বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ঐতিহাসিক: শ্রিংলা
বাংলাদেশ
ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে ঐতিহাসিক বলে মনে করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত
ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতীয়
সেনা ও বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধারা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন, রক্ত দিয়েছিলেন।
এরপরই জন্ম হয় বাংলাদেশের। তাই দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। গতকাল সকালে
ভারত সরকারের অর্থায়নে রাজশাহীতে চলমান কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে
এসে এমন শ্রিংলা এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাজশাহী ভারতের প্রতিবেশি
শহর। এই শহরের উন্নয়নে ভারত সরকার প্রকল্প দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন
করতে পেরে তারা আনন্দিত। বাংলাদেশ-ভারতের এই সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শহরের উন্নয়নে ভারত সরকার রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে (রাসিক) ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছে। ‘সামাজিক, সাংষ্কৃতিক, পরিবেশ ও প্রত্মতত্ত্ব অবকাঠামো উন্নয়ন সাধন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে রাজশাহী নগরীর টেকসই উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই টাকা ব্যয় করছে রাসিক।
এর মধ্যে সংস্কার হচ্ছে পুরনো মঠ, লেক ও পুকুর, নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত এবং গ্রন্থাগার ভবন। এসব কাজই পরিদর্শনে আসেন হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা। এ সময় সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারি হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সকালে হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা প্রথমেই নগরীর ভদ্রা এলাকায় ‘পদ্মা পারিজাত লেক’ পরিদর্শনে যান। তিন কোটি ৮১ লাখ টাকায় সংস্কার হচ্ছে লেকটি। এরপর তিনি নগরীর তালাইমারী এলাকায় ‘পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার’ ভবন নির্মাণ কাজ দেখতে যান। দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকায় নির্মিত হচ্ছে ভবনটি। পরে হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় ফুটপাত নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই এলাকার রাস্তার দু’পাশে নির্মিত হচ্ছে ফুটপাতটি।
এটি পরিদর্শন শেষে তিনি নগরীর টি-বাঁধে গিয়ে পদ্মাপাড়ে কিছু সময় কাটান। এ সময় তিনি সেখানে বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর নগরীর সপুরা এলাকায় মঠ ও পুকুর সংস্কার কাজ দেখতে যান শ্রিংলা। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখন তিনি কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাজশাহী-কোলকাতা ট্রেন চালুর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শ্রিংলা বলেন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পরামর্শে আমরা রাজশাহী থেকে মালদা হয়ে কোলকাতা পর্যন্ত একটি মৈত্রী ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে দুই দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা গেছে। এটির প্রস্তুতি খুব ভালো। কারিগরি প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করা শেষ হলেই ট্রেনটি চালু হবে। দুই দেশের পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
এসময় সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, রাজশাহীর সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের একটি স্মারক তৈরি হয়েছে। ভারত যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে রাজশাহীকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে রাসিক। এ জন্য পুরনো মঠ, জলাশয় সংস্কার করা হচ্ছে। ভারতের টাকায় এমন সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যেন মানুষ সহজেই সে দেশের অবদান অনুধাবন করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শহরের উন্নয়নে ভারত সরকার রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে (রাসিক) ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছে। ‘সামাজিক, সাংষ্কৃতিক, পরিবেশ ও প্রত্মতত্ত্ব অবকাঠামো উন্নয়ন সাধন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে রাজশাহী নগরীর টেকসই উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই টাকা ব্যয় করছে রাসিক।
এর মধ্যে সংস্কার হচ্ছে পুরনো মঠ, লেক ও পুকুর, নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত এবং গ্রন্থাগার ভবন। এসব কাজই পরিদর্শনে আসেন হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা। এ সময় সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারি হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সকালে হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা প্রথমেই নগরীর ভদ্রা এলাকায় ‘পদ্মা পারিজাত লেক’ পরিদর্শনে যান। তিন কোটি ৮১ লাখ টাকায় সংস্কার হচ্ছে লেকটি। এরপর তিনি নগরীর তালাইমারী এলাকায় ‘পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার’ ভবন নির্মাণ কাজ দেখতে যান। দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকায় নির্মিত হচ্ছে ভবনটি। পরে হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় ফুটপাত নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই এলাকার রাস্তার দু’পাশে নির্মিত হচ্ছে ফুটপাতটি।
এটি পরিদর্শন শেষে তিনি নগরীর টি-বাঁধে গিয়ে পদ্মাপাড়ে কিছু সময় কাটান। এ সময় তিনি সেখানে বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর নগরীর সপুরা এলাকায় মঠ ও পুকুর সংস্কার কাজ দেখতে যান শ্রিংলা। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখন তিনি কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাজশাহী-কোলকাতা ট্রেন চালুর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শ্রিংলা বলেন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পরামর্শে আমরা রাজশাহী থেকে মালদা হয়ে কোলকাতা পর্যন্ত একটি মৈত্রী ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে দুই দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা গেছে। এটির প্রস্তুতি খুব ভালো। কারিগরি প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করা শেষ হলেই ট্রেনটি চালু হবে। দুই দেশের পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে পদ্মা সাধারণ গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
এসময় সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, রাজশাহীর সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের একটি স্মারক তৈরি হয়েছে। ভারত যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে রাজশাহীকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে রাসিক। এ জন্য পুরনো মঠ, জলাশয় সংস্কার করা হচ্ছে। ভারতের টাকায় এমন সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যেন মানুষ সহজেই সে দেশের অবদান অনুধাবন করতে পারে।
No comments