মধ্য আফ্রিকায় বাংলাদেশের জন্য ভালোবাসা by কাজী সোহাগ
জীবনে
বাংলাদেশকে দেখেনি ওরা। কিন্তু তাদের মুখে বাংলা ভাষা। মনে আছে রাজধানী
ঢাকা, বরিশাল, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, চাঁদপুর, খুলনাসহ আরো অনেক জেলার চিত্র।
জানে ইলিশের খবরও। কিন্তু কখনও খেয়ে দেখা হয়নি। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১২
থেকে ১৬ বছর।
বাংলাদেশি দেখলেই ছুটে আসে। কথা বলার চেষ্টা করে। এমনই ক’জন খালেদ, মাহমুদ, ওসমান, সানি, আলী ও সিরাত। মধ্য আফ্রিকার বোয়ার এলাকার বাসিন্দা। এদের কেউ স্কুলে যায় আবার কেউ যায় না। ছন্নছাড়া জীবন। এ বয়সেই জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে প্রতিক্ষণ। হতহরিদ্র এসব শিশু-কিশোরদের কাছে শোনা যায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বখতিয়ার, জহিরুলসহ আরো অনেকের নাম। তারা মানবজমিনকে বাংলায় বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তাই বাংলা ভাষা শিখেছি। স্যাররা (সেনাকর্মকর্তারা) আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা এরকম ভালোবাসা পাই না। তাই যেদিন থেকে স্যারদের সঙ্গে মিশেছি সেদিন থেকে ক্যাম্পের আশেপাশে নিয়মিত আসি। স্যাররা কিছু বললে মন দিয়ে শুনি। কিভাবে বাংলা ভাষা শেখা হলো? তারা বলেন, মুখে মুখে শিখেছি। বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে। আমাদের বন্ধুরা এ ভাষা শুনে খুব মজা পায়। তারা বুঝতে পারে না তবে হাততালি দেয়। মধ্য আফ্রিকার বোয়ারে কাজ করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কন্টিনজেন্ট বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন। তারা ব্যানব্যাট নামে স্থানীয়ভাবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এখানে প্রবেশের মূল গেটে রয়েছে একটি লেমিনেটিং করা মাঝারি আকারের নোটিশ। সেখানে সাত শিশুর ছবিসহ পরিচিতি দেয়া আছে। উপরে লেখা রয়েছে স্থানীয় বাংলা ভাষা জানা ব্যক্তিবর্গের তালিকা। শুধু বাংলায় কথা বলা নয় এরই মধ্যে তারা বাংলা ভাষায় গানও শিখেছে। বাংলাদেশি দেখলেই গান শোনায় তারা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে পারস্পরিক হানাহানি বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ ২০১৪ সালে মধ্য আফ্রিকার শান্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জীবনবাজি রেখে কাজ করছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। স্বাধীনতার পর এই দেশে ফ্রান্স সমর্থিত সরকারের সঙ্গে জনগণের সমস্যা হতে থাকায় নানা নামে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ তৈরি হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ক্যু,পাল্টা ক্যু, ক্ষমতা দখল লাগাতার চলেই আসছিল। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত একটা সরকার দাঁড় করালেও বড় দুইটি আলাদা বিদ্রোহী দল তৈরি হয়। মুসলিম সমর্থিত এক্স সেলেকা এবং খ্রিষ্টান সমর্থিত এন্টি বালাকা। এই দুই দলের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সহিংসতা চলছে প্রতিদিন। খুন হয়েছেন অনেকে। এখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের ২১টি দেশের ২৭টি কন্টিনজেন্ট কাজ করছে। এর মধ্যে সবেচেয় বেশি আস্থা অর্জন করেছে ৩টি কন্টিনজেন্ট নিয়ে শান্তি রক্ষায় কাজ করা বাংলাদেশিরা। শান্তিরক্ষার পাশাপাশি এখানে নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। বোয়ারে প্রতি শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থানীয়দের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। সঙ্গে ওষুধসহ খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। একইভাবে অপর দুই কন্টিনজেন্ট থেকেও নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন (ব্যানব্যাট) এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ ভুঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, শান্তিরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড করার জন্য আমাদের প্রতি এদের খুব আস্থা। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চেয়ার, টেবিল দিয়ে সহযোগিতা করি। এ ছাড়া মাঝে মাঝে বিস্কুট, স্কুলের বই, খাতা ও খেলার সামগ্রী সরবরাহ করি। সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে নিজেদের বন্ধু বলে মনে করেন মধ্য আফ্রিকার স্থানীয়রা। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা। এখানে জাতিগত বিরোধ থাকলেও বাংলাদেশের ভূমিকা একেবারে নিরপেক্ষ। গত ২রা জুলাই বাংলাদেশ থেকে আসা সেনাবাহিনীর গুডউইল টিমের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মধ্য আফ্রিকার সংসদের স্পিকার জ মাপেঞ্জির সঙ্গে। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান মেজর জেনারেল শামিম-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা নিরপেক্ষ। এখানে আমাদের কাছে কোনো ধর্ম নেই, বর্ণ নেই। আমরা এসেছি কেবল জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষার কাজে। এ সময় তিনি স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আপনারা যারা এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন তাদের প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। জবাবে স্পিকার জানান, শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলদেশি শান্তিরক্ষীদের এখানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাদের প্রতি আমরা আস্থাশীল। এ সময় তিনি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজ আহসান ফরিদ, কর্নেল নুরুল হুদা, মেজর মইদুল হায়দার ও ক্যাপ্টেন খোরশেদ হাসান। উঁচুনিচু পাহাড়, সমতল ভূমি আর সবুজ ছায়া ঘেরা এই দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। মাটি খুবই উর্বর। দেশটির আয়তন ২ লাখ ৪০ হাজার বর্গমাইল। রাজধানীর নাম বাংগুই। শিক্ষার হার ৫০ শতাংশ। মুদ্রার নাম সেফা। সাঙ্গো এবং ফরাসি এই দুইটি ভাষা প্রচলিত। দেশটির জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। প্রতিবছরই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। গাছে আম ধরে থাকে বার মাস। দারিদ্র্য আর দূষণ হাত ধরে চলে। লোকজনের পরিষ্কার পরিছন্নতার বালাই নেই। গোসল করে অনেক দিন পর পর। অবশ্য পানির সংকটও প্রকট। বিলাসিতার ধারে কাছেও নেই দেশটির মানুষজন। সম্পূর্ণ জাতি প্রায় ৮০টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে হিরা, ইউরেনিয়াম, তেল এবং সোনার খনি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মধ্য আফ্রিকায় বাংলাদেশি মিশন শুরু হওয়ার পর অনেকটাই বদলে গেছে এখানকার চিত্র। অন্যান্য দেশের শান্তিরক্ষীরা থাকলেও স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে খুব একটা মেশেন না। কন্টিনজেন্ট ও ক্যাম্পের আশেপাশে থাকা মানুষদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। এভাবেই ৮ হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশে বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি দেখলেই ছুটে আসে। কথা বলার চেষ্টা করে। এমনই ক’জন খালেদ, মাহমুদ, ওসমান, সানি, আলী ও সিরাত। মধ্য আফ্রিকার বোয়ার এলাকার বাসিন্দা। এদের কেউ স্কুলে যায় আবার কেউ যায় না। ছন্নছাড়া জীবন। এ বয়সেই জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে প্রতিক্ষণ। হতহরিদ্র এসব শিশু-কিশোরদের কাছে শোনা যায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বখতিয়ার, জহিরুলসহ আরো অনেকের নাম। তারা মানবজমিনকে বাংলায় বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তাই বাংলা ভাষা শিখেছি। স্যাররা (সেনাকর্মকর্তারা) আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা এরকম ভালোবাসা পাই না। তাই যেদিন থেকে স্যারদের সঙ্গে মিশেছি সেদিন থেকে ক্যাম্পের আশেপাশে নিয়মিত আসি। স্যাররা কিছু বললে মন দিয়ে শুনি। কিভাবে বাংলা ভাষা শেখা হলো? তারা বলেন, মুখে মুখে শিখেছি। বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে। আমাদের বন্ধুরা এ ভাষা শুনে খুব মজা পায়। তারা বুঝতে পারে না তবে হাততালি দেয়। মধ্য আফ্রিকার বোয়ারে কাজ করছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কন্টিনজেন্ট বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন। তারা ব্যানব্যাট নামে স্থানীয়ভাবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এখানে প্রবেশের মূল গেটে রয়েছে একটি লেমিনেটিং করা মাঝারি আকারের নোটিশ। সেখানে সাত শিশুর ছবিসহ পরিচিতি দেয়া আছে। উপরে লেখা রয়েছে স্থানীয় বাংলা ভাষা জানা ব্যক্তিবর্গের তালিকা। শুধু বাংলায় কথা বলা নয় এরই মধ্যে তারা বাংলা ভাষায় গানও শিখেছে। বাংলাদেশি দেখলেই গান শোনায় তারা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে পারস্পরিক হানাহানি বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ ২০১৪ সালে মধ্য আফ্রিকার শান্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জীবনবাজি রেখে কাজ করছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। স্বাধীনতার পর এই দেশে ফ্রান্স সমর্থিত সরকারের সঙ্গে জনগণের সমস্যা হতে থাকায় নানা নামে বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ তৈরি হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ক্যু,পাল্টা ক্যু, ক্ষমতা দখল লাগাতার চলেই আসছিল। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত একটা সরকার দাঁড় করালেও বড় দুইটি আলাদা বিদ্রোহী দল তৈরি হয়। মুসলিম সমর্থিত এক্স সেলেকা এবং খ্রিষ্টান সমর্থিত এন্টি বালাকা। এই দুই দলের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সহিংসতা চলছে প্রতিদিন। খুন হয়েছেন অনেকে। এখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের ২১টি দেশের ২৭টি কন্টিনজেন্ট কাজ করছে। এর মধ্যে সবেচেয় বেশি আস্থা অর্জন করেছে ৩টি কন্টিনজেন্ট নিয়ে শান্তি রক্ষায় কাজ করা বাংলাদেশিরা। শান্তিরক্ষার পাশাপাশি এখানে নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। বোয়ারে প্রতি শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থানীয়দের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। সঙ্গে ওষুধসহ খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। একইভাবে অপর দুই কন্টিনজেন্ট থেকেও নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন (ব্যানব্যাট) এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ ভুঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, শান্তিরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড করার জন্য আমাদের প্রতি এদের খুব আস্থা। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চেয়ার, টেবিল দিয়ে সহযোগিতা করি। এ ছাড়া মাঝে মাঝে বিস্কুট, স্কুলের বই, খাতা ও খেলার সামগ্রী সরবরাহ করি। সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে নিজেদের বন্ধু বলে মনে করেন মধ্য আফ্রিকার স্থানীয়রা। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা। এখানে জাতিগত বিরোধ থাকলেও বাংলাদেশের ভূমিকা একেবারে নিরপেক্ষ। গত ২রা জুলাই বাংলাদেশ থেকে আসা সেনাবাহিনীর গুডউইল টিমের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মধ্য আফ্রিকার সংসদের স্পিকার জ মাপেঞ্জির সঙ্গে। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান মেজর জেনারেল শামিম-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা নিরপেক্ষ। এখানে আমাদের কাছে কোনো ধর্ম নেই, বর্ণ নেই। আমরা এসেছি কেবল জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষার কাজে। এ সময় তিনি স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আপনারা যারা এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন তাদের প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। জবাবে স্পিকার জানান, শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলদেশি শান্তিরক্ষীদের এখানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাদের প্রতি আমরা আস্থাশীল। এ সময় তিনি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজ আহসান ফরিদ, কর্নেল নুরুল হুদা, মেজর মইদুল হায়দার ও ক্যাপ্টেন খোরশেদ হাসান। উঁচুনিচু পাহাড়, সমতল ভূমি আর সবুজ ছায়া ঘেরা এই দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। মাটি খুবই উর্বর। দেশটির আয়তন ২ লাখ ৪০ হাজার বর্গমাইল। রাজধানীর নাম বাংগুই। শিক্ষার হার ৫০ শতাংশ। মুদ্রার নাম সেফা। সাঙ্গো এবং ফরাসি এই দুইটি ভাষা প্রচলিত। দেশটির জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। প্রতিবছরই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। গাছে আম ধরে থাকে বার মাস। দারিদ্র্য আর দূষণ হাত ধরে চলে। লোকজনের পরিষ্কার পরিছন্নতার বালাই নেই। গোসল করে অনেক দিন পর পর। অবশ্য পানির সংকটও প্রকট। বিলাসিতার ধারে কাছেও নেই দেশটির মানুষজন। সম্পূর্ণ জাতি প্রায় ৮০টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে হিরা, ইউরেনিয়াম, তেল এবং সোনার খনি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মধ্য আফ্রিকায় বাংলাদেশি মিশন শুরু হওয়ার পর অনেকটাই বদলে গেছে এখানকার চিত্র। অন্যান্য দেশের শান্তিরক্ষীরা থাকলেও স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে খুব একটা মেশেন না। কন্টিনজেন্ট ও ক্যাম্পের আশেপাশে থাকা মানুষদের অনেক কিছু শেখাচ্ছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। এভাবেই ৮ হাজার কিলোমিটার দূরের একটি দেশে বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ।
No comments