নাগরিক অধিকারের আশ্বাস পাননি রোহিঙ্গারা by শেখ শাহরিয়ার জামান ও আব্দুল আজিজ
মিয়ানমারের
মন্ত্রীর কাছে নাগরিক অধিকার দাবি করার পর কোনও আশ্বাস পাননি রোহিঙ্গারা।
বুধবার (১১ এপ্রিল) কক্সবাজারে কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমারের সোশ্যাল
ওয়েলফেয়ার মন্ত্রী উইন মিন্ট অয়ের সঙ্গে আলোচনার সময় রোহিঙ্গারা তাদের
নাগরিকত্বের বিষয়টি উত্থাপন করেন। জবাবে মিয়ানমারের মন্ত্রী বলেন,
রোহিঙ্গারা এখন ফেরত গেলে তাদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেওয়া হবে।
বৈঠকে রোহিঙ্গারা ১৩-দফা দাবিসহ একটি আবেদনপত্র মিয়ানমারের মন্ত্রীকে দেন, যার মধ্যে একটি ছিল ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড প্রথা বাতিল করা।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিলকিস খাতুন, জাফর আলম ও আবু শামা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের রাখাইনে ফেরত যাওয়ার জন্য বললে আমরা তার কাছে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি তুলি।তখন তিনি আমাদের আপাতত ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড নিয়ে রাখাইনে অবস্থান করতে বলেন। জবাবে আমরা নেতিবাচক উত্তর দেই।’ তারা আরও বলেন, ‘বৈঠকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানালে মন্ত্রী আমাদের জানান, আমরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবো না। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি আমাদের মেনে নিতে হবে।’
এদিকে, একটি সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা মন্ত্রীর কাছে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের বিচারসহ ১৩-দফা দাবি পেশ করেছেন।
রোহিঙ্গার দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া, সিতে ও আরাকানের অন্য জায়গার সব ইন্টারনালি ডিসপ্লেসড ক্যাম্প বন্ধ করা, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে থাকার জন্য আরাকানে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করা, ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড প্রথা বাতিল, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন, তাদের আদি নিবাসে ফেরত যাওয়ার অধিকার ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আরাকানে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া।
বুধবার সকালে মিয়ানমারের মন্ত্রী কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এই প্রথমবারের মতো কোনও মিয়ানমার মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।
বৈঠকে রোহিঙ্গারা ১৩-দফা দাবিসহ একটি আবেদনপত্র মিয়ানমারের মন্ত্রীকে দেন, যার মধ্যে একটি ছিল ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড প্রথা বাতিল করা।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিলকিস খাতুন, জাফর আলম ও আবু শামা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের রাখাইনে ফেরত যাওয়ার জন্য বললে আমরা তার কাছে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি তুলি।তখন তিনি আমাদের আপাতত ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড নিয়ে রাখাইনে অবস্থান করতে বলেন। জবাবে আমরা নেতিবাচক উত্তর দেই।’ তারা আরও বলেন, ‘বৈঠকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানালে মন্ত্রী আমাদের জানান, আমরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবো না। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি আমাদের মেনে নিতে হবে।’
এদিকে, একটি সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা মন্ত্রীর কাছে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের বিচারসহ ১৩-দফা দাবি পেশ করেছেন।
রোহিঙ্গার দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া, সিতে ও আরাকানের অন্য জায়গার সব ইন্টারনালি ডিসপ্লেসড ক্যাম্প বন্ধ করা, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে থাকার জন্য আরাকানে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করা, ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড প্রথা বাতিল, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন, তাদের আদি নিবাসে ফেরত যাওয়ার অধিকার ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আরাকানে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া।
বুধবার সকালে মিয়ানমারের মন্ত্রী কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এই প্রথমবারের মতো কোনও মিয়ানমার মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।
No comments