কোটা কি পুরোপুরি বাতিল করা যায়? by আমানুর রহমান রনি
কোটা
পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল হলে তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। ক্ষুদ্র
নৃ-গোষ্ঠী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা
রয়েছে। সংবিধানে যাদের কোটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা বহাল রাখতেই হবে। দেশের
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমান সুযোগ দিতে সংবিধানের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ
করতে হবে। কারণ, দেশে এখনও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও ভৌগলিক কারণে সুবিধা
বঞ্চিত যেসব মানুষ রয়েছে, তাদের সুবিধা দিতেই হবে। তাই সংবিধানের সঙ্গে
সাংঘর্ষিক হয়, এমন কোটা বাদ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার পর বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা যেহেতু কেউ চাচ্ছে না, তাহলে থাকারই দরকার নাই। কোটা বাদ।’ কোটা না থাকলেও সরকার এখন কোটার সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা প্রতিবন্ধী, যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য— তাদের জন্য অন্যভাবে আমরা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। তারাও জয়েন করতে পারবে। কিন্তু কোটা নিয়ে এই যে আন্দোলন, আমি ছাত্রদের বলবো, তাদের আন্দোলন তারা করেছে, যথেষ্ট। এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক।’
তবে কোটা পুরোপুরি বাতিল সম্ভব না বলে মন করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। দেশের পিছিয়ে পড়া কোনও জনগোষ্ঠী, কোনও এলাকার জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় যদি সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তাদের সুযোগ দিতে সংবিধান সরকারকে ক্ষমতা দিয়েছে। এই ক্ষমতা বলেই কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। বিভিন্ন সময় যৌক্তিক কারণেই বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মানুষের জন্য এই কোটা পদ্ধতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণগুলো এখনও সমাধান হয়নি বলে কোটা পুরোপুরি বাতিল করা যাবে না বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী যেমন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, তারপর বিশেষ ভৌগলিক এলাকার বিশেষ মানুষ এমন বিভিন্ন ধরনের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।’
শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা করে যে অস্বাভাবিক সমাধান করেছিলাম, ঠিক সেভাবেই কোটা শূন্যে নামিয়ে আনাও আমার দৃষ্টিতে একটা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
তিনি মনে করেন, ‘কোটা শূন্য হলে বিভিন্ন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বঞ্চনা দীর্ঘস্থায়ী করা হবে, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানের চেতনা ও ধারণার পরিপন্থী।’
এই সমস্যা উত্তরণের জন্য তিনি একটি কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এসব বিষয় নির্ধারণ করার জন্য যেকোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই কমিশন গঠন করা হয়। আমরাও একটা কমিশন গঠন করতে পারি। সরকার তাদের সাধারণ একটা ধারণা দিতে পারে, শতকরা কত শতাংশ কোটা রাখবে। সেটা হতে পারে শতকরা ১৫ বা ২০ শতাংশের মধ্যে। সরকার যা মনে করে এমন টার্গেট দিয়ে দিতে পারে। তারপর কমিশন সেই টার্গেটের মধ্যে সব গোষ্ঠীকে কোটা সুবিধা দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এখন ৫৬ ভাগ বাতিল করতে পারে। তবে এরপর কতটুকু রাখবে, কে কত কোটা পাবে, তা কমিশন ঠিক করবে।’ তিনি এভাবেই এই সমস্যার সমাধান দেখেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি নিয়ে অনেক ঝামেলা রয়েছে। আমাদের ৫৬ ভাগ কোটা সুবিধা থাকার পরও কিন্তু যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা, তারা সেভাবে পাচ্ছে না। অনেক কোটায় প্রার্থীর সংখ্যা পূরণ হচ্ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে বৈষম্য দূর করতে কোটা পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের সংবিধানেও সেবিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে সেটা কী পরিমাণে হবে তা বিবেচ্য বিষয়। এজন্য বিশ্লেষণের দরকার ছিল। কোথায় কী পরিমাণ কোটা রাখা হবে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত ছিল। সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। হঠাৎ করে কোটা পদ্ধতি বাতিল করলে, সুবিধা বঞ্চিত অনেক মানুষ সুবিধা বঞ্চিত হবেন। তাদের বিষয়টিও ভাবা দরকার।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না। তাদের জন্য কোটা রাখতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও তার বক্তব্যে তা-ই বলেছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের তিনি বিশেষভাবে নিয়োগের বিষয়ে বলেছেন। তাই কোটা সম্পূর্ণ যে বাতিলের কথা উঠেছে, সেখানে সংবিধানের কোনও ব্যত্যয় হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোটা বাদ দেওয়া যাবে না। যেসব কোটা সংবিধানে সংরক্ষিত না, কেবল সেগুলোই বাদ দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। আইনি জটিলতাও নেই।’
কোটা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো— অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে— ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করতে পারবে না রাষ্ট্র।’
সংবিধানের ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে— ‘সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বা পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে। কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিক সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বা পদের জন্য অযোগ্য হবেন না, কিংবা সেক্ষেত্রে তার প্রতি বৈষম্য দেখানো যাবে না।’
২৯ নম্বর অনুচ্ছেদেই বলা আছে— ‘নাগরিকদের যে কোনও অনগ্রসর অংশ যেন সরকারি চাকরিতে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাদের কল্যাণে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হবে।’
বুধবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার পর বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা যেহেতু কেউ চাচ্ছে না, তাহলে থাকারই দরকার নাই। কোটা বাদ।’ কোটা না থাকলেও সরকার এখন কোটার সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা প্রতিবন্ধী, যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য— তাদের জন্য অন্যভাবে আমরা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। তারাও জয়েন করতে পারবে। কিন্তু কোটা নিয়ে এই যে আন্দোলন, আমি ছাত্রদের বলবো, তাদের আন্দোলন তারা করেছে, যথেষ্ট। এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক।’
তবে কোটা পুরোপুরি বাতিল সম্ভব না বলে মন করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। দেশের পিছিয়ে পড়া কোনও জনগোষ্ঠী, কোনও এলাকার জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় যদি সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তাদের সুযোগ দিতে সংবিধান সরকারকে ক্ষমতা দিয়েছে। এই ক্ষমতা বলেই কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। বিভিন্ন সময় যৌক্তিক কারণেই বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মানুষের জন্য এই কোটা পদ্ধতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণগুলো এখনও সমাধান হয়নি বলে কোটা পুরোপুরি বাতিল করা যাবে না বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী যেমন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, তারপর বিশেষ ভৌগলিক এলাকার বিশেষ মানুষ এমন বিভিন্ন ধরনের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।’
শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমরা শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা করে যে অস্বাভাবিক সমাধান করেছিলাম, ঠিক সেভাবেই কোটা শূন্যে নামিয়ে আনাও আমার দৃষ্টিতে একটা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
তিনি মনে করেন, ‘কোটা শূন্য হলে বিভিন্ন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বঞ্চনা দীর্ঘস্থায়ী করা হবে, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানের চেতনা ও ধারণার পরিপন্থী।’
এই সমস্যা উত্তরণের জন্য তিনি একটি কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এসব বিষয় নির্ধারণ করার জন্য যেকোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই কমিশন গঠন করা হয়। আমরাও একটা কমিশন গঠন করতে পারি। সরকার তাদের সাধারণ একটা ধারণা দিতে পারে, শতকরা কত শতাংশ কোটা রাখবে। সেটা হতে পারে শতকরা ১৫ বা ২০ শতাংশের মধ্যে। সরকার যা মনে করে এমন টার্গেট দিয়ে দিতে পারে। তারপর কমিশন সেই টার্গেটের মধ্যে সব গোষ্ঠীকে কোটা সুবিধা দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এখন ৫৬ ভাগ বাতিল করতে পারে। তবে এরপর কতটুকু রাখবে, কে কত কোটা পাবে, তা কমিশন ঠিক করবে।’ তিনি এভাবেই এই সমস্যার সমাধান দেখেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি নিয়ে অনেক ঝামেলা রয়েছে। আমাদের ৫৬ ভাগ কোটা সুবিধা থাকার পরও কিন্তু যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা, তারা সেভাবে পাচ্ছে না। অনেক কোটায় প্রার্থীর সংখ্যা পূরণ হচ্ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে বৈষম্য দূর করতে কোটা পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের সংবিধানেও সেবিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে সেটা কী পরিমাণে হবে তা বিবেচ্য বিষয়। এজন্য বিশ্লেষণের দরকার ছিল। কোথায় কী পরিমাণ কোটা রাখা হবে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত ছিল। সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। হঠাৎ করে কোটা পদ্ধতি বাতিল করলে, সুবিধা বঞ্চিত অনেক মানুষ সুবিধা বঞ্চিত হবেন। তাদের বিষয়টিও ভাবা দরকার।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না। তাদের জন্য কোটা রাখতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও তার বক্তব্যে তা-ই বলেছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের তিনি বিশেষভাবে নিয়োগের বিষয়ে বলেছেন। তাই কোটা সম্পূর্ণ যে বাতিলের কথা উঠেছে, সেখানে সংবিধানের কোনও ব্যত্যয় হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোটা বাদ দেওয়া যাবে না। যেসব কোটা সংবিধানে সংরক্ষিত না, কেবল সেগুলোই বাদ দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। আইনি জটিলতাও নেই।’
কোটা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো— অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে— ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করতে পারবে না রাষ্ট্র।’
সংবিধানের ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে— ‘সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বা পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে। কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিক সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বা পদের জন্য অযোগ্য হবেন না, কিংবা সেক্ষেত্রে তার প্রতি বৈষম্য দেখানো যাবে না।’
২৯ নম্বর অনুচ্ছেদেই বলা আছে— ‘নাগরিকদের যে কোনও অনগ্রসর অংশ যেন সরকারি চাকরিতে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাদের কল্যাণে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হবে।’
No comments