বাশার আল আসাদ এখন কোথায়!
সিরিয়ায়
আরো জোরালো সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমা দুনিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই এতে জড়িত। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে সে
যুুদ্ধে যুুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বৃটেন। ফলে যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার
মাটি বারুদের গন্ধে ঝাঁঝালো হয়ে যাবে। অন্যদিকে আসাদের পক্ষে আছে রাশিয়া।
বার বার এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই
মুহূর্তে নতুন আরেকটি খবর রটে গেছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের
সম্মিলিত সামরিক হামলার আশঙ্কা ঘনীভূত হওয়ায় সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তবে আসাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র এমন খবর নস্যাৎ করে
দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাশার আল
আসাদকে সরিয়ে নেয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো
সিরিয়ায় জোরালো সামরিক হামলা চালাবে। এ কারণে আসাদকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এরপর সিরিয়ার দোমায়
রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বলা হয়েছে, এর পরই প্রেসিডেন্ট
বাশার আল আসাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
ইরানের রাজধানী তেহরানে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদের
ঘনিষ্ঠ সূত্র। তিনি বলেছেন, এমন রিপোর্ট সম্পূর্ণত মিথ্যা। আসাদের এই
সূত্রের খবর যদি সত্য হয় তাহলে তার থাকার কথা মাউন্ট মেজেহ’র ওপরে অবস্থিত
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে। সিরিয়া যুদ্ধের দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান
করছেন। ওদিকে সোমবার সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে যে হামলা হয়েছে তারপর থেকে
সামরিক হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলার দায় কেউ স্বীকার করে
নি। তবে ইরান, সিরিয়া ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা এ জন্য অভিযুক্ত করছে ইসরাইলের
সেনাবাহিনীকে। বলা হয়েছে, তারা লেবাননের আকাশসীমা ব্যবহার করে এ হামলা
চালিয়েছে। তবে এ অভিযোগ জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে ইসরাইল। ইরানের সংবাদ
বিষয়ক নেটওয়ার্ক তাসনিম রিপোর্ট করেছে যে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ ইরানি
নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদেরকে নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ১৪। গত ৭ই এপ্রিল
দুমায় রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালায় আসাদ সরকার। এমন সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী সামরিক অভিযানে
যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ হবে
জোরপূর্বক। আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। জবাব না দিয়ে আমরা কোনো
নৃশংসতাকে মেনে নিতে পারি না। এমনটা হতে দিতে পারি না। এই যে নতুন করে
যুদ্ধের দামামা বাজছে এতে কি আসাদ সিরিয়ায় থেকে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত
নেবেন! এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন। ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলে চলাচলকারী এয়ারলাইন্স ও
পাইলটদেরকে র্যাপিড এলার্ট নোটিফিকেশন দিয়েছে ইউরোকন্ট্রোল। এটি হলো পুরো
ওই মহাদেশে বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা। এতে বলা
হয়েছে, সিরিয়ার ওপর ন্যাটোর সম্ভাব্য রকেট হামলার বিষয়ে সতর্কতা দেয়া
হয়েছে। তবে এতে পাল্টা সতর্কতা দিয়েছে রাশিয়া। তারা বলেছে, সিরিয়ার
বিরুদ্ধে পশ্চিমা আরো বিমান হামলা অন্য দিকে মোড় নিতে পারে। যদি কোনো
রাশিয়ানকে টার্গেট করে রকেট ছোড়া হয় তাহলে ওই রকেট এবং তা ছোড়ার প্লাটফরম
উভয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে রাশিয়ার স্থায়ী
প্রতিনিধি হলেন ভøাদিমির চিঝোভ। তিনি বলেছেন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন
চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সতর্ক করেছে রাশিয়া। তাতে
সিরিয়ায় সম্ভাব্য হামলার পরবর্তী পরিণতি করুণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
No comments