প্রেমিকের অস্বীকৃতি, জীবন দিলো এইচএসসি পরীক্ষার্থী শান্তা by আশরাফুল ইসলাম
প্রেমিকের
কপট ফাঁদে শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় শান্তা আক্তার
নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায়
অংশ নেয়ার বদলে তাকে চলে যেতে হয়েছে দুনিয়া ছেড়ে। আত্মহত্যা করতে গিয়ে
স্বজনদের চোখ ফাঁকি দিতে না পারলেও টানা ৭দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় শান্তা।
পরীক্ষা শুরুর দিনই তাকে সমাহিত করা হয় শেষ ঠিকানায়।
শান্তা আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকচুরী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে। কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল শান্তা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় তার অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রেমিকের প্রতারণায় এর এক সপ্তাহ আগে গত ২৬শে মার্চ সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় শান্তা। স্বজনেরা টের পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তাকে ভর্তি করা জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ডশীপ হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভর্তি করা হয় সেন্ট্রাল হসপিটালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার দুপুরে মৃত্যু হয় তার।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবেশী লাল মিয়ার মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে মাইনুল হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো শান্তার। টানা ৪ বছর ধরে চলা এই প্রেমের সুবাদে শান্তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শান্তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে কপট প্রেমিক মাইনুল। বিয়ের জন্য শান্তা প্রায়ই মাইনুলের সঙ্গে পীড়াপীড়ি করলেও কৌশলে তা এড়িয়ে যেতো মাইনুল। এ পরিস্থিতিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৫ মার্চ মাইনুল প্রেমিকা শান্তাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র গিয়ে রাত্রিযাপন করে। পরে পারিবারিকভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করবে, এমন আশ্বাস দিয়ে শান্তাকে পরদিন ২৬শে মার্চ ভোরে বাড়িতে পাঠায়। বিষয়টি দু’পক্ষের পরিবারও অবগত হয়। কিন্তু বাড়িতে পাঠানোর পর সুর বদলে যায় মাইনুলের। এ নিয়ে কয়েক দফা শান্তার সাথে ফোনে ঝগড়া হয় মাইনুলের। এক পর্যায়ে শান্তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়, বলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানায় মাইনুল। প্রেমিকের এই বিশ্বাসভঙ্গের বেদনায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় শান্তা। ওইদিনই (২৬শে মার্চ) সকাল ৯টার দিকে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শান্তা।
নিহত শান্তার বড় ভাই মিজান জানান, ওড়না পেঁচিয়ে শান্তাকে ঝুলে পড়ার দৃশ্য দেখে তার চাচী চিৎকার দিলে দ্রুত অন্য সদস্যরা শান্তাকে নিচে নামিয়ে আনে। মুমূর্ষু অবস্থায় দ্রুত তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, মাইনুল আর শান্তার প্রেমের বিষয়টি নিয়ে কয়েক মাস আগে দু’পরিবারের লোকজনদের নিয়ে দরবার শালিশ হয়। ছেলের পরিবার মেয়েকে বিয়ে করাতে রাজি নয়। ছেলে বিয়ে করতে পারবে না, এমন কথা শুনার পরই আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। এদিকে, শান্তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছার পর থেকে ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক মাইনুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে নিহত শান্তার বাবা ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে প্রেমিক মাইনুল ও মাইনুলের বাবা লাল মিয়াকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
শান্তা আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকচুরী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে। কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল শান্তা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় তার অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রেমিকের প্রতারণায় এর এক সপ্তাহ আগে গত ২৬শে মার্চ সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় শান্তা। স্বজনেরা টের পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তাকে ভর্তি করা জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ডশীপ হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভর্তি করা হয় সেন্ট্রাল হসপিটালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার দুপুরে মৃত্যু হয় তার।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবেশী লাল মিয়ার মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে মাইনুল হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো শান্তার। টানা ৪ বছর ধরে চলা এই প্রেমের সুবাদে শান্তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শান্তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে কপট প্রেমিক মাইনুল। বিয়ের জন্য শান্তা প্রায়ই মাইনুলের সঙ্গে পীড়াপীড়ি করলেও কৌশলে তা এড়িয়ে যেতো মাইনুল। এ পরিস্থিতিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৫ মার্চ মাইনুল প্রেমিকা শান্তাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র গিয়ে রাত্রিযাপন করে। পরে পারিবারিকভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করবে, এমন আশ্বাস দিয়ে শান্তাকে পরদিন ২৬শে মার্চ ভোরে বাড়িতে পাঠায়। বিষয়টি দু’পক্ষের পরিবারও অবগত হয়। কিন্তু বাড়িতে পাঠানোর পর সুর বদলে যায় মাইনুলের। এ নিয়ে কয়েক দফা শান্তার সাথে ফোনে ঝগড়া হয় মাইনুলের। এক পর্যায়ে শান্তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়, বলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানায় মাইনুল। প্রেমিকের এই বিশ্বাসভঙ্গের বেদনায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় শান্তা। ওইদিনই (২৬শে মার্চ) সকাল ৯টার দিকে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শান্তা।
নিহত শান্তার বড় ভাই মিজান জানান, ওড়না পেঁচিয়ে শান্তাকে ঝুলে পড়ার দৃশ্য দেখে তার চাচী চিৎকার দিলে দ্রুত অন্য সদস্যরা শান্তাকে নিচে নামিয়ে আনে। মুমূর্ষু অবস্থায় দ্রুত তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, মাইনুল আর শান্তার প্রেমের বিষয়টি নিয়ে কয়েক মাস আগে দু’পরিবারের লোকজনদের নিয়ে দরবার শালিশ হয়। ছেলের পরিবার মেয়েকে বিয়ে করাতে রাজি নয়। ছেলে বিয়ে করতে পারবে না, এমন কথা শুনার পরই আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। এদিকে, শান্তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছার পর থেকে ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক মাইনুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে নিহত শান্তার বাবা ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে প্রেমিক মাইনুল ও মাইনুলের বাবা লাল মিয়াকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
No comments