ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ গড়ছে পাকিস্তান! -দ্য হিন্দুর রিপোর্ট
বাংলাদেশ,
নেপাল ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যখন ভারত সরকার ক্রমাগত
নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করছে তখন তাদের সামনে আরেকটি বড় সামরিক চ্যালেঞ্জ
সৃষ্টি হচ্ছে। আর তা হলো পাকিস্তান। পাকিস্তান আঞ্চলিক ক্ষেত্রে তাদের
ভূমিকা সুদৃঢ় করছে। রোববার প্রথমবারের মতো মালদ্বীপ সফর সম্পন্ন করেছেন
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কমর বাজওয়া। এটাকেই ভারত মহাসাগরীয়
অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরেকটি সামরিক আধিপত্য হিসেবে দেখা
হচ্ছে। অনলাইন দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন ভারতীয়
সাংবাদিক সুহাসিনী হায়দার। এতে তিনি আরো লিখেছেন, পাকিস্তানি সেনা প্রধান
সাক্ষাত করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আদম
শারে উমরের সঙ্গে। এরপর মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি
বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক
শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছে পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। তবে এ নিয়ে নয়া
দিল্লিতে উদ্বেগ অন্যখানে। কারণ, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান মালদ্বীপের
এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে টহল দেয়ায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে। এ ছাড়া
মালদ্বীপের ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টার যাবে পাকিস্তানে। সেখানে
সন্ত্রাস বিরোধী সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে মালদ্বীপ। এমন সহযোগিতা ভারতের জন্য
সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে এমন সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আঞ্চলিক
পর্যায়ে ভারত আরো পিছিয়ে পড়ছে। গত সপ্তাহে তারা সিসিলি ইস্যুতে পশ্চাৎধাবন
করেছে। সিসিলির দ্বীপ পরিমাপ বা এর সুবিধা নেয়া, রক্ষাণাবেক্ষণ, এখানে
অপারেশন, ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে জাতীয় পরিষদের একটি চুক্তি
সামনে আনবেন না।। ওই পদক্ষেপগুলো নেয়া হলে সিসিলির চারদিকে এক্সক্লুসিভ
ইকোনমিক জোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতো। এ বিষয়ে দু’দেশ প্রথমে ২০১৫ সালে
চুক্তিতে আসে। ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিসিলি সফরে
গিয়েছিলেন। কিন্তু চুক্তিটি গত বছর জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে তা
এখনও জাতীয় পরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। অন্যদিকে সোমবার ভুটানের
প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয়
গোখলে। তিনি ফেব্রুয়ারির পরে দ্বিতীয়বারের মতো থিম্পু সফর করেন। রোববার
ভুটান পৌঁছেন বিজয় গোখলে। সেখানে সাক্ষাত করেন রাজা জিগমে খেসার নামগায়েল
ওয়াংচুকের সঙ্গে। ওডিদকে আগামী ৬ই এপ্রিল দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিওর। বিজয় গোখলের ঢাকা সফরের এক সপ্তাহ
আগে এ ঘটনা ঘটবে। এই সফরে কেপি শর্মা ভারতে এসে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার
পুনর্গটন নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া সার্ক শীর্ষ সম্মেলন যাতে করা যায় তা
নিয়েও তার আলোচনা করার কথা রয়েছে।
No comments