো হয়। তাদের হস্তক্ষেপের পরও কোনো ফল না পাওয়ায় বিটিআরসি থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপারেশনাল ব্যবস্থা বন্ধের প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে অপারেশনাল ক্যাপাসিটি কমিয়ে দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, সরকার থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বকেয়া টাকা আদায় করতে না পেরে বিটিআরসি চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে বিটিসিএলের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কলের সক্ষমতা ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। ২৯শে মার্চ বিটিআরসির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে ১৪ই মার্চ বিটিসিএলকে একটি নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হলে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ কোটি টাকা দেয়। তবে, বকেয়ার পুরো টাকা পরিশোধে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বিটিসিএল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে একজন টেলিফোন গ্রাহক এক হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল পরিশোধ করতো। ভোগান্তির কারণে এখন অনেকেই টেলিফোন থাকলেও তা ব্যবহার করছেন না। ফলে প্রতিদিনই রাজস্ব কমছে। তারা জানান, বিটিসিএলের লাইনে নানা সমস্যা, ক্যাবল চুরি, ক্যাবল কাটা পড়া, ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কেটে যাওয়াসহ নানা কারণে প্রায় সময় ল্যান্ডফোনে ত্রুটি দেখা দেয়। এই ত্রুটি সারাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।
এ কারণে ল্যান্ডফোনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এদিকে সাধারণ মানুষ মনে করে, বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রাহকসেবার মান বাড়িয়ে আস্থা অর্জন করতে পারলে আবারো মানুষ এই ফোন ব্যবহার করবে। তা না হলে সরকারি অফিস-আদালত ছাড়া আর কেউ ল্যান্ডফোন ব্যবহার করবে না। যদিও সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় প্রতিমাসে অনেক ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এদিকে প্রতিবেদনে টেলিটকের কাছে পাওনা প্রসঙ্গে একই পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, টেলিটকের অপারেশনাল সক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, টেলিটকের বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য সরকারের কাছে অর্থ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিচারাধীন রয়েছে। তাই টেলিটকের বিরুদ্ধে অপারেশনাল ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য (মালামাল আমদানির অনুমোদন না দেয়ার কল ক্যাপাসিটি কমিয়ে না দেয়া) অনুরোধ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ অপারেশনাল অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে, লাইসেন্সধারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বকেয়া অর্থ আদায়ে বিভিন্ন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএল ও টেলিটকের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নমনীয় অবস্থান দেখিয়ে এসেছে। এতে সংশ্লিষ্ট সেক্টরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর আগে সিটিসেলের কাছে পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলাসহ কোম্পানি আইনে পক্ষভুক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বকেয়া ৩৭২ কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬৭ টাকা থেকে আদায় করা হয়েছে ২৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা। অবশিষ্ট ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা আদালতের রায় পাওয়ার পর আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
No comments