আট মাস পর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে মিয়ানমারের মন্ত্রী
আট
মাস পর মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে গেলেন। সকাল দশটায় তিনি কক্সবাজার পৌঁছান। প্রায়
এগারোটার দিকে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে বেশ কজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা
বলেছেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে
বাংলাদেশের অস্থায়ী আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে দেখতে এই প্রথম দেশটির
কোন মন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এলেন।
সূত্র মতে, আজ মধ্যাহ্নে মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করবেন। তবে তিনি নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবে না। কতুপালং থেকে ফিরে রাতে কক্সবাজারেই থাকছেন তিনি। কাল ফিরবেন ঢাকায়। এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন। রাতেই তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তার আগের বছরে এসেছে আরও ৮৭ হাজার। দুই বছরে আসা ওই নবাগত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরাতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য আট হাজার ৩২ জনের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩৭৪ জনকে রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে কোনো সময় তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত তারা। এই আলোচনার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিবার মিয়ানমার সফর করেছেন। অপরদিকে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল খ শোয়েসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশে এলেও তাদের কেউ এখনও রোহিঙ্গা শিবিরে যাননি। রোহিঙ্গাদের ক্যাস্প পরিদর্শনে আগ্রহী মিয়ানমারের মন্ত্রীর সফর বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন কক্সবাজার সফর করতে সম্মত মন্ত্রীকে সরকার পরিকল্পনা করছে নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে যেতে। কারণ সেখানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জিরো লাইনে প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন, যাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে কিন্তু তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।’ কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের মন্ত্রী নাইক্ষেংছড়ি যেতে রাজী হননি। সেটি বাদ দিয়েই তার সফরসুচী চূড়ান্ত হয়েছে।
সূত্র মতে, আজ মধ্যাহ্নে মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করবেন। তবে তিনি নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবে না। কতুপালং থেকে ফিরে রাতে কক্সবাজারেই থাকছেন তিনি। কাল ফিরবেন ঢাকায়। এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন। রাতেই তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তার আগের বছরে এসেছে আরও ৮৭ হাজার। দুই বছরে আসা ওই নবাগত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরাতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য আট হাজার ৩২ জনের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩৭৪ জনকে রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে কোনো সময় তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত তারা। এই আলোচনার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিবার মিয়ানমার সফর করেছেন। অপরদিকে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল খ শোয়েসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশে এলেও তাদের কেউ এখনও রোহিঙ্গা শিবিরে যাননি। রোহিঙ্গাদের ক্যাস্প পরিদর্শনে আগ্রহী মিয়ানমারের মন্ত্রীর সফর বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন কক্সবাজার সফর করতে সম্মত মন্ত্রীকে সরকার পরিকল্পনা করছে নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে যেতে। কারণ সেখানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জিরো লাইনে প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন, যাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে কিন্তু তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।’ কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের মন্ত্রী নাইক্ষেংছড়ি যেতে রাজী হননি। সেটি বাদ দিয়েই তার সফরসুচী চূড়ান্ত হয়েছে।
No comments