সিরিয়ায় হামলা চালাতেও সেই মিথ্যাচার, সেই 'ইরাক কৌশল'!
সিরিয়ায়
হামলার হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ
হলো-সিরিয়ার সরকারি বাহিনী নাকি দামেস্কের অদূরে দুমায় রাসায়নিক হামলা
চালিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো তদন্ত হয় নি। সিরিয়ার সরকার রাসায়নিক হামলার
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে। কিন্তু
ট্রাম্প ও তার মিত্ররা এসব কিছুই শুনছেন না। এখন পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন
খবরে জানা যাচ্ছে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কিন্তু বিশ্বের সচেতন মানুষ রাসায়নিক হামলার বিষয়ে মার্কিন অভিযোগকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের অভিযোগ তুলে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল। পরবর্তীতে তারাই স্বীকার করেছে যে, ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের দাবি ছিল ভিত্তিহীন। হামলা চালানোর অজুহাত তৈরি করতেই ওই অসত্য তথ্য প্রচার করা হয়েছিল। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার জন্য মাফ চেয়েছেন।
এছাড়া, ২০১৬ সালে ব্রিটেনে জন চিলকটের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এবং বিস্তারিত পরিস্থিতি অনুধাবন ছাড়াই ইরাকে হামলা চালানোর ঘটনা, ব্রিটিশ সৈন্য ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করেছে। সেই সঙ্গে ইরাকসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করেছে। ব্রিটেন ভবিষ্যতে কোনো দেশে হামলা কিংবা বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হতে গেলে এই প্রতিবেদনের প্রাপ্তিগুলো বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ব্রিটেন ওই প্রতিবেদনের প্রাপ্তিগুলো থেকে শিক্ষা নেয় নি।
আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন ইরাকের তৎকালীন স্বৈরশাসক সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, সাদ্দাম ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলেছেন এবং সাদ্দাম বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার উদ্যোগ নেয় বুশ সরকার। ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও একই দোহাই দিয়ে ইরাকে হামলা চালাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নেন। এবার সেই রাসায়নিক অস্ত্রের অভিযোগ তুলে সিরিয়ায় হামলার পায়তারা চলছে।
কিন্তু বিশ্বের সচেতন মানুষ রাসায়নিক হামলার বিষয়ে মার্কিন অভিযোগকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের অভিযোগ তুলে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল। পরবর্তীতে তারাই স্বীকার করেছে যে, ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের দাবি ছিল ভিত্তিহীন। হামলা চালানোর অজুহাত তৈরি করতেই ওই অসত্য তথ্য প্রচার করা হয়েছিল। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার জন্য মাফ চেয়েছেন।
এছাড়া, ২০১৬ সালে ব্রিটেনে জন চিলকটের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এবং বিস্তারিত পরিস্থিতি অনুধাবন ছাড়াই ইরাকে হামলা চালানোর ঘটনা, ব্রিটিশ সৈন্য ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করেছে। সেই সঙ্গে ইরাকসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করেছে। ব্রিটেন ভবিষ্যতে কোনো দেশে হামলা কিংবা বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হতে গেলে এই প্রতিবেদনের প্রাপ্তিগুলো বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ব্রিটেন ওই প্রতিবেদনের প্রাপ্তিগুলো থেকে শিক্ষা নেয় নি।
আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন ইরাকের তৎকালীন স্বৈরশাসক সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, সাদ্দাম ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলেছেন এবং সাদ্দাম বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার উদ্যোগ নেয় বুশ সরকার। ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও একই দোহাই দিয়ে ইরাকে হামলা চালাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নেন। এবার সেই রাসায়নিক অস্ত্রের অভিযোগ তুলে সিরিয়ায় হামলার পায়তারা চলছে।
No comments