সিরিয়ায় গ্যাস হামলা: রাশিয়াকে ট্রাম্পের সতর্কতা
সিরিয়ায়
এ সপ্তাহের শুরুতে বিদ্রোহী অধ্যুষিত শহরে রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগ
নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। একের পর
হুমকি, পাল্টা হুমকি অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার
হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প। এর আগে লেবাননে নিযুক্ত
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জাসিপকিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সিরিয়ায়
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তাহলে তার দেশ সেগুলো গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে
দেবে। পাশাপাশি সেগুলো যে স্থান থেকে নিক্ষেপ করা হবে সে স্থান টার্গেট করা
হবে। রুশ রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যের জবাবে এক টুইটে ট্রা¤প রাশিয়াকে
প্রস্তুত হতে বলেছেন। কেননা, সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা চালাবে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহ-মালিকানাধীন আল-মানার টিভি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাসিপকিন যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিন ও চিফ অব স্টাফের মন্তব্য অনুসরণ করে তিনি বলেছেন, যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, তাহলে আমরা সেসব মার্কিন রকেটগুলো গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে দেবো। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার স্থানেও হামলা চালাবো। এসময় তিনি রুশ চিফ অব স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের কথার দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। গেরাসিমভ মার্চে সতর্ক করে বলেছিলেন, সিরিয়ার উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করা সব ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হবে। পাশাপাশি ওইসব হামলায় রুশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য হুমকিজনক হলে ক্ষেপণাস্ত্রপগুলোর নিক্ষেপস্থলেও হামলা চালানো হবে। গেরাসিমভ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সিরীয় ঘাঁটিতে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ও সে দেশে অবস্থানকারী রুশ সামরিক কর্মকর্তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে, তাহলে তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করবে। এদিকে, আল-মানারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকারে জেসিপকিনও একই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, তার দেশ সিরিয়ায় বেশকিছু উন্নতি সাধন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইস্টার্ন ঘৌটা প্রায় পুরোপুরিভাবে সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা। জেসিপকিন এমন মন্তব্যের পরে এক টুইট করে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। জেসিপকিনের মন্তব্যের জবাবে করা ওই টুইটে তিনি বলেন, সিরিয়ার উদ্দেশে নিক্ষেপ করা সব ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেছে রাশিয়া। রাশিয়া, প্রস্তুত হয়ে নাও, কারণ তারা (ক্ষেপণাস্ত্র) আসছে, সুন্দর, নতুন ও বুদ্ধিমান। তোমাদের একজন গ্যাস দিয়ে হত্যাকারী পশুর সহযোগী হওয়া উচিত হয়নি। যে কি না নিজের লোকদের হত্যা করে ও তা উপভোগ করে।
এদিকে, জেপিসকিন তার সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে আগে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ দৌমায় রাসায়নিক গ্যাস হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও তাদের প্রধান মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছে। শনিবারের ওই হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পাশাপাশি দৌমায় হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে সেখানে নিঃশর্ত প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে সিরিয়া ও রাশিয়া সরকার এমন কোনো হামলার অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই হামলার অভিযোগ বিদ্রোহীদের বানোয়াট গল্প। তবে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি নারী, শিশুসহ হামলায় কমপক্ষে ৫০০ মানুষ গ্যাস হামলায় আক্রান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, সিরিয়ায় গ্যাস হামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে পরিষদ তা অনুমোদন করেনি। এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানিয়েছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর জন্য কোনো সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাই বাদ দেয় হচ্ছে না। সব ‘অপশনই’ টেবিলে আছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদ পদক্ষেপ নিক বা না নিক, যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, মার্কিন হামলার সম্ভাবনায় সিরীয় সামরিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রাশিয়ার সামরিক সহায়তায় বাশার আল-আসাদ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইস্টার্ন ঘৌটায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে শুরু হয় বিমান হামলা। তখন থেকে এ পর্যন্ত এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা মধ্যস্থতার পর ইস্টার্ন ঘৌটা ছাড়ার চুক্তিতে রাজি হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি বিদ্রোহী।
খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহ-মালিকানাধীন আল-মানার টিভি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাসিপকিন যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিন ও চিফ অব স্টাফের মন্তব্য অনুসরণ করে তিনি বলেছেন, যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, তাহলে আমরা সেসব মার্কিন রকেটগুলো গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে দেবো। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার স্থানেও হামলা চালাবো। এসময় তিনি রুশ চিফ অব স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের কথার দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। গেরাসিমভ মার্চে সতর্ক করে বলেছিলেন, সিরিয়ার উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করা সব ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হবে। পাশাপাশি ওইসব হামলায় রুশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য হুমকিজনক হলে ক্ষেপণাস্ত্রপগুলোর নিক্ষেপস্থলেও হামলা চালানো হবে। গেরাসিমভ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সিরীয় ঘাঁটিতে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ও সে দেশে অবস্থানকারী রুশ সামরিক কর্মকর্তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে, তাহলে তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করবে। এদিকে, আল-মানারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকারে জেসিপকিনও একই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, তার দেশ সিরিয়ায় বেশকিছু উন্নতি সাধন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইস্টার্ন ঘৌটা প্রায় পুরোপুরিভাবে সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা। জেসিপকিন এমন মন্তব্যের পরে এক টুইট করে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। জেসিপকিনের মন্তব্যের জবাবে করা ওই টুইটে তিনি বলেন, সিরিয়ার উদ্দেশে নিক্ষেপ করা সব ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেছে রাশিয়া। রাশিয়া, প্রস্তুত হয়ে নাও, কারণ তারা (ক্ষেপণাস্ত্র) আসছে, সুন্দর, নতুন ও বুদ্ধিমান। তোমাদের একজন গ্যাস দিয়ে হত্যাকারী পশুর সহযোগী হওয়া উচিত হয়নি। যে কি না নিজের লোকদের হত্যা করে ও তা উপভোগ করে।
এদিকে, জেপিসকিন তার সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে আগে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ দৌমায় রাসায়নিক গ্যাস হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও তাদের প্রধান মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছে। শনিবারের ওই হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পাশাপাশি দৌমায় হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে সেখানে নিঃশর্ত প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে সিরিয়া ও রাশিয়া সরকার এমন কোনো হামলার অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই হামলার অভিযোগ বিদ্রোহীদের বানোয়াট গল্প। তবে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি নারী, শিশুসহ হামলায় কমপক্ষে ৫০০ মানুষ গ্যাস হামলায় আক্রান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, সিরিয়ায় গ্যাস হামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে পরিষদ তা অনুমোদন করেনি। এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানিয়েছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর জন্য কোনো সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাই বাদ দেয় হচ্ছে না। সব ‘অপশনই’ টেবিলে আছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদ পদক্ষেপ নিক বা না নিক, যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, মার্কিন হামলার সম্ভাবনায় সিরীয় সামরিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রাশিয়ার সামরিক সহায়তায় বাশার আল-আসাদ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইস্টার্ন ঘৌটায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে শুরু হয় বিমান হামলা। তখন থেকে এ পর্যন্ত এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা মধ্যস্থতার পর ইস্টার্ন ঘৌটা ছাড়ার চুক্তিতে রাজি হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি বিদ্রোহী।
No comments