মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিনি -ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে পুতিন
রাশিয়া
কখনই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেছেন দেশটির
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার তথাকথিত হস্তক্ষেপের বিষয়টি তুলেছেন। এ
বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। রাশিয়া কখনই যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে
হস্তক্ষেপ করে না। গতকাল ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ
সম্মেলনে এ সব কথা বলেন পুটিন। এতে ট্রাম্প উভয় দেশের মধ্যে আরো জোরদার
সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনলাইন সিএনএন’র খবরে বলা হয়েছে,
অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল দুপুরের কিছু
পরে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। সেখানকার
প্রেসিডেন্ট ভবনে হাসিমুখে একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন তারা। পরে বৈঠকের
বিষয়ে অল্প সময়ের জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প ও পুতিন।
এরপরই তাদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। এসময় ওই কক্ষে দোভাষী ছাড়া আর কাউকে রাখেন নি তারা। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তারা পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে সরাসরি লাঞ্চের জন্য নির্ধারিত টেবিলে বসেন দুই নেতা। ট্রাম্প ও পুতিন একেবারেই মুখোমুখি হয়ে বসেন। এসময় দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাবারের টেবিলে বসার আগে একজন সংবাদকর্মী চিৎকার করে ট্রাম্পের কাছে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চান। এতে সাড়া দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবার জন্য এটা খুবই ভালো সূচনা’। এরপরই তিনি লাঞ্চের টেবিলে বসেন। এসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার সঙ্গে ছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, বৈঠক শুরুর পূর্বে ট্রাম্প ও পুতিন অল্প সময়ের জন্য হাজির হন সাংবাদিকদের সামনে। এসময় সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করায় পুতিনকে অভিনন্দন জানান ট্রাম্প। বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তার ভাষায়- ‘পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। আমরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই পারমাণবিক শক্তি। আমি মনে করি, বিশ্ব আমাদেরকে একসঙ্গে দেখতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই আমি এখানে আসি না। তা প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি। কিন্তু আশা করি, আমাদের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ক তৈরি হবে।’ জবাবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। সাংবাদিকদের পুতিন বলেন, আমাদের সম্পর্ক ও গোটা বিশ্বের সমস্যা নিয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনা করার সময় এসেছে।
এছাড়া, বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস বলেছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, ইউক্রেন, সিরিয়া, কোরিয়া উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে বৈঠক-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তার বক্তৃতায় এসব বিষয় উল্লেখ করেন নি। তিনি বলেন, বাণিজ্য, চীন, পারমাণবিক বিস্তার রোধ ও সামরিক বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার পথে নিজের পূর্বসূরিদের নিয়ে বিষোদগার করেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার সঙ্গে বর্তমান তিক্ত সম্পর্কের জন্য তার পূর্বসূরিরা দায়ী। তার মতে, পূর্বসূরিদের বোকামির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ডেমোক্রেট নেতা ও ওবামা প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল। তার মতে, দু’নেতার মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কোনো পরিষ্কার কৌশলগত উদ্দেশ্য নেই। তিনি বলেন, একজন নেতার স্বার্থের চেয়ে একটি জাতির স্বার্থ অনেক বড়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা করতে চান, তা আমেরিকার স্বার্থ না। এটা ব্যবসায়িক চুক্তির মতো কোনো বিনিময়ের বিষয় না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে কয়েকদিন আগে ১২ রুশ গোয়েন্দাকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রেক্ষিতে পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে যোগ না দিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ডেমোক্রেটরা। কিন্তু ট্রাম্প তাতে কোনো কর্ণপাত না করে একরকম জোর করেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন।
এরপরই তাদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। এসময় ওই কক্ষে দোভাষী ছাড়া আর কাউকে রাখেন নি তারা। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তারা পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে সরাসরি লাঞ্চের জন্য নির্ধারিত টেবিলে বসেন দুই নেতা। ট্রাম্প ও পুতিন একেবারেই মুখোমুখি হয়ে বসেন। এসময় দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাবারের টেবিলে বসার আগে একজন সংবাদকর্মী চিৎকার করে ট্রাম্পের কাছে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চান। এতে সাড়া দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবার জন্য এটা খুবই ভালো সূচনা’। এরপরই তিনি লাঞ্চের টেবিলে বসেন। এসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার সঙ্গে ছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, বৈঠক শুরুর পূর্বে ট্রাম্প ও পুতিন অল্প সময়ের জন্য হাজির হন সাংবাদিকদের সামনে। এসময় সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করায় পুতিনকে অভিনন্দন জানান ট্রাম্প। বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তার ভাষায়- ‘পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। আমরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই পারমাণবিক শক্তি। আমি মনে করি, বিশ্ব আমাদেরকে একসঙ্গে দেখতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই আমি এখানে আসি না। তা প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি। কিন্তু আশা করি, আমাদের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ক তৈরি হবে।’ জবাবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। সাংবাদিকদের পুতিন বলেন, আমাদের সম্পর্ক ও গোটা বিশ্বের সমস্যা নিয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনা করার সময় এসেছে।
এছাড়া, বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস বলেছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, ইউক্রেন, সিরিয়া, কোরিয়া উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে বৈঠক-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তার বক্তৃতায় এসব বিষয় উল্লেখ করেন নি। তিনি বলেন, বাণিজ্য, চীন, পারমাণবিক বিস্তার রোধ ও সামরিক বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার পথে নিজের পূর্বসূরিদের নিয়ে বিষোদগার করেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার সঙ্গে বর্তমান তিক্ত সম্পর্কের জন্য তার পূর্বসূরিরা দায়ী। তার মতে, পূর্বসূরিদের বোকামির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ডেমোক্রেট নেতা ও ওবামা প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল। তার মতে, দু’নেতার মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কোনো পরিষ্কার কৌশলগত উদ্দেশ্য নেই। তিনি বলেন, একজন নেতার স্বার্থের চেয়ে একটি জাতির স্বার্থ অনেক বড়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা করতে চান, তা আমেরিকার স্বার্থ না। এটা ব্যবসায়িক চুক্তির মতো কোনো বিনিময়ের বিষয় না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে কয়েকদিন আগে ১২ রুশ গোয়েন্দাকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রেক্ষিতে পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে যোগ না দিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ডেমোক্রেটরা। কিন্তু ট্রাম্প তাতে কোনো কর্ণপাত না করে একরকম জোর করেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন।
No comments