সিরিয়ায় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, ভয়াবহ পরিণতির হুমকি রাশিয়ার
সিরিয়ায়
দৌমায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও
রাশিয়ার মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়েছে। রাসায়নিক হামলার ঘটনায় সিরিয়ায়
হামলা চালানোর কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে রাশিয়া বলছে, এরকম হামলা
হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে। সিরিয়া ইস্যুতে সোমবার
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এমন মুখোমুখি অবস্থান ছিল
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার।
দৌমা শহরে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে বিভিন্ন সূত্রে খবর প্রকাশিত হয়। পরে রাসায়নিক গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫-তে দাঁড়ায়। বেশ কয়েকটি চিকিত্সক, পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার গ্রুপ ওই রাসায়নিক হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। তবে সিরীয় সরকার ও রাশিয়া দৌমায় কোনো ধরনের রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করেছে। এ হামলার খবরের পর থেকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।
সোমবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানির সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেন, ‘যেখানে রাশিয়ার মতো দেশ রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে সেখানে রাসায়নিক হামলা কেন হবে-আমরা সে বিষয়ে নজর দিতে চাই।’ এই হামলার জেরে সিরিয়ায় হামলা চালাবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জেমস ম্যাটিস বলেন, আমি ঠিক এ মুহূর্তে কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না।‘
এর কিছুক্ষণ পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ আরও ছয়টি দেশ এই জরুরি বৈঠকের অনুরোধ জানায়। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ওয়াশিংটন এই হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে এসেছি যখন বিশ্বকে অবশ্যই ন্যায়বিচার দেখাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ইতিহাস এই সময়কে মনে রাখবে কারণ নিরাপত্তা পরিষদ তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সিরিয়ার লোকজনকে রক্ষা করতে নিজেদের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা দেখিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মধ্যে রাশিয়া বলেছে, রাসায়নিক হামলার কথিত অজুহাতে সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, ‘হামলা করার জন্য সিরিয়ার হাতে কোনো রাসায়নিক অস্ত্র নেই। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, সিরিয়া সরকারের অনুরোধে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মিথ্যা অভিযোগে সেখানে সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়তে হবে।’
এদিকে সিরিয়ার দৌমা শহরে কথিত রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার জবাবে দ্রুত, জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর নেতৃবর্গ ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, সোমবার রাতের মধ্যে ‘বা এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই’ প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি। সিরিয়ায় ‘সামরিকভাবে বেছে নেবার মতো অনেক বিকল্প’ যুক্তরাষ্ট্রের আছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
দৌমা শহরে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে বিভিন্ন সূত্রে খবর প্রকাশিত হয়। পরে রাসায়নিক গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫-তে দাঁড়ায়। বেশ কয়েকটি চিকিত্সক, পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার গ্রুপ ওই রাসায়নিক হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। তবে সিরীয় সরকার ও রাশিয়া দৌমায় কোনো ধরনের রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করেছে। এ হামলার খবরের পর থেকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।
সোমবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানির সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেন, ‘যেখানে রাশিয়ার মতো দেশ রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে সেখানে রাসায়নিক হামলা কেন হবে-আমরা সে বিষয়ে নজর দিতে চাই।’ এই হামলার জেরে সিরিয়ায় হামলা চালাবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জেমস ম্যাটিস বলেন, আমি ঠিক এ মুহূর্তে কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না।‘
এর কিছুক্ষণ পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ আরও ছয়টি দেশ এই জরুরি বৈঠকের অনুরোধ জানায়। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ওয়াশিংটন এই হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে এসেছি যখন বিশ্বকে অবশ্যই ন্যায়বিচার দেখাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ইতিহাস এই সময়কে মনে রাখবে কারণ নিরাপত্তা পরিষদ তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সিরিয়ার লোকজনকে রক্ষা করতে নিজেদের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা দেখিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মধ্যে রাশিয়া বলেছে, রাসায়নিক হামলার কথিত অজুহাতে সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, ‘হামলা করার জন্য সিরিয়ার হাতে কোনো রাসায়নিক অস্ত্র নেই। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, সিরিয়া সরকারের অনুরোধে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মিথ্যা অভিযোগে সেখানে সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়তে হবে।’
এদিকে সিরিয়ার দৌমা শহরে কথিত রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার জবাবে দ্রুত, জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর নেতৃবর্গ ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, সোমবার রাতের মধ্যে ‘বা এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই’ প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি। সিরিয়ায় ‘সামরিকভাবে বেছে নেবার মতো অনেক বিকল্প’ যুক্তরাষ্ট্রের আছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
No comments